Connect with us

রাজনীতি

শিক্ষকদের জন্য কমিশন গঠন করবে বিএনপি : তারেক রহমান

Digital Darpan

Published

on

শিক্ষকদের আর্থিক নিরাপত্তা, চাকরির স্থায়ীকরণ ও সম্মানজনক অবস্থান নিশ্চিত করতে উচ্চপর্যায়ের কমিশন গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষ্যে ‘শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোট’ আয়োজিত এক সমাবেশে ভিডিও বার্তায় তিনি এই ঘোষণা দেন।

তারেক রহমান বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, রাষ্ট্রে শিক্ষকদের মর্যাদার সঙ্গে রাষ্ট্রের সম্মান জড়িত। দুর্নীতিবাজরা বিত্তবান হলে সমাজের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়, আর শিক্ষকের মর্যাদা অক্ষুণ্ণ থাকলে সমাজ শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়ায়।

রাষ্ট্র এবং সমাজে দুর্নীতি নামক ব্যাধি রয়েছে উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, সমাজকে দুর্নীতিমুক্ত করতে হলে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষকগণ দুর্নীতির বিরুদ্ধে সামাজিক বিপ্লব গড়ে তোলার ক্ষেত্রে যোগ্য ভূমিকা পালন করতে পারেন বলে আমি মনে করি।

তিনি বলেন, জনগণের ভোটে বিএনপি আবারো রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে রাষ্ট্রের সামর্থ্য অনুযায়ী শিক্ষকদের আর্থিক নিরাপত্তা বেষ্টনী বাড়ানো, চাকরি স্থায়ীকরণ কিংবা জাতীয়করণের বিষয়টি ইতিবাচকভাবে বিবেচনার জন্য উচ্চপর্যায়ের কমিশন গঠন করব।

তারেক রহমান বলেন, অতীতের ভালো দৃষ্টান্তগুলো থেকে অভিজ্ঞতা অর্জন আর খারাপ দৃষ্টান্তগুলো বর্জনের মধ্য দিয়ে একটি সমৃদ্ধ, সুন্দর, নিরাপদ, মানবিক বাংলাদেশ গড়ার কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নই হোক আমাদের এই সময়ের অঙ্গীকার।

বিশ্ব এখন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) যুগে প্রবেশ করেছে উল্লেখ করে বিএনপির শীর্ষ এই নেতা বলেন, জ্ঞানে-বিজ্ঞানে বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে। প্রতিযোগিতামূলক এই বিশ্বে সমান ও মর্যাদার সঙ্গে একটি প্রভাবশালী জাতিরাষ্ট্র হিসেবে টিকে থাকাই আমাদের সামনে এই মুহূর্তের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের অর্থ-বিত্তে, মেধা-মননে, জ্ঞানে-বিজ্ঞানে সমৃদ্ধ হতেই হবে। প্রতিষ্ঠা করতে হবে জ্ঞানভিত্তিক রাষ্ট্র এবং সমাজ। দেশের শিক্ষকগণই হচ্ছেন জ্ঞানভিত্তিক রাষ্ট্র-সমাজ গড়ার অন্যতম প্রধান হাতিয়ার। সুতরাং এই হাতিয়ার যদি দুর্বল হয়, তাহলে রাষ্ট্রকে শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড় করানো সম্ভব নয়। শিক্ষক সম্পর্কে জগৎবিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের একটি কথা তিনি মনে করিয়ে দেন: তিনি বলেছিলেন— ‘সৃষ্টিশীল প্রকাশ এবং জ্ঞানের মধ্যে আনন্দ জাগ্রত করা হলো শিক্ষকের সর্বপ্রধান শিল্প’।’

প্রাথমিক থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি, এমপিও কিংবা নন-এমপিও সব মিলিয়ে সারাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কমবেশি সম্ভবত প্রায় ৯৫ হাজার বলে উল্লেখ করেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, এরমধ্যে সম্ভবত সম্পূর্ণ এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৬ হাজারের বেশি। জনসংখ্যার তুলনায় দেশের বর্তমানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এই সংখ্যাকে হয়তো বেশি বলা যাবে না। কিন্তু সবাই মিলে শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং বিদ্যমান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর গুণগতমান নিশ্চিত করতেই হবে। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে পুঁথিনির্ভর না রেখে শিক্ষা কারিকুলামকে স্কুল পর্যায় থেকেই ব্যবহারিক এবং কারিগরি নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থায় রূপান্তর করার বিকল্প নেই। একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি ইতোমধ্যেই বিশেষজ্ঞদের নিয়ে প্রয়োজনীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে।

