জাতীয়
ইসির সংলাপ শুরু ২৮ সেপ্টেম্বর
ডিজিটাল দর্পণ ডেস্ক
Published
3 weeks agoon
আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে সংলাপ শুরু করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ সংলাপের প্রথম ধাপে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে শিক্ষাবিদসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ইসির জনসংযোগ পরিচালক রুহুল আমিন মল্লিক এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের সম্মতির পর আমন্ত্রিতদের কাছে চিঠি পাঠানো হবে। আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে ২৮ সেপ্টেম্বর সংলাপের বিষয়ে অনুমোদন চেয়েছি। সম্ভাব্য এ সময় থেকে সংলাপ শুরু হয়ে ধাপে ধাপে অন্যদেরও আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে কমিশন। তবে এবারের সংলাপে আলোচ্যসূচি কী নির্ধারণ করা হয়েছে সে বিষয়ে জানানো হয়নি। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দলগুলোর ধারাবাহিক সংলাপ চলছে। এ কমিশনের মেয়াদও রয়েছে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত।
ইসির ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী, নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল, শিক্ষাবিদ, সুশীল সমাজ, নারী সমাজের প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মীসহ অংশীজনদের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ শুরু করে চলবে এক থেকে দেড় মাস পর্যন্ত।
জানা যায়, নতুন দলের নিবন্ধন প্রক্রিয়া চলমান থাকায় অক্টোবরে দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের পরিকল্পনা রয়েছে ইসির।
ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, সংলাপে যাদের আমন্ত্রণ জানানো হবে, তাদের তালিকা তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। সংলাপসূচি নির্ধারণের অন্তত সপ্তাহ বা ১০ দিন আগে দলগুলোকে চিঠি (আমন্ত্রণ, কতজন প্রতিনিধি আসবে, লিখিত মতামত) পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে সাপ্তাহিক ছুটি, পূজা ও অন্যান্য ছুটি বিবেচনায় রেখে অক্টোবরজুড়ে দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ চলতে পারে।
এম এম নাসির উদ্দিন নেতৃত্বাধীন কমিশনের এটি হবে প্রথম সংলাপ আয়োজন। নির্বাচনী আইনি সংস্কার, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, পোস্টাল ব্যালটসহ ভোট সম্পৃক্ত সার্বিক বিষয় এ সংলাপে স্থান পাবে।
উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমান মাসউদ বলেছেন, রোডম্যাপে যে সময় রয়েছে, সে অনুযায়ী এ মাসের শেষ দিকে শুরু করব। ইসি সচিবালয় এটা জানিয়ে দেবে। দুয়েক দিন এদিক-ওদিক হতে পারে, তবে রোডম্যাপ অনুসরণ করেই এগোব।
