আন্তর্জাতিক
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে বৈশ্বিক সম্মেলন নিউইয়র্কে, আয়োজক ফ্রান্স-সৌদি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
Published
3 weeks agoon
ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করতে এবং মধ্যপ্রাচ্যের আল-আকসা অঞ্চলে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান (টু স্টেট সলিউশন) বাস্তবায়নের দাবিতে বৈশ্বিক সম্মেলন শুরু হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে। আজ সোমবার স্থানীয় সময় বিকেল ৩ টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ১টা) নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে শুরু হবে এই সম্মেলন।
বৈশ্বিক এই সম্মেলনের আয়োজক ফ্রান্স এবং সৌদি আরব। ফ্রান্স জাতিসংঘের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর সংস্থা নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য।
গত শনি এবং রোববার ফিলিস্তিনকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা এবং পর্তুগাল। সম্মেলনের মধ্যে এবং পরে ফ্রান্স, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা, সান ম্যারিনো, অ্যান্ডোরাসহ আরও কয়েকটি দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে বলে জানা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল এই সম্মেলন বয়কট করেছে। ইসরায়েলের জাতিসংঘ প্রতিনিধি দলের সদস্য ড্যানি ডেনন বৈশ্বিক এ সম্মেলকে ‘সার্কাস’ উল্লেখ করে বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেছেন, “এই সম্মেলনে কোনো কাজ হবে বলে আমাদের মনে হয় না এবং আমরা মনে করি, সন্ত্রাসবাদকে পুরস্কৃত করতে এই সম্মেলনের ডাক দেওয়া হয়েছে।”
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু অবশ্য তার রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকেই দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের বিরোধী। তার নির্দেশে গত প্রায় ২ বছর ধরে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় সামরিক অভিযান পরিচালনা করছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। গত দু’ বছর ধরে একদিকে নির্মম সামরিক অভিযানে গাজা উপত্যকাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করা হয়েছে, অন্যদিকে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর এলাকায় ইসরায়েলের দখলকৃত এলাকার সীমানাও বাড়ানো হচ্ছে।
গত দু’বছরে কয়েক বার গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের পাশাপাশি পশ্চিম তীল এলাকায় দখলকৃত এলাকা সম্প্রসারণ নিয়ে ইসরায়েলকে সতর্কবার্তা দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের নেতৃস্থানীয় দেশ সৌদি আরব, যার সঙ্গে বহুদিন ধরে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। সংযুক্ত আরব আমিরাতও পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের দখলদারিত্ব সম্প্রসারণকে ‘রেড লাইন’ বলে উল্লেখ করেছে। আমিরাতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক আছে ইসরায়েলের।
বস্তুত, গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধ না করা এবং পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের দখলদারিত্ব বেড়ে যাওয়ায় আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ‘দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান’ বিলুপ্তির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই জাতিসংঘেল সমর্থনের ভিত্তিতে নিউইয়র্কে শুরু হতে যাচ্ছে এই বৈশ্বিক সম্মেলন।
চলতি মাসের শুরুর দিকে সাত পৃষ্ঠার একটি নথি প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ। সেখানে বৈশ্বিক এ সম্মেলনকে দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের পক্ষে ‘বাস্তব, সময়োচিত এবং অপরববর্তনীয় পদক্ষেপ’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। নথিতে গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসকে অস্ত্র সমর্পণের আহ্বান জানানোর পাশাপাশি গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে পরিচালিত সন্ত্রাসী হামলার নিন্দাও করা হয়েছে।
সম্মেলনের অন্যতম আয়োজক দেশ ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেন নয়েল ব্যারট রোববার সাংবাদিকদের বলেছেন, “আসন্ন বৈশ্বিক সম্মেলন সুদূর ভবিষ্যতের প্রতি কোনো ফাঁপা প্রতিশ্রুতি নয়, বরং এই সম্মেলনের মূল লক্ষ্য ফিলিস্তিনে যুদ্ধবিরতি, বন্দি ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি, গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশ অবাধ থাকার একটি রোডম্যাপ প্রণয়ন করা।”
“যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মিদের মুক্তির পর মধ্যপ্রাচ্যের আল আকসা অঞ্চলে ভবিষ্যৎ কী হবে, সে বিষয়ক সিদ্ধান্ত নিতেই নিউইয়র্কে বৈশ্বিক এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।”
সূত্র : এএফপি, রয়টার্স
S
You may like
-
তুরস্কে পৌঁছালেন শহিদুল আলম
-
ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর অস্ত্র কী করা হবে, যে তথ্য শোনা যাচ্ছে
-
ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী চুক্তি স্বাক্ষরের পর গাজায় উচ্ছ্বাস
-
যুদ্ধবিরতির জন্য প্রধান যেসব শর্ত দিলো ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী
-
জিম্মিদের ফেরানোর দাবিতে ইসরায়েলে মন্ত্রী-এমপিদের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ
-
ইসরায়েল সম্মত হলে তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি কার্যকর করবে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী
প্রোস্টেট ক্যানসারের চিকিৎসার অংশ হিসেবে বর্তমানে রেডিয়েশন থেরাপি নিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। শনিবার মার্কিন সাবেক এই প্রেসিডেন্টের একজন মুখপাত্র এই তথ্য জানিয়েছেন বলে খবর দিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
তিনি বলেছেন, ‘‘প্রোস্টেট ক্যানসারের চিকিৎসা পরিকল্পনার অংশ হিসেবে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বর্তমানে রেডিয়েশন থেরাপি ও হরমোন চিকিৎসা নিচ্ছেন।’’
আগামী নভেম্বরে ৮৩ বছর বয়সে পা দিতে যাচ্ছেন জো বাইডেন। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ত্বকের ক্যানসার কোষ অপসারণের জন্য ‘মোহস সার্জারি’ নামের এক অস্ত্রোপচার করান তিনি। ত্বক থেকে ক্যানসারযুক্ত কোষকে অপসারণের প্রক্রিয়াটি মোহস সার্জারি নামে পরিচিত। ত্বকের সবচেয়ে প্রচলিত ধরনের ক্যানসারের চিকিৎসায় এই পদ্ধতির ব্যবহার করেন চিকিৎসকরা।
গত মে মাসে ডেমোক্র্যাট দলীয় সাবেক এই প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, তার মেটাস্ট্যাটিক প্রোস্টেট ক্যানসার ধরা পড়েছে। বাইডেনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক দল বলেছে, সাবেক প্রেসিডেন্টের ক্যানসার আক্রমণাত্মক স্তরে থাকলে হরমোন-সংবেদনশীল। অর্থাৎ এই ক্যানসারের চিকিৎসায় সাড়া দেওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
গত মাসে ত্বকের ক্যানসারের চিকিৎসার সময় বাইডেনের কপালে বড় ধরনের ব্যান্ডেজ দেখা গিয়েছিল। অস্ত্রোপচারের পর চিকিৎসকরা বলেছিলেন, ক্যানসারযুক্ত সব টিস্যু সফলভাবে অপসারণ করা হয়েছে এবং অতিরিক্ত কোনও চিকিৎসার প্রয়োজন নেই।
বাইডেনের শরীরে শনাক্ত হওয়া প্রোস্টেট ক্যানসার ইতোমধ্যে তার হাড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। সেই সময় তার কার্যালয় বলেছিল, জো বাইডেন কয়েকটি চিকিৎসা পদ্ধতি বিবেচনা করছেন; যাতে রোগটি কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
নিজের রোগ নির্ণয়ের খবর প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বাইডেন লিখেছিলেন, ‘‘ক্যানসার আমাদের সবার জীবনেই কোনো না কোনোভাবে ছুঁয়ে যায়। আমি আর জিল শিখেছি, ভাঙনের মধ্যেই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি লুকিয়ে আছে। আমাদের ভালোবাসা ও সমর্থনে জড়িয়ে রাখার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।
সেই সময় দেশটির সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজকে কয়েকজন ক্যানসার বিশেষজ্ঞ বলেছিলেন, বাইডেনের ক্যানসার যেহেতু ছড়িয়ে পড়েছে। এর মানে হলো এটি কয়েক বছর আগেই তার শরীরে সংক্রমণ শুরু করেছিল; কিন্তু ধরা পড়েনি।
তাদের মতে, বাইডেনের বয়সের পুরুষদের সাধারণত প্রোস্টেট ক্যানসারের নিয়মিত পরীক্ষা করা হয় না। আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটি ৫০ থেকে ৬০ বছর বয়সী পুরুষদের প্রতি দুই বছর অন্তর এই পরীক্ষা করার পরামর্শ দেয়।
বাইডেন প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন সর্বশেষ স্বাস্থ্য পরীক্ষায় প্রোস্টেট স্ক্রিনিং করিয়েছিলেন কি না, তা স্পষ্ট নয়। তবে বর্তমানে তিনি ভালো আছেন বলে তার চিকিৎসক দল জানিয়েছে।
সূত্র: রয়টার্স, এনবিসি নিউজ।
S
আন্তর্জাতিক
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের অভিযোগ আফগানিস্তানের
Published
1 day agoon
অক্টোবর ১০, ২০২৫পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে দেশটির অন্তর্বর্তী সরকার। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) আফগান প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, পাকিস্তান তাদের রাজধানী কাবুলের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে। এছাড়া মার্ঘা অঞ্চলের পাকতিকাতে একটি মার্কেটে বোমাবর্ষণ করেছে।
