আন্তর্জাতিক
পাকিস্তানের পারমাণবিক ছাতার নিচে আশ্রয় খুঁজে নিলো সৌদি আরব
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
Published
3 weeks agoon
পাকিস্তানের পারমাণবিক ছাতার নিচে আশ্রয় খুঁজে নিয়েছে সৌদি আরব। মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতা, যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা নিশ্চয়তায় আস্থার ঘাটতি ও ইরানকে ঠেকানোর প্রয়োজনে দেশটি এবার পাকিস্তানের পরমাণু প্রতিরক্ষার ছাতার নিচে অবস্থান নিয়েছে।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) এক প্রবন্ধে একথা জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, দীর্ঘদিনের সামরিক সম্পর্ককে আরও উচ্চতায় নিয়ে যেতে সৌদি আরব ও পাকিস্তান সম্প্রতি স্ট্র্যাটেজিক মিউচুয়াল ডিফেন্স অ্যাগ্রিমেন্ট (এসএমডিএ) স্বাক্ষর করেছে। এতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে—“যে কোনও এক দেশের ওপর আক্রমণ মানেই উভয় দেশের ওপর আক্রমণ।”
একজন জ্যেষ্ঠ সৌদি কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, এই পদক্ষেপ হঠাৎ নেওয়া হয়নি; বরং এটি বহু বছরের আলোচনার ফল। কোনও নির্দিষ্ট দেশ বা ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় নয়, বরং সৌদি-পাকিস্তান ঐতিহাসিক ও কৌশলগত সম্পর্ককে ‘প্রাতিষ্ঠানিক রূপ’ দেওয়ার জন্য এই ঘোষণা এখন প্রকাশ্যে আনা হয়েছে।
দশকের পর দশক ধরে রিয়াদ-ইসলামাবাদের সামরিক সম্পর্কের মধ্যে ছিল যৌথ সেনা প্রশিক্ষণ, বার্ষিক মহড়া, অস্ত্র উৎপাদন এবং সৌদি ভূখণ্ডে নিরাপত্তার জন্য পাকিস্তানি সেনা মোতায়েন। কিন্তু এবার এসএমডিএর মাধ্যমে পাকিস্তানের পরমাণু প্রতিরক্ষার ছাতার নিচে কার্যত প্রবেশ করেছে সৌদি আরব।
আর এই চুক্তির সময়টাও যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতা, যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা নিশ্চয়তার ওপর আস্থার ঘাটতি এবং ক্রমবর্ধমান হুমকির মধ্যে প্রতিরোধ ক্ষমতা দৃঢ় করার প্রয়োজন— সব মিলিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে এ চুক্তিতে যেতে বাধ্য করেছে রিয়াদকে।
অবশ্য অনেক দিন ধরেই ওয়াশিংটনের সঙ্গে একটি ব্যাপক প্রতিরক্ষা চুক্তি অর্জন করতে চাইছিল সৌদি আরব। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার শর্তে জোর দেওয়ায় রিয়াদ পিছিয়ে আসে। গাজা যুদ্ধ আরও গভীর পর্যায়ে পৌঁছানোয় এখন সেই শর্ত রাজনৈতিকভাবে অগ্রহণযোগ্য ও প্রায় অসম্ভব। যুক্তরাষ্ট্র শুধু অস্ত্র বিক্রি আর অস্পষ্ট প্রতিশ্রুতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থেকেছে। ফলে রিয়াদ বুঝেছে— ওয়াশিংটন অস্ত্র দেবে, কিন্তু প্রতিরক্ষার ছাতা দেবে না।
এর মধ্যে সংকট আরও ঘনিয়ে এসেছে। চলতি বছরই প্রতিবেশী কাতারে ইরান সবচেয়ে বড় মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে, আর কয়েক সপ্তাহ আগে দোহায় হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে ইসরায়েল হামলা চালিয়েছে। এরপর জরুরি আরব-ইসলামিক সম্মেলন হলেও উপসাগরীয় দেশগুলোর সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কার্যকর কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। সেই মুহূর্তেই সৌদি আরব ইসলামাবাদের দিকে ঝুঁকেছে।
সৌদি-পাকিস্তান: পুরোনো হিসাব, নতুন বাস্তবতা
পাকিস্তানের পারমাণবিক কর্মসূচির পেছনে সৌদি আরবের অবদান অস্বীকার করার উপায় নেই। ১৯৭৪ সালে প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টো দেশভাগের ধাক্কা সামলে ঘোষণা দেন—“ঘাস খেয়ে হলেও আমরা বোমা বানাবো”।
তখনই তিনি সৌদি বাদশাহ ফয়সালের কাছে সহায়তা চান এবং রিয়াদ গোপনে সেই সহায়তা দেয়।
১৯৯৮ সালে পাকিস্তান পারমাণবিক পরীক্ষা চালালে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞায় দেশটি বিপর্যস্ত হয়। তখনও সৌদি আরব চার বছরের জন্য প্রায় ৩৪০ কোটি ডলারের তেল ঋণসুবিধা দেয়।
এ কারণেই সৌদি প্রিন্স তুর্কি বিন ফয়সাল একসময় বলেছিলেন—“বিশ্বে দুই দেশের মধ্যে এত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আর কোথাও নেই।”
ইরানের সম্ভাব্য পারমাণবিক সক্ষমতা ঠেকাতে দীর্ঘদিন ধরেই বিকল্প খুঁজছিল সৌদি আরব। পরমাণু শক্তিধর পাকিস্তানের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক এখন সেই বিকল্পকেই বাস্তব রূপ দিচ্ছে।
‘মিনি-ন্যাটো’র দিকে পথচলা?
