Connect with us

রাজনীতি

পিআরে কোনো স্থায়ী সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয় না : সালাহউদ্দিন

Digital Darpan

Published

on

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, পিআর (প্রফেশনাল রিপ্রেজেন্টেটিভ) পদ্ধতি হচ্ছে আসলে পারমানেন্ট রেস্টলেসনেস। এই পদ্ধতিতে বিভিন্ন দেশে সব সময় অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়। কোনো স্থায়ী সরকারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয় না। কখনো মেজরিটির ভিত্তিতে সরকার গঠন সম্ভব হয় না, সবসময় ঝুলন্ত পার্লামেন্ট ও অস্থির অবস্থা থেকে যায়।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। ওলামা দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এ কর্মসূচির আয়োজন করে।

সালাহউদ্দিন বলেন, আমরা পিআর মানে মনে করি পাবলিক রিলেশন—জনসংযোগ। এখন সবাই জনসংযোগে আছে, সেই পিআরে আমরা বিশ্বাস করি। কিন্তু যারা প্রফেশনাল রিপ্রেজেন্টেশন মানে পারমানেন্ট রেস্টলেসনেস প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে, তারা সফল হবে না।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি একটি ধর্মীয় মূল্যবোধে বিশ্বাসী দল। আমাদের রাজনীতি সমন্বয়ের রাজনীতি। ধর্মের ভিত্তিতে কোনো বিভাজন আমরা চাইনি, চাই না এবং করবও না।

সব রাজনৈতিক দলের উদ্দেশে বিএনপির এ নেতা বলেন, আমরা যেন একটা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় উত্তরণ করতে পারি খুব সুন্দরভাবে। দেশে এখন নির্বাচনের আবহ চলছে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা ও জনগণ ভোটের গণসংযোগে আছে। এ অবস্থায় কেউ যদি বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে নির্বাচনের পথে বাধা দেয়, জনগণ তাদের চিহ্নিত করবে এবং রাজনৈতিকভাবে প্রত্যাখ্যান করবে।

সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, কিছু আন্তর্জাতিক মহল নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে। দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, প্রচুর অর্থ ঢালা হচ্ছে। তবে বাংলাদেশের জনগণ এখন ঐক্যবদ্ধ।

গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী পরিস্থিতি উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন বলেন, গণতন্ত্রের উত্তরণের পথে যারা বাধা সৃষ্টি করবে, দেশীয় হোক বা বিদেশি—বাংলাদেশের জনগণ তাদের প্রতিহত করবে।

S

রাজনীতি

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে লন্ডনে নেওয়ার পরিকল্পনা

Published

on

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে পরিবারের সদস্যরা তাকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. মাহদী আমিন।

শনিবার (২৯ নভেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে আমিন জানান, ‘লন্ডনের যে হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের অধীনে চার মাস থেকে তিনি অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন, তাদের সঙ্গে ইতোমধ্যে যোগাযোগ করেছেন তারেক রহমান ও তার স্ত্রী।’

তিনি আরও উল্লেখ করেন, খালেদা জিয়া যেন আজ পুরো বাংলাদেশের আবেগ, আকাঙ্ক্ষা ও অনুভূতির প্রকাশ। এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি থাকলেও, তার চিকিৎসা মূলত দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে। লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি চিকিৎসকদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান।

খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে ডা. জুবাইদা রহমান দেশ-বিদেশে সমন্বয়ের মূল দায়িত্ব পালন করছেন বলে উল্লেখ করেন আমিন। তিনি বলেন, সেখান থেকেই মমতাময়ী মায়ের চিকিৎসায় যেন কোনো ধরনের বিলম্ব বা সীমাবদ্ধতা না ঘটে, তার জন্য তারেক রহমান সর্বোচ্চ গুরুত্ব ও অটল দৃঢ়তা নিয়ে প্রতিটি পদক্ষেপ তদারকি ও পরিচালনা করছেন।

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের দ্রুত উন্নতি হবে উল্লেখ করে আমিন বলেন, তিনি আধুনিক চিকিৎসা শেষে সন্তান-স্বজনসহ মুক্ত মাতৃভূমির মানুষকে বরাবরের মতোই অনুপ্রাণিত করবেন, জাতির অভিভাবক হিসেবে নেতৃত্ব দেবেন ও সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করবেন। আজ দেশের মানুষের প্রত্যাশা, প্রার্থনা ও আবেগ এই দৃঢ় বিশ্বাসকে কেন্দ্র করেই।

S

Continue Reading

রাজনীতি

দেশের ফেরার সিদ্ধান্ত ‘একক নিয়ন্ত্রণাধীন নয়’, জানালেন তারেক রহমান

Published

on

গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালের সিসিইউয়ে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দেশের সকল স্তরের নাগরিকের আন্তরিকতা ও প্রার্থনার জন্য গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তার জ্যেষ্ঠ পুত্র ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। একইসঙ্গে, বর্তমান সঙ্কটকালে মায়ের স্নেহস্পর্শ লাভের তীব্র আকাঙ্ক্ষার কথা জানিয়েছেন তিনি, তবে বলেছেন—এক্ষেত্রে তার একক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ সীমিত।

