Connect with us

খেলা

ব্যালন ডি’অরের দৌড়ে এগিয়ে তিন তারকা, কে জিতবেন শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কার?

Digital Darpan

Published

on

দলীয় খেলা ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ব্যক্তিগত পুরস্কার ব্যালন ডি’অর। বিশ্বের সব ফুটবলারেরই স্বপ্ন থাকে একবার হলেও এই পুরস্কার জেতা। বছর ঘুরে আবারও ফিরছে ব্যালন ডি’অরের জমকালো আয়োজনে। ফ্রান্সের প্যারিসের থিয়েটার দ্য শার্লটে আজ (সোমবার) অনুষ্ঠিত হবে এর ৬৯তম আসর। যেখানে সেরা ফুটবলার হওয়ার দৌড়ে আছেন বেশ কয়েকজন।

এবারের অনুষ্ঠানে যথারীতি ইউরোপিয়ান ফুটবলের সেরা পুরুষ ও নারী ফুটবলার, গোলরক্ষক, তরুণ খেলোয়াড়, সর্বোচ্চ গোলদাতা ও কোচদের সম্মাননা দেয়া হবে। তবে আকর্ষণের কেন্দ্রে সাধারণত বর্ষসেরা পুরুষ ফুটবলারই থাকেন। দীর্ঘদিন ধরে ব্যালন ডি’অর পুরস্কারের দৌড়ে একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর। মেসি রেকর্ড আটবার ও রোনালদো পাঁচবার এই পুরস্কার জিতেছেন।

অবশ্য ক্যারিয়ারের পড়ন্ত বেলায় থাকা মেসি ও রোনালদোর কেউই ৩০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকায় নেই। এবারের তালিকায় ঠাঁই পেয়েছেন জুড বেলিংহাম, আর্লিং হালান্ড, কিলিয়ান এমবাপ্পে, হ্যারি কেইন, রবার্ট লেভানদোভস্কি ও ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের মতো তারকারা। তবে পুরস্কার জেতার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে আছেন তিনজন।

ফরাসি ক্লাব পিএসজিকে ট্রেবল জেতানো উসমান দেম্বেলে এবার ব্যালন ডি’অর জয়ের দৌড়ের শীর্ষ ফেভারিট। চ্যাম্পিয়নস লিগের সেরা খেলোয়াড়ও হয়েছিলেন তিনি। গোল করে এবং গোল করিয়ে ব্যালন ডি’অর জেতার দৌড়ে সবার চেয়ে এগিয়ে আছেন তিনি। এছাড়া ফ্রান্সের অনেক সংবাদমাধ্যমই দেম্বেলেকে পুরস্কার জয়ী হিসেবে এগিয়ে রেখেছে।

তবে দেম্বেলেকে নিশ্চিত হতে দিচ্ছেন না দুজন ফুটবলার, যারা আবার একই ক্লাবে খেলেন। বার্সেলোনার রাফিনহা ও লামিনে ইয়ামাল দুজনের যে কেউ ব্যালন ডি’অর জিততে পারেন। যদিও দীর্ঘদিন ধরে ধারণা করা হচ্ছিল ব্যালনের লড়াই হবে মূলত ইয়ামাল আর দেম্বেলের মাঝে। তবে শেষ মুহূর্তে দৌড়ে এগিয়ে এসেছেন রাফিনহাও।

