Connect with us

সারাদেশ

বিচারকের খাস কামরা থেকে আইফোন চুরি

Digital Darpan

Published

on

কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মামুনুর রশিদের খাস কামরা থেকে তার আইফোনসহ দুটি মোবাইল, মানিব্যাগ ও গুরুত্বপূর্ণ সরকারি কাগজপত্র চুরির ঘটনা ঘটেছে। রোববার (১২ অক্টোবর) দুপুর ১২টা ৪০ মিনিট থেকে ১টার মধ্যে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় আদালতের বেঞ্চ সহকারী সাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, বিচারক আদালত পরিচালনার সময় খাস কামরায় রাখা ব্যাগ থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তি দুটি মোবাইল ফোন চুরি করে নিয়ে যায়। এছাড়া মানিব্যাগের মধ্যে থাকা এটিএম কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও বিচারকের গুরুত্বপূর্ণ সরকারি নথিপত্রও হারিয়ে গেছে।

চুরি হওয়া মোবাইলের মধ্যে একটি আইফোন ১৪ এবং অপরটি ভিভো-১২। দুইটি মোবাইলের আনুমানিক মূল্য প্রায় এক লাখ ৪০ হাজার টাকা বলে জানা গেছে।

বেঞ্চ সহকারী সাইদুল ইসলাম জানান, “বিচারক মহোদয় নিয়মিত আদালত পরিচালনার সময় মোবাইল ও মানিব্যাগ খাস কামরায় রাখেন। আজও তেমনটাই করেছিলেন। কিন্তু ওই সুযোগে অজ্ঞাত চোর দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করে সব নিয়ে যায়। এটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক ঘটনা।”

কক্সবাজার সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ফারুখ হোসেন বলেন, “চুরির ঘটনায় মামলা রুজু হয়েছে। ইতোমধ্যে মোবাইল ও মানিব্যাগ উদ্ধারের জন্য পুলিশ মাঠে নেমেছে। চোরকে শনাক্ত করতে প্রযুক্তিগত সহায়তা নেওয়া হচ্ছে।”

ঘটনাটি আদালতপাড়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। অনেকেই বলছেন, নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার না হলে এমন ঘটনা ভবিষ্যতে বড় ধরনের সমস্যা ডেকে আনতে পারে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রংপুর বিভাগ

তরুণ উদ্যোক্তায় মুখরিত রংপুরের পার্কের মোড়

Published

on

বর্তমান যুগে চাকরি যেন এক সোনার হরিণ। পড়াশোনা শেষে এক যুদ্ধ অতিক্রম করে চাকরি পাওয়া যেন এক দীর্ঘ সফর। তবে এই লড়াইয়ের পাশাপাশি এখন চোখে পড়ে ভিন্ন কিছু দৃশ্য। শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার পাশাপাশি নিজেদের সাবলম্বী করতে বেছে নিয়েছেন নতুন কিছু উদ্যোগ, যা তাদের মনবল বাড়াতেও সাহায্য করছে।

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে সাম্প্রতিক সময়ে এক ভিন্ন ধরণের চিত্র চোখে পড়ে। ক্লাস, অ্যাসাইনমেন্ট আর সেমিস্টার পরীক্ষার চাপের মাঝেও বেশ কিছু শিক্ষার্থী নিজেদের উদ্যোগে ছোট ব্যবসা শুরু করেছেন। নীরবে-নীরবে একটা নতুন প্রবণতা ছড়িয়ে পড়ছে নিজের পড়াশোনার পাশাপাশি স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা। কেউবা শুরু করেছেন খাবারের ব্যবসা আবার কেউ পোশাক বা প্রসাধনী।

হাতে তৈরি বিভিন্ন পণ্য থেকে বাহারি সুস্বাদু সব খাবার, বিকেল হলেই যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফট সেজে উঠে নানান উদ্যোক্তার সৃজনশীলতায়। এসব কাজ যেমন তাদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করছে পাশাপাশি বৃদ্ধি করছে তাদের মনবল।