তারেক রহমান বলেন, শিক্ষক-শিক্ষিকারা যাতে নিজেকে একজন রোল মডেল হিসেবে শিক্ষার্থীদের সামনে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে উপস্থাপন করতে পারেন, সে ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থাপনা প্রণয়নে বিএনপি বাস্তবধর্মী পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। বিএনপির কর্মপরিকল্পনায় শিক্ষকদের আর্থিক এবং সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের ব্যাপারেও সুনির্দিষ্ট এবং বাস্তবমুখী পদক্ষেপ নিয়ে কাজ করছি। দেশের শিক্ষক সমাজের, বিশেষ করে স্কুল-মাদ্রাসা, প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ-মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষকদের আর্থিক নিরাপত্তার নিশ্চয়তা এবং সামাজিক সম্মান সুসমুন্নত করে শিক্ষকতা পেশাকে সুযোগ এবং সম্মানের দিক থেকে প্রতিযোগিতামূলক করে গড়ে তোলা প্রয়োজন। আমি আগেও বলেছি, শিক্ষকতা পেশা কখনোই ‘উপায়হীন বিকল্প’ কিংবা একটি সাধারণ চাকরির মতো হতে পারে না। বরং, শিক্ষা-দীক্ষায় সবচেয়ে মেধাবী মানুষটি যাতে কর্মজীবনে প্রথম অগ্রাধিকার হিসেবে শিক্ষকতা পেশাকে বেছে নিতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন, বিএনপি শিক্ষক নিয়োগ এবং শিক্ষা ব্যবস্থাকে সেভাবেই ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা এবং উপায় নিয়ে কাজ করছে।

তিনি বলেন, একইসঙ্গে প্রচলিত শিক্ষা কারিকুলামকে ব্যবহারিক এবং কারিগরি শিক্ষা প্রধান করে ঢেলে সাজানোর লক্ষ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ‘শিক্ষা সংস্কার কমিশন’ গঠন করা হবে। নৈতিকতা এবং ধর্মীয়-সামাজিক মূল্যবোধের আলোকে কর্মমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তন এবং শিক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকায়নে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা না গেলে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা আমাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়বে।

তারেক রহমান বলেন, রাষ্ট্র-রাজনীতি এবং সরকারের উন্নয়নে বিএনপির গৃহীত সকল পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন। প্রয়োজন দেশের সবচেয়ে সচেতন অংশ— শিক্ষকদের সমর্থন। একটি জ্ঞান ও মেধাভিত্তিক রাষ্ট্র এবং সরকার গঠনে আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি আপনাদের সমর্থন এবং সহায়তা চায়। বিএনপি সম্মানিত শিক্ষক-কর্মচারী ভাই-বোনদের আন্তরিক সহযোগিতা চায়।

S

রাজনীতি

জামায়াত আমিরের সঙ্গে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইসের সাক্ষাৎ

Published

on

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন জাতিসংঘের ঢাকাস্থ আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর বসুন্ধরায় জামায়াত আমিরের কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধির মানবাধিকার বিষয়ক উপদেষ্টা মিস. হুমা খান।

বৈঠকের শুরুতেই জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমানের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন এবং তার পরিপূর্ণ সুস্থতা কামনা করেন গোয়েন লুইস।

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তা অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্যভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে জাতিসংঘের সহযোগিতা ও কারিগরি সহায়তা কামনা করা হয়।

বৈঠকে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের নারী সমাজের অধিকার সুরক্ষা, কর্মক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন এবং বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে জাতিসংঘের অব্যাহত সমর্থনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করা হয়।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন দলের সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু স্বচ্ছ হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ ব্যাপারে জামাত ইসলামের দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টা সংস্কার প্রক্রিয়া জাতীয় জুলাই সনদসহ নানা বিষয়ে কথা হয়েছে। সংস্কার ও জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির মধ্য দিয়ে জাতীয় ঐকমত্য হলে আগামী নির্বাচনটা নিরপেক্ষ হতে পারে বলে আলোচনা হয়েছে।

গোলাম পরওয়ার বলেন, বৈঠকে রোহিঙ্গা শরণার্থী সমস্যা এবং মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয়েছে। এর মধ্যে ছিল পার্বত্য অঞ্চলের সমস্যা, মিয়ানমারে চলা মানবিক বিপর্যয়, এবং শিক্ষা, চিকিৎসা ও আবাসনের অভাবে রোহিঙ্গা তরুণদের নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়া। এছাড়া রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে এবং এসব সংকট থেকে মুক্তি পেতে জাতিসংঘসহ সবার সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

জামায়াতে ইসলামীর আমির বলেছেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে সেখানে সরাসরি কাজ করতে পারে না। তবে ইসলামিক এনজিও সংস্থার মাধ্যমে পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