ব্যালন ডি’অর ২০২৫ এর জন্য মনোনয়ন পেয়েছেন যারা-

জুড বেলিংহাম (ইংল্যান্ড, রিয়াল মাদ্রিদ), উসমান দেম্বেলে (ফ্রান্স, প্যারিস সেন্ট জার্মেই), জিয়ানলুইজি দোন্নারুমা (ইতালি, প্যারিস সেন্ট জার্মেই), দেজিরে দুয়ে (ফ্রান্স, প্যারিস সেন্ট জার্মেই), ডেনজেল ডামফ্রিস (নেদারল্যান্ডস, ইন্টার মিলান), সেরহু গুরেসি (গিনি, বরুশিয়া ডর্টমুন্ড), ভিক্টর গিয়োকেরেস (সুইডেন, স্পোর্টিং সিপি/আর্সেনাল), আর্লিং হালান্ড (নরওয়ে, ম্যানচেস্টার সিটি), আশরাফ হাকিমি (মরক্কো, প্যারিস সেন্ট জার্মেই), হ্যারি কেইন (ইংল্যান্ড, বায়ার্ন মিউনিখ), খভিচা কভারাৎসখেলিয়া (জর্জিয়া, নাপোলি/পিএসজি), রবার্ট লেভানদোভস্কি (পোল্যান্ড, বার্সেলোনা), অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার (আর্জেন্টিনা, লিভারপুল), লাউতারো মার্টিনেস (আর্জেন্টিনা, ইন্টার মিলান), কিলিয়ান এমবাপ্পে (ফ্রান্স, রিয়াল মাদ্রিদ), স্কট ম্যাকটমিনে (স্কটল্যান্ড, নাপোলি), নুনো মেন্ডেস (পর্তুগাল, পিএসজি), জোয়াও নেভেস (পর্তুগাল, পিএসজি), মিশেল ওলিস (ফ্রান্স, বায়ার্ন মিউনিখ), কোল পালমার (ইংল্যান্ড, চেলসি), পেদ্রি (স্পেন, বার্সেলোনা), রাফিনহা (ব্রাজিল, বার্সেলোনা), ডেক্লান রাইস (ইংল্যান্ড, আর্সেনাল), ফাবিয়ান রুইজ (স্পেন, পিএসজি), মোহামেদ সালাহ (মিশর, লিভারপুল), ভার্জিল ফন ডাইক (নেদারল্যান্ডস, লিভারপুল), ভিনিসিয়ুস জুনিয়র (ব্রাজিল, রিয়াল মাদ্রিদ), ভিতিনহা (পর্তুগাল, পিএসজি), ফ্লোরিয়ান ভির্টজ (জার্মানি, লেভারকুজেন/লিভারপুল), লামিনে ইয়ামাল (স্পেন, বার্সেলোনা)।

S

খেলা

রেলিগেশনের শিকার যত তারকা, পরের জন কি নেইমার?

Published

on

ব্রাজিলকে বিশ্বকাপ ট্রফি এনে দেবেন নেইমার, এমন প্রত্যাশা ছিল ব্রাজিলিয়ান ফুটবল ভক্ত-সমর্থকদের মনে। তাদের বড্ড হতাশ করেছেন ব্রাজিলের সুপারস্টার। আরও হতাশার খবর সামনে আসতে যাচ্ছে! ব্রাজিল ফুটবলকে নিয়ে কল্পনা করতে গিয়ে যার মুখচ্ছবি সবার প্রথমে আসে, যিনি ইউরোপিয়ান ফুটবলে একসময় দাপট দেখিয়ে বেড়াতেন তিনিই কি না রেলিগেটেড হয়ে দ্বিতীয় স্তরের লিগে খেলতে যাচ্ছেন?

নেইমার বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত হতে তার বাল্যকালের ক্লাব সান্তোসে যোগ দিয়েছেন প্রায় এক বছর হতে যাচ্ছে। কিন্তু তার দলে কোনো প্রভাব পড়েনি। বর্তমানে ব্রাজিলিয়ান সিরি আ-তে রেলিগেশন অঞ্চলে বসে আছে সান্তোস। হাতে আর তিন ম্যাচ। মড়ার ওপর খাড়ার ঘা হয়ে এসেছে ব্রাজিলের শীর্ষ গোলদাতার ইনজুরি। এই মৌসুমে আর খেলতে পারবেন না তিনি। তাতে প্রশ্ন তোলাই যায়, এবার কি রেলিগেটেড হয়ে দ্বিতীয় স্তরের লিগে খেলতে হবে নেইমারকে?

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ইন্টার মিলান ও পিএসজির সাবেক ও বিশ্বমানের আরও তারকাকে বিস্ময়করভাবে রেলিগেটেড হতে হয়েছিল।

রিও ফার্ডিনান্ড

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে বছরজুড়ে শিরোপা জেতার পর রিও ফার্ডিনান্ড তার পেশাদার ক্যারিয়ারের শেষ বছরের রেলিগেশনে ছিটকে যেতে হয়েছিল। ম্যানইউতে লিজেন্ড মর্যাদা পাওয়া এই ফুটবলার কুইন্স পার্ক রেঞ্জার্সে গিয়ে এমন অস্বস্তির মধ্যে পড়েছিলেন। পরে স্বীকার করেছিলেন, লোফটাস রোডে যাওয়া ছিল ভুল সিদ্ধান্ত।