জেন্ডার এন্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের এক ছাত্রী শুরু করেছেন প্রসাধনীর কাজ। তিনি শুরু করেছিলেন খুব সাধারণভাবে। নিজের বানানো কয়েকটি ব্রেসলেট সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন। কয়েকজন সহপাঠীর আগ্রহ দেখার পর তিনি নিয়মিত অর্ডার নিতে শুরু করেন। হলের ছোট টেবিলটিই তার কারখানা। রাতের নীরবতায় তিনি নতুন ডিজাইন তৈরি করেন, সকালে ক্লাসে যাওয়ার আগে প্যাকেট গুছিয়ে রাখেন। তার ভাষায়, “আমি আগে ভাবতাম ব্যবসা শুধু টাকাওয়ালারা করে। এখন দেখি ইচ্ছে থাকলেই শুরু করা যায়।”

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী রাসেল শুরু করেছেন নিজের ছোট একটি ফুড কার্ট যেখানে তিনি রেখেছেন বাহারি সুস্বাদু খাবার। রেস্টুরেন্টের খাবারের মূল্য চড়া হওয়ায় শিক্ষার্থীদের জন্য এই ফুড কার্ট হয়ে উঠেছে ভরসার স্থল। স্বাস্থ্যকর খাবার, পাশাপাশি সুন্দর সজ্জা, প্রত্যেক ক্রেতারই মনোযোগ আকর্ষণ করতে বাধ্য।

আরেকদিকে, ভুগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মোশারফ হোসেন শেখ শুরু করেছেন বিভিন্ন ধরনের পোশাকের ছোট একটা ব্যবসা। আসন্ন শীতকে কেন্দ্র করে বাহারি সব শীতের পোশাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাতের নাগালে দিতে পেরে তিনিও আনন্দিত।

এদের পাশাপাশি আরও অনেক শিক্ষার্থী হিজাব, শাল, সেলাইয়ের কাজ, ডিজিটাল আর্ট, ফটো এডিটিং, এমনকি অনলাইন টিউশনি সব মিলিয়ে নানা ধরনের উদ্যোগে যুক্ত হচ্ছেন। প্রত্যেকে নিজের মতো করে দক্ষতা ব্যবহার করছেন। কারো কাছে ব্যবসা শুরু করার মূল কারণ অর্থনৈতিক চাপ, কারো কাছে নিজের স্বাধীনতা দেখানোর ইচ্ছা, কারো কাছে আবার ভবিষ্যতে বড় উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন।

শিক্ষকরা বলছেন, এই পরিবর্তনের পেছনে দুইটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের সহজলভ্যতা এবং ছাত্রীদের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের বৃদ্ধি। একজন শিক্ষক মন্তব্য করেন, “আগে ছেলেমেয়েরা চাকরির কথা ভেবে পড়াশোনা করত। এখন তারা বুঝছে নিজস্ব উদ্যোগও ক্যারিয়ারের বড় অংশ হতে পারে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশও তাদের অনুপ্রাণিত করছে। ক্যাম্পাসে ছোট ছোট নেটওয়ার্ক তৈরি হয়েছে। কেউ নতুন পেজ খুললে বন্ধুদের শেয়ার, কেউ ডেলিভারি নিয়ে পরামর্শ, কেউ আবার প্রোডাক্টের ছবি তুলে সাহায্য করে। ফলে উদ্যোগ শুরু করা এখন আর একা লড়াই নয় বরং সমবায়ী সহায়তায় এগিয়ে যাওয়া।

পরিবারগুলোর মনোভাবেও পরিবর্তন এসেছে। অনেক বাবা-মা মেনে নিচ্ছেন যে মেয়েরা পড়াশোনার পাশাপাশি আয়ের পথ তৈরি করতে পারে এবং সেই আয় তাদেরই আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। কিছু পরিবার শুরুতে সন্দেহ করলেও পরে সন্তানের সাফল্য দেখে সমর্থন দিয়েছে।

