আন্তর্জাতিক
হঠাৎ কেন জেন জি বিক্ষোভে উত্তাল লাদাখ? কী চায় আন্দোলনকারীরা?
নিউজ ডেক্স
Published
2 weeks agoon
ভারতে হিমালয়ের সীমান্ত অঞ্চল লাদাখে জেন-জি প্রজন্মের বিক্ষোভ ভয়াবহ রক্তপাতের জন্ম দিয়েছে। সাংবিধানিক সুরক্ষা ও রাজ্য মর্যাদার দাবিতে শুরু হওয়া এই আন্দোলনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন।
সহিংস এই আন্দোলনে বিজেপির কার্যালয়েও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, হিমালয়ের উচ্চভূমির শীতল মরুভূমি অঞ্চল লাদাখে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বারবারই দেখা দিয়েছে ভারত-চীন উত্তেজনা। আর সেখানেই বুধবার জেন-জি প্রজন্মের নেতৃত্বে ভয়াবহ বিক্ষোভ শুরু হয়। ক্ষুব্ধ তরুণরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপির আঞ্চলিক কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করে।
লাদাখের আঞ্চলিক রাজধানী লেহ শহরে বিক্ষোভকারীরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ালে অন্তত চারজন নিহত ও আরও বহু মানুষ আহত হয়। আন্দোলন সমন্বয়কারীরা আল জাজিরাকে জানিয়েছেন, পরে সেখানে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয়। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সংঘর্ষে নিরাপত্তা বাহিনীরও বহু সদস্য আহত হয়েছে।
গত ছয় বছর ধরে লাদাখের মানুষ স্থানীয় সিভিল সংগঠনের নেতৃত্বে শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা, অনশন কর্মসূচি চালিয়ে আসছিলেন। তাদের দাবি— রাজ্য মর্যাদা পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও সাংবিধানিক সুরক্ষা। কিন্তু বুধবার ক্ষুব্ধ তরুণরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন ভেঙে সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ে।
শিক্ষক সোনাম ওয়াংচুক বহু অনশন কর্মসূচির নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি ভিডিও বার্তায় বলেন, “এটা তরুণদের এক ধরনের বিস্ফোরণ একটা জেন-জি বিপ্লব। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন আর কাজে আসছে না বলে তারা মনে করেছে।”
তিনি এ আন্দোলনের সঙ্গে নেপালসহ সম্প্রতি দক্ষিণ এশিয়ায় ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর তুলনাও টানেন।
কীভাবে শুরু হলো সংঘর্ষ?
বুধবার সকালে লাদাখ এপেক্স বডির নেতৃত্বে স্থানীয় আন্দোলনকারীদের অনশন ১৫তম দিনে প্রবেশ করে। আগের রাতে দুই প্রবীণ অনশনকারীকে হাসপাতালে নিতে হয়। এর পর সংগঠকেরা লকডাউনের ডাক দেন। একই সঙ্গে মোদি সরকারের পক্ষ থেকে আলোচনায় বিলম্বে ক্ষোভ বাড়তে থাকে।
এ পরিস্থিতিতে তরুণরা আন্দোলনের কেন্দ্র মার্টিয়ার্স মেমোরিয়াল পার্ক থেকে বেরিয়ে স্থানীয় সরকারি ভবন ও বিজেপি কার্যালয়ের দিকে অগ্রসর হয় এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। এতে চারজন নিহত, আরও অনেকে আহত হন। আহতদের মধ্যে একজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন।
লাদাখ এপেক্স বডির সমন্বয়ক জিগমাত পালজোর বলেন, “এটা লাদাখের ইতিহাসে সবচেয়ে রক্তাক্ত দিন। যারা রাস্তায় দাবি আদায়ে নেমেছিল, তাদের হত্যা করা হলো।”
ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, “অশান্ত ভিড়ের” সঙ্গে সংঘর্ষে ৩০ জনের বেশি পুলিশ আহত হয়েছে এবং আত্মরক্ষায় গুলি চালাতে বাধ্য হয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটে। মন্ত্রণালয়ের দাবি, ওয়াংচুক আন্দোলনকারীদের উসকে দিয়েছেন।
মোদি সরকারের অভিযোগ, ওয়াংচুক বিক্ষোভকারীদের উসকে দিয়েছেন। তিনি আরব বসন্তধর্মী আন্দোলন ও নেপালের জেন-জি বিক্ষোভের উল্লেখ করে তরুণদের বিভ্রান্ত করছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। তবে ওয়াংচুক জোর দিয়ে বলেন, তিনি কখনোই সহিংসতার আহ্বান জানাননি, বরং সতর্ক করেছিলেন যে দাবিগুলো উপেক্ষা করলে তরুণদের ক্ষোভ ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।
বিক্ষোভকারীদের দাবিগুলো কী?
