জাতীয়
উপকূলীয় এলাকায় মন্দির-পূজামণ্ডপে নিরাপত্তা জোরদার করেছে কোস্টগার্ড
ডিজিটাল দর্পণ ডেস্ক
Published
1 week agoon
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে উপকূলীয় ও নদী তীরবর্তী এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড।
বুধবার (১ অক্টোবর) নারায়ণগঞ্জের চাষাড়ার শ্রী রামকৃষ্ণ মিশনের দুর্গাপূজার নিরাপত্তা পরিদর্শন শেষে কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল মো. জিয়াউল হক এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, উপকূলীয় এলাকার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাসহ বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের নিরাপত্তা দেওয়া, ধর্মীয় উপাসনালয়, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও সর্বসাধারণের জান-মাল রক্ষায় গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড।
সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাসরত হিন্দুধর্মাবলম্বীদের মহোৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ধর্মীয় উপাসনালয়সহ পূজামণ্ডপের সার্বিক নিরাপত্তায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে আমাদের প্রতিটি সদস্য। আপনারা জেনে খুশি হবেন, উপকূলীয় এলাকাগুলোর মধ্যে আমাদের ঢাকা জোন ২৫টি, পূর্ব জোন (চট্টগ্রাম) ৫৬টি, পশ্চিম জোন (মোংলা) ৪৪টি ও দক্ষিণ জোন (ভোলা) ৮২টি, সর্বমোট ২০৭টি মন্দির ও পূজামণ্ডপের সার্বিক নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করছে।
কোস্টগার্ড মহাপরিচালক বলেন, দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা যেন তাদের ধর্মীয় উৎসবটি শান্তিপূর্ণ, প্রাণবন্ত ও নিরাপদে উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপন করতে পারেন, সে লক্ষ্যে আমরা আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করেছি এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করে যাচ্ছি।
প্রতিমা বিসর্জনের স্থানগুলোতে সম্ভাব্য দুর্ঘটনা মোকাবিলায় আমাদের বিশেষ ডুবুরি দল সর্বদা প্রস্তুত আছে উল্লেখ করে রিয়ার অ্যাডমিরাল জিয়াউল হক বলেন, নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে আমাদের জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম এবং সার্বক্ষণিক টহল অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি আমি অনুরোধ করবো, যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে সহায়তা নিতে কোস্টগার্ড জরুরি সেবা নম্বর ১৬১১১-এ যোগাযোগ করুন। আমরা দ্রুত পদক্ষেপ নেব। আমাদের প্রত্যাশা, হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ ও আনন্দঘন পরিবেশে তাদের ধর্মীয় উৎসবটি উদযাপন করবেন।
তিনি আরও বলেন, কোস্টগার্ডের এ ধরনের জননিরাপত্তামূলক কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
S
You may like
-
বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব
-
বিজয়া দশমী আজ, দেবী দুর্গার বিসর্জন
-
নিরাপদ ও নিশ্চিন্তে দুর্গাপূজা পালনের আহ্বান তারেক রহমানের
-
সাম্প্রদায়িক উসকানিদাতাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে
-
দুর্গাপূজায় প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস অসুররূপে!