S
You may like
-
ইসির নীতিমালা স্বাধীন সাংবাদকিতার সঙ্গে সাংঘর্ষিক : কাদের গণি চৌধুরী
-
গণমাধ্যমকে ‘ইসির ঢোল’ বাজিয়ে দিতে বললেন সিইসি
-
ইসির একার পক্ষে নির্বাচন সামাল দেওয়া সম্ভব হবে না : সিইসি
-
এনসিপির জন্য আছে খাট-সোফা-টেবিল-ফ্রিজসহ ৫০ প্রতীক
-
নিবন্ধনের শর্ত পূরণ করেছে এনসিপি : ইসি
-
আগামী নির্বাচনে পলাতক ফ্যাসিস্ট শক্তি মোকাবিলাই বড় চ্যালেঞ্জ : আইজিপি
জাতীয়
ইসির নীতিমালা স্বাধীন সাংবাদকিতার সঙ্গে সাংঘর্ষিক : কাদের গণি চৌধুরী
Published
22 minutes agoon
অক্টোবর ১১, ২০২৫ভোটের খবর সংগ্রহের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রণীত নীতিমালা স্বাধীন সাংবাদিকতার সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী। তিনি বলেছেন, এটা কোনো অবস্থাতেই মেনে নেওয়ার সুযোগ আছে বলে মনে করি না।
আজ (শনিবার) ‘নির্বাচন কমিশন প্রণীত সাংবাদিকদের জন্য নীতিমালা-২০২৫’ শীর্ষক পর্যালোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের গণি চৌধুরী বলেন, প্রিজাইডিং কর্মকর্তার অনুমতি নিয়ে সাংবাদিকদের ভোটকক্ষে প্রবেশের কথা বলা হয়েছে সাংবাদিক নীতিমালায়। যদি অবহিত করে প্রবেশ করতে হয় তাহলে আমাকে কেন নির্বাচন কার্ড দিচ্ছে ইসি? আবার প্রিজাইডিং কর্মকর্তা নিজেই যদি অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকে, তাহলে কি তিনি অনুমতি দেবেন? আবার শত শত মিডিয়াকে অনুমতির জন্য কথা বলতে গেলে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা তার কাজ কিভাবে করবেন? কাজেই এই নীতিমালা কোনো অবস্থাতেই যুক্তিযুক্ত নয়। আমি মনে করি স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এই আদেশটি একেবারে সাংঘর্ষিক। এটা কোনো অবস্থাতেই মেনে নেওয়ার সুযোগ আছে বলে আমি মনে করি না।
ভোটকক্ষে সাংবাদিকদের নির্দিষ্ট সময়ের উপস্থিতি সংশ্লিষ্ট নীতিমালার বিষয়ে তিনি বলেন, ভোটকক্ষে প্রবেশের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে একজন সাংবাদিক ১০ মিনিটের বেশি কক্ষে অবস্থান করতে পারবেন না। আমার প্রশ্ন হলো ১০ মিনিট কেন? ওখানে যদি কারচুপি হয়, সাংবাদিকরা গেলেন, ১০ মিনিট কারচুপিটা বন্ধ থাকলো। ১০ মিনিট কারচুপিটা হলো না। সাংবাদিকরা চলে আসার পর আবার যে কারচুপি হবে না এর গ্যারান্টিটা কী? তাহলে সঠিক তথ্যটা জাতি কিভাবে জানবে, নির্বাচন কমিশন কিভাবে জানবে?
কাদের গণি চৌধুরী বলেন, যে নীতিমালাটি তৈরি করা হয়েছে এতে মূর্তির মতো সাংবাদিকদের দাঁড়িয়ে থাকা ছাড়া আর কোনো কাজ আছে বলে মনে হয় না। ভোটকক্ষের বাইরের দিকে কিছু দেখবেন, আর ভেতরে কী হচ্ছে, এটার জন্য মূর্তির মতো শুধু আপনি দাঁড়িয়ে থাকবেন!