২০১৯ সালে মোদি সরকার জম্মু-কাশ্মিরের বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা ও রাজ্য পদমর্যাদা বাতিল করে। তখন ওই রাজ্যের তিনটি অঞ্চল ছিল— মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মির উপত্যকা, হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ জম্মু এবং মুসলিম-বৌদ্ধ সমান জনসংখ্যার লাদাখ।
পরে জম্মু-কাশ্মিরকে একটি আইনসভাসহ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং লাদাখকে আইনসভাহীন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল বানানো হয়। এতে জম্মু-কাশ্মিরের জনগণ অন্তত স্থানীয় নেতাদের নির্বাচিত করতে পারে, কিন্তু লাদাখ পুরোপুরি আমলাতান্ত্রিক শাসনে চলে যায়।
লাদাখের ৯০ শতাংশ মানুষ ‘তফসিলি জনজাতি’ হিসেবে তালিকাভুক্ত। তাই তারা ভারতের সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলের আওতায় স্বায়ত্তশাসন ও সাংবিধানিক সুরক্ষা চাইছেন, যা উত্তর-পূর্ব ভারতের কিছু অঞ্চলে বিদ্যমান।
কিন্তু মোদি সরকার এ পর্যন্ত রাজ্য মর্যাদা কিংবা ষষ্ঠ তফসিলের সুরক্ষা কোনোটাই দিতে রাজি হয়নি।
এর ফলে কর্মসংস্থানও কঠিন হয়ে পড়েছে। আগে জম্মু-কাশ্মির একত্রে থাকায় লাদাখের লোকজনও সেখানকার চাকরিতে আবেদন করতে পারতেন। এখন সেটা আর সম্ভব নয়। স্থানীয়রা সরকারি চাকরিতে নিয়োগ নীতির অস্পষ্টতার অভিযোগও করেছেন।
ওয়াংচুক বলেন, “তরুণরা পাঁচ বছর ধরে বেকার, আর তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে— এটাই সমাজে অশান্তির কারণ।”
লাদাখে সাক্ষরতার হার ৯৭ শতাংশ, যেখানে ভারতের গড় মাত্র ৮০ শতাংশ। কিন্তু ২০২৩ সালের জরিপে দেখা গেছে, লাদাখের স্নাতক ডিগ্রিধারীদের মধ্যে ২৬.৫ শতাংশ বেকার— যা ভারতের জাতীয় গড়ের দ্বিগুণ।
কেন লাদাখ গুরুত্বপূর্ণ?
লাদাখ ভারতের হিমালয় সীমান্তে অবস্থিত, চীনের সঙ্গে সরাসরি সীমান্ত রয়েছে এখানে। এই অঞ্চলেই গুরুত্বপূর্ণ পাহাড়ি গিরিপথ, বিমানঘাঁটি ও সরবরাহপথ রয়েছে, যা ভারত-চীন যুদ্ধে সামরিক দিক থেকে অপরিহার্য।
২০২০ সালে লাদাখ সীমান্তে ভারত ও চীনের সেনারা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। তাতে অন্তত ২০ ভারতীয় ও ৪ চীনা সেনা নিহত হয়। এরপর থেকে দুই দেশ সীমান্তে ব্যাপক সেনা মোতায়েন করেছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক সিদ্দিক ওয়াহিদ বলেন, ২০১৯ সালে মোদি সরকারের পদক্ষেপের ফল এখন বুমেরাং হয়ে ফিরে আসছে। আগে কাশ্মির ছিল অশান্তির কেন্দ্র, এখন লাদাখও তাতে যোগ হলো।
অতীতেও কি লাদাখে আন্দোলন হয়েছে?