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাই শুধু শিক্ষার্থী নয় তারা ভবিষ্যতের নতুন উদ্যোক্তা প্রজন্ম। কেউ ছোট পরিসরে শুরু করছে, কেউ ধীরে ধীরে গ্রাহক বাড়াচ্ছে, কেউ আবার নিজের কাজের অভিজ্ঞতা দিয়ে অন্য ছাত্রীদের উৎসাহ দিচ্ছে। তাদের প্রতিদিনের পরিশ্রমের ভেতর লুকিয়ে আছে নতুন সম্ভাবনা, নিজের জায়গা তৈরি করার ইচ্ছা এবং সামনে এগিয়ে যাওয়ার শক্তি।

এই বিশ্ববিদ্যালয়ের করিডোরে হাঁটলে তাই এখন আর শুধু বইয়ের শব্দ কিংবা ক্লাসের তাড়া শোনা যায় না। শোনা যায় আর্থিক স্বাধীনতার স্বপ্ন, নিজের পরিচয় গড়ার চেষ্টায় ব্যস্ত কিছু তরুণীর নীরব অদম্য পথচলার গল্প।

Continue Reading

অনান্য

শীতের নরম স্পর্শ: কুয়াশার চাদরে ঢাকা এক ঋতুর গল্প

Published

on

  • বাংলাদেশের সকাল, মানুষের দিনযাপন আর স্মৃতির ভেতরের আলো—এই শীতে নতুন করে দেখা এক ঋতুর গল্প।

 

………

আমাদের দেশে শীতের আসা যেন কোনো দীর্ঘ যাত্রার শেষে ঘরে ফেরা অতিথির মতো। সব ঋতুর ভিড়ের মধ্যে শুধু শীতই আসলেই অচেনা এক আবহ তৈরি হয়। গরম তখনো পুরোপুরি বিদায় নেয় না, তবুও সকালে গা ছমছমে বাতাস বইলেই মনে হয় শীত খুব কাছে। আলমারির ভেতর যতদিন গরম কাপড় নিঃসঙ্গ পড়ে থাকে, প্রথম কুয়াশার পড়তেই আমরা সেগুলো ঝেড়ে-মুছে বের করে রাখি। মনে হয়, “এসে যাও শীত, তোমার জন্য অপেক্ষা করেছি।”

কিন্তু শীত যে শুধু ঠান্ডা নয়, এটা এক রহস্যময় অনুভব।

এক ভোরে বাইরে তাকালে দেখা যায় প্রকৃতি নরম ধূসর পর্দায় ঢাকা। সেই পর্দা কখনো পুরোটা দেখায় না, আবার লুকিয়েও রাখে না। এই অর্ধদেখা, অর্ধলুকানো পৃথিবী শীত ছাড়া আর কোনো ঋতু উপহার দিতে পারে না। মাঠের ঘাসে জমে থাকা শিশিরকে সূর্যের আলো ছুঁতেই যে ঝিলমিল ওঠে, সেই আলো যেন মনে করিয়ে দেয়, শীতের আগমন মানেই স্মৃতির আলমারিতে আলো জ্বলে ওঠা। শীত এমন এক ঋতু, যা আমাদের মনে একসঙ্গে জাগিয়ে তোলে অতীত, বর্তমান আর ভবিষ্যৎ।

আমার কাছে শীত মানেই এক ধরনের অদ্ভুত নীরবতা। এ নীরবতার ভেতর লুকিয়ে থাকে ভাঙা–গড়া অসংখ্য অনুভূতি। সব মিলেমিশে এক অদ্ভুত শূন্যতার জন্ম দেয়। যেমন কুয়াশায় ঢাকা রাস্তার দিকে তাকালে মনে হয়-জীবনের পুরোনো গল্পগুলো যেন আমার দিকে ফিরে তাকাচ্ছে। অদৃশ্য স্মৃতিগুলো কাছে এলে বুকের কোথাও দায়হীন ব্যথা জন্মায়। যেন খুব চেনা মানুষেরা শীতের মতোই কিছু সময়ের জন্য আসে, তারপর আবার হারিয়ে যায়। আবার সেই শূন্যতার মধ্যেই লুকিয়ে থাকে উষ্ণতা খোঁজার আনন্দ।