জুলিও সিজার

কুইন্স পার্ক রেঞ্জার্সের সঙ্গে প্রিমিয়ার লিগ থেকে রেলিগেটেড হওয়া আরেক খেলোয়াড় সাবেক ইন্টার গোলকিপার সিজার। ২০১২ সালে ক্লাবটিতে যোগ দেন এই ব্রাজিলিয়ান, ফার্ডিনান্ড ক্লাবটিতে আসার দুই বছর আগে। আর প্রথম মৌসুমেই রেলিগেটেড হতে হয়েছিল তাকে। তিনি বলেছিলেন, ‘২০১২ সালে ইন্টারে সাড়ে সাত বছর কাটিয়ে ভেবেছিলাম আমি কখনো অন্য ক্লাবে খেলব না। কুইন্স পার্ক রেঞ্জার্সে আমাকে শেষ করতে হবে, কখনো ভাবিনি।’

ফ্রাঙ্কো বারেসি

সর্বকালের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার বারেসি এসি মিলানের সঙ্গে দুইবার রেলিগেটেড হয়েছিলেন। ১৯৮০ সালে ক্লাব অবনমিত হয়েছিল। ওইবার ম্যাচ ফিক্সিং কেলেঙ্কারির শাস্তি পেয়েছিল তারা। দুই বছর পর টেবিলের তলানি থেকে তৃতীয় হয়ে রেলিগেটেডের অস্বস্তিতে পড়তে হয় বারেসিকে। দুইবার এমন পরিণতি দেখলেও তিনি কখনো ক্লাব ছাড়ার কথা ভাবেননি। পুরো ২০ বছরের ক্যারিয়ার ছিলেন মিলানে।

জিয়ানলুইজি বুফন

২০০৬ সালে সিরি বি তে রেলিগেটেড হওয়া জুভেন্টাসের দলে ছিলেন বুফন। তবে দলের পারফরম্যান্সের কারণে নয়। ওইবার তারা টেবিলের শীর্ষে থেকে মৌসুম শেষ করলেও ম্যাচ ফিক্সিংয়ের দায়ে শিরোপা হারানোর পাশাপাশি নামতে হয় দ্বিতীয় স্তরের লিগে।

ওই স্কোয়াডে বুফনের সঙ্গে আরও ছিলেন জর্জিও কিয়েল্লিনি, প্যাট্রিক ভিয়েইরা, জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ, আলেসান্দ্রো দেল পিয়েরো ও পাভেল নেদভেদের মতো বিশ্বমানের খেলোয়াড়রা।

মাইকেল ক্যারিক

রেলিগেশনে শীর্ষ লিগ থেকে বাদ পড়ার অভিজ্ঞতা হয়েছিল মাইকেল ক্যারিকের। সাবেক ইউনাইটেড মিডফিল্ডার ২০০৩ সালে ওয়েস্ট হ্যামের সঙ্গে ছিলেন তখন। আরও এক বছর দ্বিতীয় স্তরের লিগেই তিনি খেলেছেন। তারপর ২০০৪ সালে টটেনহ্যামে চলে যান।

মাইকেল ওয়েন

নিউক্যাসলে ফ্যান ফেভারিট ছিলেন না ওয়েন। ২০০১ সালের ব্যালন ডি’অর জয়ী ২০০৯ সালে রেলিগেটেড হন। ২৮ ম্যাচ খেলে আট গোল করলেও রেলিগেশন থেকে দলকে বের করতে পারেননি তিনি। ১৮তম হয়ে মৌসুম শেষ করে নিউক্যাসল।

S

Continue Reading

খেলা

৫ ম্যাচের সিরিজ খেলবে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা, সূচি ঘোষণা

Published

on

বিশ্ব ফুটবলে অন্যতম জনপ্রিয় দুই দল ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। নেইমার জুনিয়র-লিওনেল মেসিদের পায়ের জাদুতে মাতে পুরো দুনিয়ার ফুটবল প্রেমীরা। হাজার মাইল দূরের এই উপমহাদেশেও উত্তাপ ছড়ায় সেলেসাও-আলবিসেলেস্তেদের ফুটবলের লড়াই। ফুটবলের জনপ্রিয় এই দেশগুলো ক্রিকেটটাও খেলে। যদিও ক্রিকেটে খুব একটা সাফল্য নেই তাদের।

বৈশ্বিক কিংবা মহাদেশীয় টুর্নামেন্ট ছাড়াও একই অঞ্চল থেকে বিশ্বকাপ বাছাই খেলায় ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার মধ্যকার বেশ কিছু ম্যাচ দেখতে পান দর্শকরা। কিন্তু দুই দলের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক ফুটবল ম্যাচ দেখা যায় না। তবে এবার ক্রিকেটে তেমনটাই ঘটতে যাচ্ছে।

৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে যাচ্ছে আর্জেন্টিনা সফর করছে ব্রাজিল। আগামী ২৮ নভেম্বর প্রথম টি-টোয়েন্টি দিয়ে শুরু হচ্ছে দুই দেশের মাঠের লড়াই।

সিরিজের পরের ম্যাচ ২৮ নভেম্বর স্থানীয় সময় সকাল ১০টায়। একই দিনে হবে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচটিও। স্থানীয় সময় বিকাল ৩টায় হবে এই ম্যাচটি।

সিরিজের চতুর্থ ও পঞ্চম ম্যাচ হবে ৩০ নভেম্বর। চতুর্থ ম্যাচটি হবে স্থানীয় সময় সকাল ১০টায়, আর পঞ্চম ম্যাচটি মাঠে গড়াবে বিকাল ৩টায়।

S

Continue Reading

খেলা

১০ পরিবর্তনে হারের দায় স্বীকার করলেন গার্দিওলা

Published

on

চ্যাম্পিয়নস লিগের চলতি আসরে পঞ্চম ম্যাচে এসে অপরাজিত থাকার মর্যাদা হারাল ম্যানচেস্টার সিটি। জার্মান দল বেয়ার লেভারকুসেনের কাছে ২-০ গোলে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে হেরেছে তারা। দলে ১০টি পরিবর্তনের মাশুল দিতে হয়েছে সিটিকে। আর এই সিদ্ধান্তের কারণে হারের দায় নিজের কাঁধে নিয়েছেন কোচ পেপ গার্দিওলা।

আলেহান্দ্রো গ্রিমালদো ও প্যাট্রিক শিকের গোলে বুন্দেসলিগা ক্লাব দারুণ এক জয় পেয়েছে। ২০১৮ সালের পর প্রথমবার চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ বা লিগ পর্বে ঘরের মাঠে হারল সিটি- টানা ২৪ ম্যাচ পর।

ম্যাচ শেষে গার্দিওলা স্বীকার করলেন, এত পরিবর্তন ছিল ‘বাড়াবাড়ি’। খেলোয়াড়দের বেঞ্চে রাখার মতো সিদ্ধান্তটা ছিল নির্দয়।

গার্দিওলা বললেন, ‘অনেক বেশি পরিবর্তন। হয়তো এটা অনেক বেশি ছিল, ফলই সেটা বলছে। আমি দায় নিচ্ছি। কিন্তু আমি তাদের দেখলাম এবং আমি সবাইকে খেলাতে পছন্দ করি। যখন একজন ফুটবল খেলোয়াড় পাঁচ, ছয়, সাত ম্যাচ খেলে না তখন সেটআ কঠিন হয়ে যায়। হয়তো এটা অনেক বেশি ছিল।’

তিনি আরো বলেন, ‘এটা কাজ করেনি এবং আমাদের এটা মেনে নিতে হবে। আমার জীবনে প্রথমবার আমি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। হারের সব দায় আমার। আমি এখনো বিশ্বাস করি, যারা প্রথম একাদশে ছিল তারা সকলে অসাধারণ। কিন্তু সেরা মানের ফুটবল উপহার দিতে পারিনি আমরা। তার দায় আমাকেই নিতে হবে। জিতলে কোনো সমস্যা হতো না। তাই দলে যে অনেক বদল করেছি, সেটা স্বীকার করে নিচ্ছি।’

লেভারকুসেনের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে আর্লিং হালান্ড, রুবেন দিয়াস, বের্নার্দো সিলভা, জিয়ানলুইজি দোনারুম্মাকে বসিয়ে দিয়েছিলেন। তার ফল ভুগতে হলো।

এখনই আশা হারাচ্ছেন না গার্দিওলা। তবে আগামী মাসে চাপ নিয়ে রিয়াল মাদ্রিদের মাঠে নামতে হবে তাদের। শেষ দুটি ম্যাচ বোদো/গ্লিমট ও গ্যালাতাসারেইয়ের বিপক্ষে। গতবারের মতো দুর্ভাগ্য বরণ করে নিতে না হলে ঘুরে দাঁড়াতে হবে সিটিকে। গার্দিওলা বললেন, ‘আমাদের এখনো তিন ম্যাচ আছে এভং কী হয় দেখা যাক। ভবিষ্যতে কী হচ্ছে সেটা নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না। আমাদের নির্ভার থেকে পরের ম্যাচ (লিডস) খেলতে হবে।’

S

Continue Reading