-
শারদীয় দুর্গোৎসবে হিন্দু সম্প্রদায়কে জামায়াত আমিরের শুভেচ্ছা
ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্ত হওয়ার পর বাংলাদেশি আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলম তুরস্কে পৌঁছেছেন। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।
ওই পোস্টে কিছু ছবি প্রকাশ করে লেখা হয়, শুক্রবার টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ইসরায়েল থেকে ফিরে আসার পর বাংলাদেশি আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলমকে স্বাগত জানিয়েছেন বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
এর আগে বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় জানানো হয়, বাংলাদেশি আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলম ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন। তিনি মুক্তি পাওয়ায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শহিদুল আলম দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের নৃশংসতা বন্ধ এবং গাজায় ইসরায়েলি নৌ অবরোধ ভাঙার প্রত্যয় নিয়ে ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন নৌযাত্রা শুরু করেছিল গাজা অভিমুখে। ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে আত্মপ্রকাশ করা আরেক উদ্যোগ থাউজেন্ড ম্যাডলিনস টু গাজার আটটি নৌযানও এ যাত্রায় অংশ নিয়েছিল। মোট ৯টি নৌযানের এ বহরে বিভিন্ন দেশের রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, চিকিৎসক ও অধিকার কর্মীরা যোগ দিয়েছিলেন। সেই দলে ছিলেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। গত বুধবার এই নৌবহরে আক্রমণ করে সব অধিকারকর্মী ও নাবিককে ধরে নিয়ে যায় ইসরায়েলি সেনারা।
আটকের পর থেকে শহিদুল আলমকে মুক্ত করতে তৎপর হয় বাংলাদেশ। শুক্রবার সকালে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে জানানো হয়, ইসরায়েলিদের হাতে শহিদুল আলমের অবৈধ আটকের ঘটনার পর বাংলাদেশ সরকার দ্রুত কূটনৈতিক উদ্যোগ নেয়। জর্ডান, মিশর ও তুরস্কে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাসকে সংশ্লিষ্ট দেশের পররাষ্ট্র দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে শহিদুল আলমের দ্রুত মুক্তির বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
S
বাংলাদেশি আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলম ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন। তিনি মুক্তি পাওয়ায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, তুরস্কের সূত্র অনুযায়ী, আজ বিকেলে প্রখ্যাত বাংলাদেশি আলোকচিত্রি ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলমসহ অন্য যাত্রীদের নিয়ে ইসরায়েল থেকে একটি ফ্লাইট যাত্রা করেছে। ফ্লাইটটির নম্বর ‘টিকে ৬৯২১’। এটি স্থানীয় সময় দুপুর আনুমানিক ২টা ৩০ মিনিটে ইস্তাম্বুলে অবতরণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
শহিদুল আলমের মুক্তি নিশ্চিত করা এবং ইসরায়েল থেকে তার প্রত্যাবর্তনের ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
শহিদুল আলম দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের নৃশংসতা বন্ধ এবং গাজায় ইসরায়েলি নৌ অবরোধ ভাঙার প্রত্যয় নিয়ে ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন নৌযাত্রা শুরু করেছিল গাজা অভিমুখে। ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে আত্মপ্রকাশ করা আরেক উদ্যোগ থাউজেন্ড ম্যাডলিনস টু গাজার আটটি নৌযানও এ যাত্রায় অংশ নিয়েছিল। মোট ৯টি নৌযানের এ বহরে বিভিন্ন দেশের রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, চিকিৎসক ও অধিকারকর্মীরা যোগ দিয়েছিলেন। সেই দলে ছিলেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। গত বুধবার এই নৌবহরে আক্রমণ করে সব অধিকারকর্মী ও নাবিককে ধরে নিয়ে যায় ইসরায়েলি সেনারা।
আটকের পর থেকে শহিদুল আলমকে মুক্ত করতে তৎপর হয় বাংলাদেশ। শুক্রবার সকালে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে জানানো হয়, ইসরায়েলিদের হাতে শহিদুল আলমের অবৈধ আটকের ঘটনার পর বাংলাদেশ সরকার দ্রুত কূটনৈতিক উদ্যোগ নেয়। জর্ডান, মিশর ও তুরস্কে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাসকে সংশ্লিষ্ট দেশের পররাষ্ট্র দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে শহিদুল আলমের দ্রুত মুক্তির বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
জাতীয়
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় অভিযুক্তরা দায়মুক্তি পাচ্ছেন : আসিফ নজরুল
Published
1 day agoon
অক্টোবর ১০, ২০২৫সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ সংশোধন করছে সরকার। এর মাধ্যমে এরই মধ্যে রহিত হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে থাকা সব মামলা বাতিল ঘোষণা করে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশে একটি ধারা যুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে ওই আইনে সাজাপ্রাপ্ত ও মামলায় অভিযুক্ত সবাই মামলার দায় থেকে মুক্তি পাবেন।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বিষয়টি নিজের ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন।
ওই পোস্টে তিনি লেখেন, ‘গতকাল উপদেষ্টা পরিষদের সভায় ২০১৮ সালের ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের অধীনে দায়ের হওয়া সব মামলা (স্পিচ অফেন্স) বাতিল করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর ফলে ওই আইনে সাজাপ্রাপ্ত ও মামলায় অভিযুক্ত সবাই মামলার দায় থেকে মুক্তি পাচ্ছেন।’
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক। বৈঠকে ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এর ৫০ ধারা সংশোধনের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় ১১টি অধ্যাদেশ এবং তিনটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
S