হ্যাঁ। বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর থেকে বিভিন্ন নাগরিক সংগঠন বিক্ষোভ মিছিল ও অনশন করেছে। ওয়াংচুক গত তিন বছরে পাঁচবার অনশন করেছেন। তার জীবন কাহিনী বলিউডের এক জনপ্রিয় সিনেমার অনুপ্রেরণা হয়ে চীনে বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
যে শহীদ স্মৃতি উদ্যানে অনশন চলছিল, সেটি ১৯৮৯ সালের আগস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত তিন লাদাখির স্মৃতিতে তৈরি। তখন কাশ্মিরি আধিপত্যের অভিযোগে প্রতিবাদ হয়েছিল। এখানেই ১৯৮১ সালে তফসিলি জনজাতির মর্যাদার দাবিতে নিহত দু’জনকেও স্মরণ করা হয়।
কিন্তু বুধবারের বিক্ষোভ লাদাখের রাজনৈতিক ইতিহাসে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী ঘটনা হয়ে রইল।
সরকারি আলোচক কমিটির সদস্য সাজাদ কারগিলি বলেন, “এই সহিংসতা আমাদের তরুণদের হতাশা স্পষ্ট করে দিয়েছে। সরকারকে বুঝতে হবে, সবাই শান্তিপূর্ণ অনশনে বসবে না। তরুণদের রাগ এখন বিস্ফোরণ হচ্ছে।”
S
You may like
-
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের অভিযোগ আফগানিস্তানের
-
ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর অস্ত্র কী করা হবে, যে তথ্য শোনা যাচ্ছে
-
যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার পরও গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল
-
তুর্কি ড্রামা ‘কুরলুস উসমান’ দেখে ইসলাম গ্রহণ করলেন নারী
-
যুদ্ধবিরতির জন্য প্রধান যেসব শর্ত দিলো ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী
-
ইসরায়েল সম্মত হলে তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি কার্যকর করবে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী
আন্তর্জাতিক
ক্যানসারের রেডিয়েশন থেরাপি নিচ্ছেন জো বাইডেন
Published
19 minutes agoon
অক্টোবর ১১, ২০২৫প্রোস্টেট ক্যানসারের চিকিৎসার অংশ হিসেবে বর্তমানে রেডিয়েশন থেরাপি নিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। শনিবার মার্কিন সাবেক এই প্রেসিডেন্টের একজন মুখপাত্র এই তথ্য জানিয়েছেন বলে খবর দিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
তিনি বলেছেন, ‘‘প্রোস্টেট ক্যানসারের চিকিৎসা পরিকল্পনার অংশ হিসেবে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বর্তমানে রেডিয়েশন থেরাপি ও হরমোন চিকিৎসা নিচ্ছেন।’’
আগামী নভেম্বরে ৮৩ বছর বয়সে পা দিতে যাচ্ছেন জো বাইডেন। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ত্বকের ক্যানসার কোষ অপসারণের জন্য ‘মোহস সার্জারি’ নামের এক অস্ত্রোপচার করান তিনি। ত্বক থেকে ক্যানসারযুক্ত কোষকে অপসারণের প্রক্রিয়াটি মোহস সার্জারি নামে পরিচিত। ত্বকের সবচেয়ে প্রচলিত ধরনের ক্যানসারের চিকিৎসায় এই পদ্ধতির ব্যবহার করেন চিকিৎসকরা।
গত মে মাসে ডেমোক্র্যাট দলীয় সাবেক এই প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, তার মেটাস্ট্যাটিক প্রোস্টেট ক্যানসার ধরা পড়েছে। বাইডেনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক দল বলেছে, সাবেক প্রেসিডেন্টের ক্যানসার আক্রমণাত্মক স্তরে থাকলে হরমোন-সংবেদনশীল। অর্থাৎ এই ক্যানসারের চিকিৎসায় সাড়া দেওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
গত মাসে ত্বকের ক্যানসারের চিকিৎসার সময় বাইডেনের কপালে বড় ধরনের ব্যান্ডেজ দেখা গিয়েছিল। অস্ত্রোপচারের পর চিকিৎসকরা বলেছিলেন, ক্যানসারযুক্ত সব টিস্যু সফলভাবে অপসারণ করা হয়েছে এবং অতিরিক্ত কোনও চিকিৎসার প্রয়োজন নেই।