বাংলাদেশ সময় আজ (শনিবার) সকালে তারেক রহমান তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি স্ট্যাটাসের মাধ্যমে এই পরিস্থিতি তুলে ধরেন। তার স্ট্যাটাসটি মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা তৈরি করে।

তারেক রহমান তার স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেন, খালেদা জিয়া বর্তমানে ‘গুরুতর অসুস্থ ও সংকটাপন্ন’ অবস্থায় হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যায় রয়েছেন। তার রোগমুক্তির জন্য দল-মত নির্বিশেষে দেশের সকল নাগরিক আন্তরিকভাবে দোয়া করছেন।

তিনি লেখেন, সর্বজন শ্রদ্ধেয়া বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি সকলের আন্তরিক দোয়া ও ভালোবাসা প্রদর্শন করায় জিয়া পরিবারের পক্ষ থেকে সকলের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও গভীর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। একই সাথে বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তির জন্য সকলের প্রতি দোয়া অব্যহত রাখার জন্য ঐকান্তিক অনুরোধ জানাচ্ছি।

দেশ ও বিদেশের চিকিৎসক দল সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব ও আন্তরিকতার সঙ্গে সেবা দিচ্ছেন জানিয়ে তিনি বন্ধুপ্রতীম একাধিক রাষ্ট্রের পক্ষ থেকেও উন্নত চিকিৎসাসহ সম্ভাব্য সকল প্রকার সহযোগিতার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করার বিষয়টিও স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেন।

স্ট্যাটাসের সবচেয়ে স্পর্শকাতর অংশটি ছিল তার নিজের দেশে ফেরা এবং মায়ের পাশে থাকার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে। তারেক রহমান লেখেন, এমন সঙ্কটকালে মায়ের স্নেহ স্পর্শ পাবার তীব্র আকাঙ্ক্ষা যে কোন সন্তানের মতো আমারও রয়েছে। কিন্তু অন্য আর সকলের মতো এটা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আমার একক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ অবারিত ও একক নিয়ন্ত্রণাধীন নয়।

তিনি এই স্পর্শকাতর বিষয়টি বিস্তারিত বর্ণনার সুযোগ সীমিত বলে উল্লেখ করেন। তবে রাজনৈতিক বাস্তবতার কারণে তার এই প্রত্যাশা পূরণে দেরি হচ্ছে বলেও ইঙ্গিত দেন।

তিনি আশা প্রকাশ করে লেখেন, রাজনৈতিক বাস্তবতার এই পরিস্থিতি প্রত্যাশিত পর্যায়ে উপনীত হওয়া মাত্রই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে আমার সুদীর্ঘ উদ্বিগ্ন প্রতীক্ষার অবসান ঘটবে বলেই আমাদের পরিবার আশাবাদী।

উল্লেখ্য, বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। এই মুহূর্তে তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে দেশজুড়ে উদ্বেগ বিরাজ করছে। বর্তমানে তিনি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউয়ে চিকিৎসাধীন। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল জানিয়েছেন, বেগম জিয়ার অবস্থা অত্যন্ত সংকটময়।

S

Continue Reading

রাজনীতি

বাউল আবুল সরকারের শাস্তি চায় হেফাজত

Published

on

আল্লাহকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে বাউল আবুল সরকারের শাস্তির দাবি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম।

আজ (শুক্রবার) বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকায় আয়োজিত সমাবেশ থেকে এ দাবি জানানো হয়।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ঢাকা মহানগরী শাখার নেতা ফজলুর রহমান, সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা শফিউল ইসলাম, কেন্দ্রীয় নেতা মজিবুর রহমান।

বক্তারা বলেন, এ দেশে বিভিন্ন সময় আল্লাহ রাসুল এবং ইসলাম ধর্মকে নিয়ে কটূক্তি করা হয়। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয় না। যারা কটূক্তিকারীদের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে আসে, তাদের সমালোচনা করা হয়। যেসব বুদ্ধিজীবীরা কটূক্তিকারীদের পক্ষে রয়েছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, বাংলাদেশ সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমের দেশ। এখানে আল্লাহ ও রাসূলকে নিয়ে কটূক্তি করা হলে আমরা চুপচাপ বসে থাকবো না।

তারা আরও বলেন, এ দেশের মানুষের দিন শুরু হয় আজানের ধ্বনিতে। মুসলমানের এই দেশে যদি আল্লাহকে নিয়ে কেউ কটূক্তি করে, তাহলে তাকে জীবিত রাখা যাবে না। একজন ফাইভ পাস করা ব্যক্তি কিভাবে কোরআনের তাফসীর করার ধৃষ্টতা দেখায়? আবুল সরকার যে বক্তব্য দিয়েছে, এই বক্তব্যের পর আর কেউ মুসলমান থাকতে পারে না। সুতরাং আবুল সরকারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

S

Continue Reading