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার ইঙ্গিত দিয়েছেন, আরও দেশ হয়তো ভবিষ্যতে ইসলামাবাদের সঙ্গে একই ধরনের ব্যবস্থা চাইবে। সৌদি আরবের বিমানবাহিনীর সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফয়সাল আল হামাদও আল-আরাবিয়াকে বলেছেন, এই চুক্তি ন্যাটোর আর্টিকেল-৫ এর মতোই মূলনীতি অনুসরণ করে— যে এক দেশের ওপর আক্রমণ মানেই সব দেশের ওপর আক্রমণ।
যদিও ন্যাটোর সঙ্গে তুলনায় এসএমডিএ এখনো সীমিত। ন্যাটোতে ৩২টি দেশ, সমন্বিত কমান্ড কাঠামো ও পারমাণবিক অস্ত্র ভাগাভাগির ব্যবস্থা রয়েছে। বিপরীতে এসএমডিএ দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় চুক্তি, যা দীর্ঘদিনের সহযোগিতাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে।
তবুও চুক্তিটি আলোড়ন তুলেছে পাকিস্তানের খোলামেলা অবস্থানের কারণে। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মোহাম্মদ আসিফ প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন—“প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রয়োজনে উন্মুক্ত থাকবে।”
বর্তমানে এটিকে অনেকে ‘মিনি-ন্যাটো’ বললেও বাস্তবে এটি একটি নমনীয় দ্বিপক্ষীয় চুক্তি, যা ভবিষ্যতে অন্য দেশ — যেমন সংযুক্ত আরব আমিরাত বা মিসর — যুক্ত হলে নতুন আকার পেতে পারে।
অবশ্য সৌদি আরব কি পাকিস্তানের ওপর ভর করে নিজেকে ইরান, মার্কিন দ্বিধাদ্বন্দ্ব ও আঞ্চলিক বিশৃঙ্খলা থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে পারবে? সব মিলিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতির পরবর্তী অধ্যায় অনেকাংশে নির্ভর করছে এই বাজির ওপর।
S
You may like
-
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের অভিযোগ আফগানিস্তানের
-
ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর অস্ত্র কী করা হবে, যে তথ্য শোনা যাচ্ছে
-
যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার পরও গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল
-
পাকিস্তানে সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে অ্যামবুশ, নিহত ১১ সেনা
-
তুর্কি ড্রামা ‘কুরলুস উসমান’ দেখে ইসলাম গ্রহণ করলেন নারী
-
যুদ্ধবিরতির জন্য প্রধান যেসব শর্ত দিলো ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী
আন্তর্জাতিক
ক্যানসারের রেডিয়েশন থেরাপি নিচ্ছেন জো বাইডেন
Published
46 minutes agoon
অক্টোবর ১১, ২০২৫প্রোস্টেট ক্যানসারের চিকিৎসার অংশ হিসেবে বর্তমানে রেডিয়েশন থেরাপি নিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। শনিবার মার্কিন সাবেক এই প্রেসিডেন্টের একজন মুখপাত্র এই তথ্য জানিয়েছেন বলে খবর দিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
তিনি বলেছেন, ‘‘প্রোস্টেট ক্যানসারের চিকিৎসা পরিকল্পনার অংশ হিসেবে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বর্তমানে রেডিয়েশন থেরাপি ও হরমোন চিকিৎসা নিচ্ছেন।’’
আগামী নভেম্বরে ৮৩ বছর বয়সে পা দিতে যাচ্ছেন জো বাইডেন। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ত্বকের ক্যানসার কোষ অপসারণের জন্য ‘মোহস সার্জারি’ নামের এক অস্ত্রোপচার করান তিনি। ত্বক থেকে ক্যানসারযুক্ত কোষকে অপসারণের প্রক্রিয়াটি মোহস সার্জারি নামে পরিচিত। ত্বকের সবচেয়ে প্রচলিত ধরনের ক্যানসারের চিকিৎসায় এই পদ্ধতির ব্যবহার করেন চিকিৎসকরা।
গত মে মাসে ডেমোক্র্যাট দলীয় সাবেক এই প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, তার মেটাস্ট্যাটিক প্রোস্টেট ক্যানসার ধরা পড়েছে। বাইডেনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক দল বলেছে, সাবেক প্রেসিডেন্টের ক্যানসার আক্রমণাত্মক স্তরে থাকলে হরমোন-সংবেদনশীল। অর্থাৎ এই ক্যানসারের চিকিৎসায় সাড়া দেওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