শীতের গ্রাম বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর চিত্রগুলো আঁকে। ভোরবেলায় খেজুর গাছ থেকে রস পড়ার টুপটাপ শব্দ, মাটির চুলায় পিঠা বানানোর সুবাস, উঠোনে জমে থাকা শিশুর হাসি, সব মিলিয়ে ছোট্ট উৎসবের মতো লাগে। শহরের মানুষও এসময় একটু বেশি চায়ের কাপে ডুবে থাকে, ফুটপাতে ধোঁয়া ওঠানো ভাপা পিঠা, ভাপ ওঠা ভুট্টা কিংবা গরম স্যুপে সন্ধ্যা হয় আরও নরম।

শীত মানেই স্মৃতির কাছে ফিরে যাওয়া। স্কুলের পথে কুয়াশা ভেদ করে হাঁটার সেই ছোটবেলার সকাল, বাবার হাত ধরে এগোনোর উষ্ণতা, এগুলো চোখ বন্ধ করলেই ফিরে আসে। আজ সেই শিশুটি বড় হয়েছে, দায়িত্ব বেড়েছে, জীবন বদলে গেছে। তবুও শীত এলেই মনে হয় জীবন থামুক কিছু সময়, একটু নতুন করে শুরু হোক।

শীত আসলে কোনো ঋতু নয় এক ধরনের সংগীত। যার সুর কখনো ভোরের আলোয়, কখনো স্মৃতির ভেতর, কখনো আবার পিঠার গন্ধে বাজে। এ সুর মানুষকে প্রতি বছর নতুনভাবে স্পর্শ করে, নতুনভাবে ভাবায়, নতুনভাবে জীবনকে দেখায়।

শীতের এই আবেগময় রূপের পাশাপাশি বাস্তব জীবনের দৃশ্যগুলোও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। দেশজুড়ে শীত পড়লেই মানুষের দৈনন্দিন কর্মযজ্ঞে পরিবর্তন দেখা যায়, যা শহর থেকে গ্রাম, সব জায়গায় আলাদা আলাদা চিত্র তুলে ধরে।

ভোরের শহর পরিবর্তিত হয় শীতের চাপেই। ঢাকার ভোরে কুয়াশা নেমে আসতেই যানবাহনের গতি কমে যায়।

হেডলাইটের আলো ভেদ করেই রিকশা আর বাস এগোয় সতর্কভাবে। ফুটপাথে চায়ের দোকানদাররা চুলায় আগুন জ্বালিয়ে দিন শুরু করেন, আর প্রথম ধোঁয়া ওঠা চায়ের কাপে ভরসা খোঁজেন কর্মজীবী মানুষ। স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য শীত মানে বাড়তি কষ্টও। ফুটপাথে থাকা মানুষ কিংবা নিম্নআয়ের পরিবারের অনেকেই পর্যাপ্ত গরম কাপড়ের অভাবে ঠান্ডার সঙ্গে লড়াই করেন। গরম কাপড়ের ফুটপাতের দোকানে দাম তুলনামূলক কম হলেও অনেকের জন্য তা এখনো ‘বিলাসিতা’।

গ্রামেও শীতের আলাদা কর্মযজ্ঞ চলে যেখানে সকালের বাজারে নতুন সবজির ভিড় সব মিলিয়ে গ্রামের শীতে কাজের চাপ আরও বাড়ে।

কৃষি বিভাগ জানায়, শীতকালেই দেশের মোট সবজির ৬০ শতাংশ বাজারে আসে। এই মৌসুমে সবজির দাম কমে, আর কৃষকদের আয় খানিকটা বাড়ে। তাই গ্রামের মানুষ শীতকে যেমন অনুভব করে, তেমনি শীত তাদের জীবিকাকেন্দ্রিক সময়ও।