আগামী ২০২৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার ক্ষেত্রে তাদের সহযোগিতার আশ্বাস, জামায়াতে ইসলামীর অবস্থান জানতে চাওয়া হয়। আমির আগামীকাল বুধবার (৮ অক্টোবর) ঐকমত্য কমিশন থেকে একটা ফলপ্রসূ ঘোষণা আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

জামায়াতের সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ও সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী মীর আহমাদ বিন কাসেম (আরমান)।

S

Continue Reading

রাজনীতি

বিএনপির কূটনীতি ও ভারত প্রসঙ্গে যা বললেন তারেক রহমান

Published

on

বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতে আশ্রয় দেওয়া প্রসঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব তারেক রহমান বলেছেন, এখন তারা (ভারত) যদি স্বৈরাচারকে সেখানে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের বিরাগভাজন হয়, সেখানে তো আমাদের কিছু করার নেই।

বিবিসি বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সকালে বিবিসি বাংলার সম্পাদক মীর সাব্বির ও বিবিসি বাংলার সিনিয়র সাংবাদিক কাদির কল্লোলের নেওয়া সাক্ষাৎকারের দ্বিতীয় পর্ব প্রকাশ করা হয়।

কূটনীতির প্রসঙ্গে তারেক রহমানকে প্রশ্ন করা হয়, বিএনপি যদি সরকার গঠন করে তবে কূটনীতির ক্ষেত্রে বিএনপির মূলনীতি কী হবে?—জবাবে তারেক রহমান বলেন, গুড কোশ্চেন। বিএনপির মূলনীতি একটাই, সবার আগে বাংলাদেশ। কূটনীতির ক্ষেত্রে বিএনপির নীতি সবার আগে বাংলাদেশ। আমার জনগণ, আমার দেশ, আমার সার্বভৌমত্ব। এটিকে অক্ষুণ্ণ রেখে, এটি স্বার্থ বিবেচনা করে, এই স্বার্থকে অটুট রেখে বাকি সবকিছু।

এটাকে বৈশ্বিক রাজনীতির একটা প্রভাব বলা যায়? কারণ আপনি যদি বিভিন্ন দেশে দেখেন, এমনকি ডোনাল্ড ট্রাম্পও আমেরিকা ফার্স্ট একটা স্লোগান দিয়ে এসেছিলেন?—এমন প্রশ্নে তারেক রহমান বলেন, না, ওদেরটা ওরা বলেছে, আমি ভাই বাংলাদেশি। আমার কাছে বাংলাদেশের স্বার্থ বড়, আমার কাছে বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থ বড়। কাজেই কে কি বলল… সবার আগে বাংলাদেশ, সিম্পল, কমপ্লিকেট (জটিল) করার কিছু নাই,

বিগত সরকারের সময় বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে যেই সম্পর্ক ছিল, সেটা নিয়ে অনেক সমালোচনা রয়েছে। তো ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে আপনাদের নীতি কী হবে?—বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আমার মনে হয়, আপনি একটু আগে যে প্রশ্নগুলো করেছেন, সেখানে বোধহয় আমি ক্লিয়ার করেছি পুরো ব্যাপারটা। সবার আগে বাংলাদেশ। এখানে তো আপনি পার্টিকুলার (সুনির্দিষ্ট) একটি দেশের কথা বলেছেন।

এখানে ওই দেশ বা অন্য দেশ তো বিষয় না। বিষয় হচ্ছে, ভাই বাংলাদেশ আমার কাছে আমার স্বার্থ, আমি আগে আমার দেশের মানুষের স্বার্থ দেখব, আমার দেশের স্বার্থ দেখব। ওটাকে রেখে আপহোল্ড করে আমি যা যা করতে পারব, আমি তাই করব।

বাংলাদেশের স্বার্থ আপনারা সবার আগে নেবেন, সেটা আপনি পরিষ্কার করেছেন। ভারতের কথা বিশেষভাবে আসছে যেহেতু সেটি বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ এবং বাংলাদেশের তিন পাশেই এই দেশটির সীমান্ত রয়েছে এবং এটি নিয়ে আপনিও জানেন যে বিভিন্ন সময়ে কথা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের সময়েও কথা হয়েছে। আওয়ামী লীগের সময় তো সম্পর্ক নিয়ে বললামই সেটা নিয়ে কথা হয়েছে। তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত বা কেমন থাকা প্রয়োজন- এ নিয়ে আপনার চিন্তা কি?