গত মাসে ত্বকের ক্যানসারের চিকিৎসার সময় বাইডেনের কপালে বড় ধরনের ব্যান্ডেজ দেখা গিয়েছিল। অস্ত্রোপচারের পর চিকিৎসকরা বলেছিলেন, ক্যানসারযুক্ত সব টিস্যু সফলভাবে অপসারণ করা হয়েছে এবং অতিরিক্ত কোনও চিকিৎসার প্রয়োজন নেই।
বাইডেনের শরীরে শনাক্ত হওয়া প্রোস্টেট ক্যানসার ইতোমধ্যে তার হাড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। সেই সময় তার কার্যালয় বলেছিল, জো বাইডেন কয়েকটি চিকিৎসা পদ্ধতি বিবেচনা করছেন; যাতে রোগটি কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
নিজের রোগ নির্ণয়ের খবর প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বাইডেন লিখেছিলেন, ‘‘ক্যানসার আমাদের সবার জীবনেই কোনো না কোনোভাবে ছুঁয়ে যায়। আমি আর জিল শিখেছি, ভাঙনের মধ্যেই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি লুকিয়ে আছে। আমাদের ভালোবাসা ও সমর্থনে জড়িয়ে রাখার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।
সেই সময় দেশটির সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজকে কয়েকজন ক্যানসার বিশেষজ্ঞ বলেছিলেন, বাইডেনের ক্যানসার যেহেতু ছড়িয়ে পড়েছে। এর মানে হলো এটি কয়েক বছর আগেই তার শরীরে সংক্রমণ শুরু করেছিল; কিন্তু ধরা পড়েনি।
তাদের মতে, বাইডেনের বয়সের পুরুষদের সাধারণত প্রোস্টেট ক্যানসারের নিয়মিত পরীক্ষা করা হয় না। আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটি ৫০ থেকে ৬০ বছর বয়সী পুরুষদের প্রতি দুই বছর অন্তর এই পরীক্ষা করার পরামর্শ দেয়।
বাইডেন প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন সর্বশেষ স্বাস্থ্য পরীক্ষায় প্রোস্টেট স্ক্রিনিং করিয়েছিলেন কি না, তা স্পষ্ট নয়। তবে বর্তমানে তিনি ভালো আছেন বলে তার চিকিৎসক দল জানিয়েছে।
সূত্র: রয়টার্স, এনবিসি নিউজ।
S
আন্তর্জাতিক
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের অভিযোগ আফগানিস্তানের
Published
24 hours agoon
অক্টোবর ১০, ২০২৫পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে দেশটির অন্তর্বর্তী সরকার। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) আফগান প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, পাকিস্তান তাদের রাজধানী কাবুলের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে। এছাড়া মার্ঘা অঞ্চলের পাকতিকাতে একটি মার্কেটে বোমাবর্ষণ করেছে।
এটিকে ‘আফগানিস্তান-পাকিস্তানের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন, সহিংস ও নিন্দনীয়’ কাজ হিসেবে অভিহিত করেছে আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তারা বলেছে, “আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্বের ওপর এই আগ্রাসনের আমরা তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। নিজ ভূখণ্ডের সুরক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অবিচ্ছেদ্য ও বৈধ অধিকার। মনে রাখা উচিত, এই ধরনের ঔদ্ধত্যপূর্ণ কর্মকাণ্ডের ফলে সৃষ্ট যেকোনো পরিস্থিতির কঠোর পরিণতির জন্য পাকিস্তান সেনাবাহিনী এককভাবে দায়ী থাকবে।”
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। ওই সময় গোলাগুলির শব্দও ভেসে আসে।
পরবর্তীতে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের বিভিন্ন মাধ্যম থেকে খবর আসতে থাকে সন্ত্রাসী সংগঠন পাকিস্তান তেহরিক-ই-তালেবানের (টিটিপি) প্রধান নেতা নূর ওয়ালী মেসুদকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়েছে।