তিনি বলেন, আমরা মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে থাকার জন্য সাংবাদিকতা করতে আসিনি। আশা করছি নির্বাচন কমিশন একটা সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে সাংবাদিকদের নিরপেক্ষভাবে কাজ করার, সত্য তুলে ধরার জন্য সর্বদা সহযোগিতা করবেন।
এ সময় তিনি ইসির প্রতি কিছু প্রস্তাব তুলে ধরে বলেন, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে প্রদত্ত বৈধ কার্ডধারী বা পাসধারী সাংবাদিক, তারা সরাসরি ভোটকক্ষে কারোরই কোনো প্রকার অনুমতি না নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন, কারো অনুমতি নিতে হবে না এই বিধান করতে হবে। এক্ষেত্রে গোপন কক্ষের ভেতরের ছবি ধারণ করতে পারবেন না। তবে গোপন কক্ষে কোনো অনিয়মের ঘটনা ঘটলে সে ছবি এবং ভিডিও ধারণ করতে পারবেন। এ ছাড়া বিশিষ্ট ব্যক্তির ভোটদানের ফটো তোলা, ভিডিও ধারণ করার জন্য একসঙ্গে একাধিক সাংবাদিক প্রবেশের বিধান থাকতে হবে। তবে ভোট গণনার ফটো ও ভিডিও নিতে পারলেও সরাসরি সম্প্রচার করতে পারবেন না। কেবল অনিয়ম হলে সম্প্রচার করতে পারবেন এমন বিধান করতে হবে। একই সঙ্গে তিনি প্রকৃত সাংবাদিকদেরই কেবল সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে সাংবাদিক কার্ড দিতে হবে।
বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশনের সহযোগিতায় দ্য ডেইলি স্টার ভবনের সভাকক্ষে সভাটি আয়োজন করে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি) ও রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি)। বিজেসির চেয়ারম্যান রেজোয়ানুল হক রাজার সভাপতিত্বে ও বিজেসির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সচিব ও আরটিভির হেড অব নিউজ ইলিয়াস হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে সাবেক নির্বাচন কমিশনার ও অন্তর্বর্তী সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, আরএফইডি সভাপতি কাজী এমাদ উদ্দীন (জেবেল), সাধারণ সম্পাদক গোলামী রাব্বানীসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
S
জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান দুই দিন পেছানো হয়েছে। ১৫ অক্টোবর বুধবারের পরিবর্তে ১৭ অক্টোবর শুক্রবার জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হবে। জনসাধারণের অংশগ্রহণের সুবিধার্থে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে এ অনুষ্ঠান আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শনিবার (১১ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বৈঠক শেষে কমিশনের সহ সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ জানান, জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। আগ্রহী জনগণের অংশগ্রহণের সুবিধার্থে অনুষ্ঠানটি ১৭ অক্টোবর, শুক্রবার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে। যদিও এর আগে কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল যে, ১৫ অক্টোবর বুধবার বিকেলে জুলাই সনদ স্বাক্ষরিত হবে।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোটের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। এ ছাড়া বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হবে।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
S
ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্ত হওয়ার পর বাংলাদেশি আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলম তুরস্কে পৌঁছেছেন। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।
ওই পোস্টে কিছু ছবি প্রকাশ করে লেখা হয়, শুক্রবার টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ইসরায়েল থেকে ফিরে আসার পর বাংলাদেশি আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলমকে স্বাগত জানিয়েছেন বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
এর আগে বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় জানানো হয়, বাংলাদেশি আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলম ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন। তিনি মুক্তি পাওয়ায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শহিদুল আলম দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের নৃশংসতা বন্ধ এবং গাজায় ইসরায়েলি নৌ অবরোধ ভাঙার প্রত্যয় নিয়ে ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন নৌযাত্রা শুরু করেছিল গাজা অভিমুখে। ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে আত্মপ্রকাশ করা আরেক উদ্যোগ থাউজেন্ড ম্যাডলিনস টু গাজার আটটি নৌযানও এ যাত্রায় অংশ নিয়েছিল। মোট ৯টি নৌযানের এ বহরে বিভিন্ন দেশের রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, চিকিৎসক ও অধিকার কর্মীরা যোগ দিয়েছিলেন। সেই দলে ছিলেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। গত বুধবার এই নৌবহরে আক্রমণ করে সব অধিকারকর্মী ও নাবিককে ধরে নিয়ে যায় ইসরায়েলি সেনারা।
আটকের পর থেকে শহিদুল আলমকে মুক্ত করতে তৎপর হয় বাংলাদেশ। শুক্রবার সকালে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে জানানো হয়, ইসরায়েলিদের হাতে শহিদুল আলমের অবৈধ আটকের ঘটনার পর বাংলাদেশ সরকার দ্রুত কূটনৈতিক উদ্যোগ নেয়। জর্ডান, মিশর ও তুরস্কে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাসকে সংশ্লিষ্ট দেশের পররাষ্ট্র দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে শহিদুল আলমের দ্রুত মুক্তির বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
S