বাইডেনের শরীরে শনাক্ত হওয়া প্রোস্টেট ক্যানসার ইতোমধ্যে তার হাড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। সেই সময় তার কার্যালয় বলেছিল, জো বাইডেন কয়েকটি চিকিৎসা পদ্ধতি বিবেচনা করছেন; যাতে রোগটি কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
নিজের রোগ নির্ণয়ের খবর প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বাইডেন লিখেছিলেন, ‘‘ক্যানসার আমাদের সবার জীবনেই কোনো না কোনোভাবে ছুঁয়ে যায়। আমি আর জিল শিখেছি, ভাঙনের মধ্যেই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি লুকিয়ে আছে। আমাদের ভালোবাসা ও সমর্থনে জড়িয়ে রাখার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।
সেই সময় দেশটির সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজকে কয়েকজন ক্যানসার বিশেষজ্ঞ বলেছিলেন, বাইডেনের ক্যানসার যেহেতু ছড়িয়ে পড়েছে। এর মানে হলো এটি কয়েক বছর আগেই তার শরীরে সংক্রমণ শুরু করেছিল; কিন্তু ধরা পড়েনি।
তাদের মতে, বাইডেনের বয়সের পুরুষদের সাধারণত প্রোস্টেট ক্যানসারের নিয়মিত পরীক্ষা করা হয় না। আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটি ৫০ থেকে ৬০ বছর বয়সী পুরুষদের প্রতি দুই বছর অন্তর এই পরীক্ষা করার পরামর্শ দেয়।
বাইডেন প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন সর্বশেষ স্বাস্থ্য পরীক্ষায় প্রোস্টেট স্ক্রিনিং করিয়েছিলেন কি না, তা স্পষ্ট নয়। তবে বর্তমানে তিনি ভালো আছেন বলে তার চিকিৎসক দল জানিয়েছে।
সূত্র: রয়টার্স, এনবিসি নিউজ।
S
আন্তর্জাতিক
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের অভিযোগ আফগানিস্তানের
Published
23 hours agoon
অক্টোবর ১০, ২০২৫পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে দেশটির অন্তর্বর্তী সরকার। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) আফগান প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, পাকিস্তান তাদের রাজধানী কাবুলের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে। এছাড়া মার্ঘা অঞ্চলের পাকতিকাতে একটি মার্কেটে বোমাবর্ষণ করেছে।
এটিকে ‘আফগানিস্তান-পাকিস্তানের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন, সহিংস ও নিন্দনীয়’ কাজ হিসেবে অভিহিত করেছে আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তারা বলেছে, “আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্বের ওপর এই আগ্রাসনের আমরা তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। নিজ ভূখণ্ডের সুরক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অবিচ্ছেদ্য ও বৈধ অধিকার। মনে রাখা উচিত, এই ধরনের ঔদ্ধত্যপূর্ণ কর্মকাণ্ডের ফলে সৃষ্ট যেকোনো পরিস্থিতির কঠোর পরিণতির জন্য পাকিস্তান সেনাবাহিনী এককভাবে দায়ী থাকবে।”
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। ওই সময় গোলাগুলির শব্দও ভেসে আসে।
পরবর্তীতে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের বিভিন্ন মাধ্যম থেকে খবর আসতে থাকে সন্ত্রাসী সংগঠন পাকিস্তান তেহরিক-ই-তালেবানের (টিটিপি) প্রধান নেতা নূর ওয়ালী মেসুদকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়েছে।
তবে তালেবান সরকারের প্রধান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ এ তথ্য অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, টিটিপির প্রধান কাবুলে উপস্থিত ছিলেন না।