তবে তালেবান সরকারের প্রধান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ এ তথ্য অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, টিটিপির প্রধান কাবুলে উপস্থিত ছিলেন না।
এদিকে আজ শুক্রবার পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মুখপাত্র লেফটেনেন্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী পেশোয়ারে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন। তবে আফগানিস্তানে হামলার বিষয়ে তিনি সরাসরি কিছু বলেননি। আবার হামলার অভিযোগ প্রত্যাখ্যানও করেননি। তিনি শুধু বলেছেন, “আমাদের নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য যা করার প্রয়োজন আমরা তা করছি এবং সেটি অব্যাহত থাকবে।”
তিনি অভিযোগ করেন, “পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদের জন্য আফগানিস্তানকে ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে ভারত।” তার এ দাবির পর এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি নয়াদিল্লি।
পাকিস্তানের এ সেনা কর্মকর্তা বলেছেন, এ বছর খাইবার পাখতুনখাওয়ায় তারা ৯১৭ সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছেন। এ সময় নিহত হয়েছে তাদের আরও ৩১১ সেনা। ওই ৯১৭ সন্ত্রাসীর মধ্যে ১৩৫ জন আফগান নাগরিক দাবি করে তিনি বলেন, এরমাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে আফগানিস্তান পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদে মদদ দিচ্ছে।
সূত্র: আনাদোলু
S
আন্তর্জাতিক
ইসরায়েলি সেনারা সরার পর গাজা সিটিতে মিলল অনেক মরদেহ, আরও থাকার শঙ্কা
Published
1 day agoon
অক্টোবর ১০, ২০২৫ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পর গাজা সিটি থেকে শুধুমাত্র আজই ৩৩টি মরদেহ পাওয়া গেছে। দখলদার ইসরায়েলের সেনারা সরে যাওয়ার পর এসব মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। যেগুলোর কয়েকটি বিকৃত হয়ে গেছে। পরিচয় শনাক্ত করতে সেগুলো আল-শিফা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গাজার মধ্যে যত হাসপাতাল আছে সেগুলোর মধ্যে আল-শিফায় শুধুমাত্র ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ আছে। যেখানে মরদেহগুলোর পরিচয় শনাক্ত করা যাবে।
আল-শিফা হাসপাতালের পরিচালক ডাক্তার মোহাম্মেদ আবু সালমিয়া সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে নিশ্চিত করেছেন, গাজা সিটি থেকে ৩৩টি মরদেহ আনা হয়েছে।
সেখানে আরও মরদেহ থাকার শঙ্কা করা হচ্ছে। দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মরদেহগুলো পাওয়া যেতে পারে। দখলদারদের হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৬৫ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন।
দলে দলে বাড়ি ফিরছেন গাজার মানুষ
দখলদার ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর আজ বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫টার দিকে ইসরায়েলি সেনারা চুক্তি অনুযায়ী গাজার জনবহুল এলাকা থেকে সরে যায়। এরপর দলে দলে মানুষ নিজ বাড়িতে ফেরা শুরু করেন।
একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, হাজার হাজার মানুষ সমুদ্র ঘেঁষা আল-রশিদ সড়কে অপেক্ষা করছেন। গতকাল রাত থেকেই তারা এখানে ছিলেন। এরপর ইসরায়েলি সেনারা যখন সরে গেছে তখন তারা গাজার উত্তরাঞ্চলে নিজেদের বাড়ির দিকে যাওয়া শুরু করে।
গাজায় আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) একটি নির্দেশনা জারি করেছে। গাজার মানুষকে সতর্কতা দিয়ে আইডিএফ বলেছে, তাদের সেনারা যেখানে আছেন সেখানে যেন কোনো বেসামরিক মানুষ না যান।
সূত্র: সিএনএন
S