এটিকে ‘আফগানিস্তান-পাকিস্তানের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন, সহিংস ও নিন্দনীয়’ কাজ হিসেবে অভিহিত করেছে আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তারা বলেছে, “আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্বের ওপর এই আগ্রাসনের আমরা তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। নিজ ভূখণ্ডের সুরক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অবিচ্ছেদ্য ও বৈধ অধিকার। মনে রাখা উচিত, এই ধরনের ঔদ্ধত্যপূর্ণ কর্মকাণ্ডের ফলে সৃষ্ট যেকোনো পরিস্থিতির কঠোর পরিণতির জন্য পাকিস্তান সেনাবাহিনী এককভাবে দায়ী থাকবে।”
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। ওই সময় গোলাগুলির শব্দও ভেসে আসে।
পরবর্তীতে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের বিভিন্ন মাধ্যম থেকে খবর আসতে থাকে সন্ত্রাসী সংগঠন পাকিস্তান তেহরিক-ই-তালেবানের (টিটিপি) প্রধান নেতা নূর ওয়ালী মেসুদকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়েছে।
তবে তালেবান সরকারের প্রধান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ এ তথ্য অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, টিটিপির প্রধান কাবুলে উপস্থিত ছিলেন না।
এদিকে আজ শুক্রবার পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মুখপাত্র লেফটেনেন্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী পেশোয়ারে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন। তবে আফগানিস্তানে হামলার বিষয়ে তিনি সরাসরি কিছু বলেননি। আবার হামলার অভিযোগ প্রত্যাখ্যানও করেননি। তিনি শুধু বলেছেন, “আমাদের নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য যা করার প্রয়োজন আমরা তা করছি এবং সেটি অব্যাহত থাকবে।”
তিনি অভিযোগ করেন, “পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদের জন্য আফগানিস্তানকে ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে ভারত।” তার এ দাবির পর এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি নয়াদিল্লি।
পাকিস্তানের এ সেনা কর্মকর্তা বলেছেন, এ বছর খাইবার পাখতুনখাওয়ায় তারা ৯১৭ সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছেন। এ সময় নিহত হয়েছে তাদের আরও ৩১১ সেনা। ওই ৯১৭ সন্ত্রাসীর মধ্যে ১৩৫ জন আফগান নাগরিক দাবি করে তিনি বলেন, এরমাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে আফগানিস্তান পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদে মদদ দিচ্ছে।
সূত্র: আনাদোলু
S
আন্তর্জাতিক
ইসরায়েলি সেনারা সরার পর গাজা সিটিতে মিলল অনেক মরদেহ, আরও থাকার শঙ্কা
Published
1 day agoon
অক্টোবর ১০, ২০২৫ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পর গাজা সিটি থেকে শুধুমাত্র আজই ৩৩টি মরদেহ পাওয়া গেছে। দখলদার ইসরায়েলের সেনারা সরে যাওয়ার পর এসব মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। যেগুলোর কয়েকটি বিকৃত হয়ে গেছে। পরিচয় শনাক্ত করতে সেগুলো আল-শিফা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গাজার মধ্যে যত হাসপাতাল আছে সেগুলোর মধ্যে আল-শিফায় শুধুমাত্র ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ আছে। যেখানে মরদেহগুলোর পরিচয় শনাক্ত করা যাবে।
আল-শিফা হাসপাতালের পরিচালক ডাক্তার মোহাম্মেদ আবু সালমিয়া সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে নিশ্চিত করেছেন, গাজা সিটি থেকে ৩৩টি মরদেহ আনা হয়েছে।
সেখানে আরও মরদেহ থাকার শঙ্কা করা হচ্ছে। দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মরদেহগুলো পাওয়া যেতে পারে। দখলদারদের হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৬৫ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন।
দলে দলে বাড়ি ফিরছেন গাজার মানুষ
দখলদার ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর আজ বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫টার দিকে ইসরায়েলি সেনারা চুক্তি অনুযায়ী গাজার জনবহুল এলাকা থেকে সরে যায়। এরপর দলে দলে মানুষ নিজ বাড়িতে ফেরা শুরু করেন।
একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, হাজার হাজার মানুষ সমুদ্র ঘেঁষা আল-রশিদ সড়কে অপেক্ষা করছেন। গতকাল রাত থেকেই তারা এখানে ছিলেন। এরপর ইসরায়েলি সেনারা যখন সরে গেছে তখন তারা গাজার উত্তরাঞ্চলে নিজেদের বাড়ির দিকে যাওয়া শুরু করে।
গাজায় আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) একটি নির্দেশনা জারি করেছে। গাজার মানুষকে সতর্কতা দিয়ে আইডিএফ বলেছে, তাদের সেনারা যেখানে আছেন সেখানে যেন কোনো বেসামরিক মানুষ না যান।
সূত্র: সিএনএন
S