তারেক রহমান বলেন, অবশ্যই আমি আমার পানির হিস্যা চাই। অবশ্যই আমি দেখতে চাইনা না যে, আরেক ফেলানী ঝুলে আছে। অবশ্যই আমরা এটা মেনে নেব না।

বাংলাদেশের স্বার্থের প্রসঙ্গে আপনি বলছেন যে, পানির হিস্যা চাওয়া এবং সীমান্ত হত্যার বিষয়টি নিয়ে আপনারা সোচ্চার থাকবেন?—তারেক রহমান বলেন, না না, আমি উদাহরণ দিয়ে বললাম। দুটো উদাহরণ দিয়ে বুঝালাম আপনাকে, যে আমাদের স্ট্যান্ডটা কী হবে। আমরা আমাদের পানির হিস্যা চাই। অর্থাৎ আমার দেশের হিস্যা, মানুষের হিস্যা আমি চাই, হিসাব আমি চাই।

আমার যেটা ন্যায্য সেটা আমি চাই। অবশ্যই ফেলানী হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে আমি বুঝাতে চেয়েছি যে, আমার মানুষের ওপরে আঘাত এলে অবশ্যই সেই আঘাতকে এভাবে আমি মেনে নেব না।

একটা বিষয় যদি বলি, পাঁচই অগাস্টে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর এবং আপনিও জানেন যে, শেখ হাসিনা দিল্লিতে গেছেন এবং সেখানে আছেন। ভারতের সঙ্গে একটা সম্পর্কের শীতলতা দেখা গেছে, গত এক বছর ধরে। যেমন ধরুন সেটি যাওয়া আসার ক্ষেত্রে ব্যবসার ক্ষেত্রে নানা রকম, সেই ক্ষেত্রে কী কোনো পরিবর্তন আপনার সরকারে এলে হবে বা পরিবর্তনের ব্যাপারে উদ্যোগ নেবেন, এমন কোনো চিন্তা কি আপনাদের আছে?

তারেক রহমান বলেন, এখন তারা যদি স্বৈরাচারকে সেখানে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের বিরাগভাজন হয়, সেখানে তো আমাদের কিছু করার নেই। এটা বাংলাদেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে তাদের সঙ্গে শীতল থাকবে। সো, আমাকে আমার দেশের মানুষের সঙ্গে থাকতে হবে।

S

Continue Reading

রাজনীতি

বাংলাদেশে নির্বাচনের অপেক্ষায় তুরস্ক, প্রতিরক্ষা শিল্প স্থাপনে আগ্রহ

Published

on

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বেরিস একিনচি।

সোমবার (৬ অক্টোবর) গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আসেন তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তার সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেনও ছিলেন।

বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমদ, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।

এক ঘণ্টারও অধিক সময়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্কের উন্নয়ন, ব্যবসা-বাণিজ্য-বিনিয়োগ, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

বৈঠকের পর আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দুই দেশের মধ্যে আমাদের যে দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্ব, তা জিয়াউর রহমানের সময় থেকে গড়ে উঠেছে। ওআইসিতে জিয়াউর রহমানসহ তুরস্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল—সেই বিষয়গুলো আলোচনায় এসেছে। আগামী দিনে ওআইসিকে শক্তিশালী করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।

তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক সুদৃঢ় করা, সবক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে কথা হয়েছে। তুর্কি বিনিয়োগ বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে করার বিষয়টিও আলোচনায় এসেছে। তুরস্কের সঙ্গে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বন্ধন আরও কিভাবে বাড়ানো যায়, সে বিষয়ে কথা হয়েছে। আপনারা জানেন, কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ— নাম দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।

তিনি আরও বলেন, তুরস্ক আগ্রহ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশে অধিক বিনিয়োগের জন্য। দুই দেশের চেম্বারগুলোকে আরও শক্তিশালী করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে আমির খসরু বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আলাপ হয়েছে। তুরস্কও সেই নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে। তারাও নির্বাচন পরবর্তী ‘আগামীর বাংলাদেশ’ দেখতে চায়, সেই সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক শক্তিশালী কীভাবে করা যায়, তা নিয়েও আলোচনা করেছি। সবার মতো তুর্কিরাও নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সরকার আসলে সেই সরকারের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, তুরস্ক সরকার বাংলাদেশের সাথে প্রতিরক্ষা (ডিফেন্স) খাতে বিদ্যমান সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। তারা একটি যৌথ প্রতিরক্ষা শিল্প (জয়েন্ট ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রি) স্থাপনের জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। আগামীকাল সরকারের সঙ্গে তাদের এ বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। এ বিষয়ে আমাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আমরা তাদেরকে জানিয়েছি।

আগামীকাল ঢাকায় বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে চতুর্থ পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক হবে। এতে তুরস্কের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বেরিস একিনচি।

এর আগে দুইদিনের সফরে সকালে তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায় আসেন। তিনি প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।

S

Continue Reading