এদিকে আজ শুক্রবার পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মুখপাত্র লেফটেনেন্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী পেশোয়ারে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন। তবে আফগানিস্তানে হামলার বিষয়ে তিনি সরাসরি কিছু বলেননি। আবার হামলার অভিযোগ প্রত্যাখ্যানও করেননি। তিনি শুধু বলেছেন, “আমাদের নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য যা করার প্রয়োজন আমরা তা করছি এবং সেটি অব্যাহত থাকবে।”
তিনি অভিযোগ করেন, “পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদের জন্য আফগানিস্তানকে ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে ভারত।” তার এ দাবির পর এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি নয়াদিল্লি।
পাকিস্তানের এ সেনা কর্মকর্তা বলেছেন, এ বছর খাইবার পাখতুনখাওয়ায় তারা ৯১৭ সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছেন। এ সময় নিহত হয়েছে তাদের আরও ৩১১ সেনা। ওই ৯১৭ সন্ত্রাসীর মধ্যে ১৩৫ জন আফগান নাগরিক দাবি করে তিনি বলেন, এরমাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে আফগানিস্তান পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদে মদদ দিচ্ছে।
সূত্র: আনাদোলু
S
আন্তর্জাতিক
ইসরায়েলি সেনারা সরার পর গাজা সিটিতে মিলল অনেক মরদেহ, আরও থাকার শঙ্কা
Published
1 day agoon
অক্টোবর ১০, ২০২৫ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পর গাজা সিটি থেকে শুধুমাত্র আজই ৩৩টি মরদেহ পাওয়া গেছে। দখলদার ইসরায়েলের সেনারা সরে যাওয়ার পর এসব মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। যেগুলোর কয়েকটি বিকৃত হয়ে গেছে। পরিচয় শনাক্ত করতে সেগুলো আল-শিফা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গাজার মধ্যে যত হাসপাতাল আছে সেগুলোর মধ্যে আল-শিফায় শুধুমাত্র ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ আছে। যেখানে মরদেহগুলোর পরিচয় শনাক্ত করা যাবে।
আল-শিফা হাসপাতালের পরিচালক ডাক্তার মোহাম্মেদ আবু সালমিয়া সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে নিশ্চিত করেছেন, গাজা সিটি থেকে ৩৩টি মরদেহ আনা হয়েছে।
সেখানে আরও মরদেহ থাকার শঙ্কা করা হচ্ছে। দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মরদেহগুলো পাওয়া যেতে পারে। দখলদারদের হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৬৫ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন।
দলে দলে বাড়ি ফিরছেন গাজার মানুষ
দখলদার ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর আজ বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫টার দিকে ইসরায়েলি সেনারা চুক্তি অনুযায়ী গাজার জনবহুল এলাকা থেকে সরে যায়। এরপর দলে দলে মানুষ নিজ বাড়িতে ফেরা শুরু করেন।
একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, হাজার হাজার মানুষ সমুদ্র ঘেঁষা আল-রশিদ সড়কে অপেক্ষা করছেন। গতকাল রাত থেকেই তারা এখানে ছিলেন। এরপর ইসরায়েলি সেনারা যখন সরে গেছে তখন তারা গাজার উত্তরাঞ্চলে নিজেদের বাড়ির দিকে যাওয়া শুরু করে।
গাজায় আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) একটি নির্দেশনা জারি করেছে। গাজার মানুষকে সতর্কতা দিয়ে আইডিএফ বলেছে, তাদের সেনারা যেখানে আছেন সেখানে যেন কোনো বেসামরিক মানুষ না যান।
সূত্র: সিএনএন
S