বাংলাদেশের এই স্বল্পস্থায়ী শীত তাই শুধু কোনো ঋতু নয়, এটা মানুষের জীবনযাত্রার নরম পরিবর্তন, স্মৃতি জাগানো সকাল, আর বাস্তবতার সঙ্গে প্রতিদিনের সংগ্রামের এক নিঃশব্দ সহযাত্রী। কুয়াশার চাদর সরে গেলে যেমন দুপুরের রোদ ধীরে ধীরে আলো ফিরিয়ে আনে, তেমনি শীতও তার সময় শেষে মিলিয়ে যায় চিরচেনা নিয়মে। তবুও প্রতি বছর শীত ফিরে আসে নতুন প্রত্যাশা, নতুন গল্প আর নতুন অভিজ্ঞতা নিয়ে। ঋতুর এই আসা-যাওয়া আমাদের মনে করিয়ে দেয়, জীবনের প্রতিটি পরিবর্তনই ক্ষণিকের, কিন্তু প্রতিটি দৃশ্যই রেখে যায় কিছু না কিছু উষ্ণতা।

Continue Reading

বগুড়া

সুঘাটে ঊষার বার্ষিক বৃত্তি পরীক্ষা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন

Published

on

বগুড়া জেলার শেরপুর ও ধুনট উপজেলার পাঁচটি কেন্দ্রে গতকাল শুক্রবার (১৪ নভেম্বর ২০২৫) বিশ্ববিদ্যালয় স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন ফর ওয়েলফেয়ার – ঊষা (USAW) আয়োজিত বার্ষিক বৃত্তি পরীক্ষা-২০২৫ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার আয়োজক কমিটি এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

প্রায় ৬০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে রেকর্ডসংখ্যক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে দিনব্যাপী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। পুরো পরীক্ষাজুড়ে নকলমুক্ত পরিবেশ, ডিজিটাল অ্যাডমিট, সঠিক সিট ব্যবস্থাপনা এবং প্রশ্নপত্র–উত্তরপত্রের নিরাপদ হ্যান্ডলিং নিশ্চিত করা হয়।

এ বছর প্রথমবারের মতো পাঁচটি কেন্দ্রে একযোগে পরীক্ষা নেওয়া হয়। কেন্দ্রগুলো হলো—জয়লা-জুয়ান ডিগ্রি কলেজ; কল্যাণী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কল্যাণী উচ্চ বিদ্যালয়; ফুলজোড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ফুলজোড় উচ্চ বিদ্যালয়; সূত্রাপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও সূত্রাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়; এবং ক্ষিদির হাসড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

পরীক্ষার সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন মো. জাহাঙ্গীর আলম (পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক)। সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন মো. আল আমিন হোসেন, মো. সবুজ হোসেন, মো. মোহাব্বত খান এবং মো. সুমন বিশ্বাস।

পরীক্ষা শেষে উত্তরপত্র সংগ্রহ করে নিরাপদে সংরক্ষণ করা হয়েছে। মূল্যায়ন শেষ হলে ফলাফল প্রকাশের তারিখ জানানো হবে বলে আয়োজক কমিটি জানায়।

আয়োজকদের মতে, শিক্ষার্থীদের মেধা যাচাই, গ্রামীণ শিক্ষার্থীদের প্রতিযোগিতামূলক প্রস্তুতি বৃদ্ধি এবং বৃত্তির আওতা বিস্তারের লক্ষ্য সামনে রেখে ঊষা বৃত্তি পরীক্ষা আয়োজন করা হয় এবং প্রতি বছরই তা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হচ্ছে।

মো. সুমন বিশ্বাসের বক্তব্য (সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, ঊষা):

“গ্রামের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি মানসম্মত ও নকলমুক্ত পরীক্ষা আয়োজন করা সত্যিই বড় চ্যালেঞ্জ। তারপরও আমরা চেষ্টা করেছি পুরো প্রক্রিয়াটা স্বচ্ছ এবং শিক্ষার্থী-বান্ধব রাখতে। বিশেষ করে যেসব শিক্ষক, অভিভাবক ও স্বেচ্ছাসেবক দিনভর সহযোগিতা করেছেন—তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। এ পরীক্ষার অভিজ্ঞতা শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে এবং ভবিষ্যতেও তাদের জন্য আরও সুযোগ তৈরি করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।”

Continue Reading