Connect with us

জাতীয়

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে প্লাস্টিকমুক্ত ক্যাম্পাস ঘোষণার আহ্বান

Digital Darpan

Published

on

বাংলাদেশের সমুদ্রজুড়ে প্লাস্টিকের চাপ ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে, আর এর মূল উৎস অপ্রয়োজনীয় ও একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের অতিরিক্ত ব্যবহার। এই বাস্তবতায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে প্লাস্টিকমুক্ত ক্যাম্পাস ঘোষণার আহ্বান জানালেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তার মতে, তরুণদের অভ্যাস না বদলালে সমুদ্রসহ পুরো পরিবেশের জন্য ভবিষ্যৎ আরো সংকটময় হবে।

শনিবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে নিজ বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে চট্টগ্রামের র‍্যাডিসন ব্লু চাটগাঁ বে ভিউতে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) আয়োজিত ‘টেকসই প্লাস্টিকমুক্ত সামুদ্রিক পরিবেশ’ শীর্ষক অ্যাওয়ারনেস বিল্ডিং অ্যান্ড ডিসেমিনেশন ক্যাম্পেইনে এই আহ্বান জানান।

বাংলাদেশের সামুদ্রিক পরিবেশ রক্ষায় একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক কমানোকে সবচেয়ে জরুরি পদক্ষেপ হিসেবে তুলে ধরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে প্লাস্টিকমুক্ত ক্যাম্পাস ঘোষণা করতে আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘অভ্যাস না বদলালে সমুদ্র টিকবে না।’ তার মতে, প্লাস্টিক ব্যবহারের ‘সহজ’ ও ‘ফ্রি’ ধারণাই মানুষকে এই দূষণে ঠেলে দিচ্ছে। বাস্তবে প্লাস্টিক উৎপাদনের খরচ পরিবেশ ও প্রতিবেশ ব্যবস্থাকেই বহন করতে হয়; যা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দুর্বলতায় আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে।

তিনি বলেন, প্লাস্টিক থেকে টেকসই বিকল্পে যেতে সময়, শ্রম আর আচরণগত পরিবর্তন লাগে। তাই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে শুধু প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করলেই হবে না, শিক্ষার্থীদের সচেতনতা, ক্যাম্পাসব্যাপী প্রচারণা এবং সহজলভ্য বিকল্প সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ করে মেয়েদের কাগজ, পাট বা কাপড়ের ব্যাগ তৈরি কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করার পরামর্শ দেন তিনি।

উপদেষ্টা বলেন, ‘যারা আজ বিশ্ববিদ্যালয়ে, তারাই ভবিষ্যতের নীতিনির্ধারক, ভোক্তা, উদ্যোক্তা। তাদের মনোভাব বদলালে দেশ বদলাবে।’ তিনি মনে করেন, প্লাস্টিকমুক্ত ক্যাম্পাস শুধু দূষণ কমাবে না, বরং পাটসহ স্থানীয় শিল্প পুনরুজ্জীবিত করবে, জাতীয় অর্থনীতি শক্তিশালী করবে এবং পরিবেশবান্ধব উৎপাদনকে উৎসাহিত করবে।

একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক সম্পর্কে তিনি বলেন, বেশিরভাগ ভোক্তা সুবিধা-নির্ভর ভুল ধারণার কারণে প্লাস্টিকের ওপর নির্ভরশীল। অনেকেই মনে করেন প্লাস্টিক ব্যাগ ‘ফ্রি’, কিন্তু উৎপাদনে শ্রম, বিদ্যুৎ, কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি– সব মিলিয়ে এর প্রকৃত দাম শেষ পর্যন্ত পরিবেশকেই দিতে হয়।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, বিশ্বের নবম সর্বাধিক প্লাস্টিকদূষিত সামুদ্রিক অঞ্চল এখন বঙ্গোপসাগর। এর বড় অংশ স্থানীয় অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে নয়; বরং দুর্বল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও উজান থেকে ভেসে আসা প্লাস্টিক বর্জ্যের ফল। তাই শুধু রিসাইক্লিং প্রচারণা নয়, প্লাস্টিক ব্যবহার কমানো এবং উৎপাদকদের কঠোর জবাবদিহির আওতায় আনা জরুরি।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কেনাকাটার ব্যাগে বাধ্যতামূলক মূল্য গ্রহণ, বোতলের ডিপোজিট-রিটার্ন এবং কঠোর নিয়ন্ত্রক পদক্ষেপ কার্যকর ভূমিকা রেখেছে। বাংলাদেশও চাইলে এসব পদ্ধতি অভিযোজন করতে পারে। একই সঙ্গে দেশের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় দ্রুত আধুনিকায়নে জোর দিতে হবে।

তিনি চার বছর মেয়াদি প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য চুয়েটকে ধন্যবাদ জানান এবং প্রকল্পটি সম্প্রসারণের পরিকল্পনাকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, ‘এখনকার শিক্ষার্থীদের পরিবেশ শিক্ষা ভবিষ্যতের পরিবেশগত ফল নির্ধারণ করবে।’

S

জাতীয়

ভুটানকে বুয়েটে বছরে ১০ সিট এবং হোমগ্রাউন্ড ব্যবহারের সুযোগ দিচ্ছে ঢাকা

Published

on

বাংলাদেশ ভুটানের শিক্ষার্থীদের প্রকৌশল অধ্যয়নের জন্য বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি বছর দশটি আসন বরাদ্দ করবে এবং বাংলাদেশ স্পোর্টস এডুকেশন ইনস্টিটিউশনে (বিকেএসপি) স্পোর্টস সায়েন্সে ডিপ্লোমা করার জন্য ভুটানের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ডেডিকেটেড আসন এবং ভুটানের ক্রীড়া দলগুলোর জন্য হোমগ্রাউন্ড হিসেবে ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া হবে।

ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং টোবগের বাংলাদেশ সফর নিয়ে রোববার (২৩ নভেম্বর) এক যৌথ বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের আমন্ত্রণে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং টোবগে শনিবার ঢাকায় এসেছেন। এদিন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী। এর পাশাপাশি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিনের সঙ্গেও তিনি সাক্ষাৎ করেন।

বৈঠকে বাংলাদেশ ভুটানকে জিটুজি ভিত্তিতে ওষুধ সরবরাহের প্রস্তাব দিয়েছে। উভয়পক্ষ স্বীকার করেছে, এই সহযোগিতা ভুটানে সাশ্রয়ী মূল্যের এবং গুণগত মানের স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেবে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, উভয় সরকার প্রধান আন্তরিক উষ্ণতা এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আনুষ্ঠানিক আলোচনা করেছিলেন, যা দুই দেশের মধ্যে কালোত্তীর্ণ বন্ধুত্বের প্রতিফলন ঘটায়। উভয় নেতা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের চমৎকার অবস্থা সম্পর্কে গভীর সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং বাণিজ্য, যোগাযোগ ও মানুষে মানুষে যোগাযোগসহ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সব দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন।

উভয় পক্ষই দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং বেসরকারি ক্ষেত্রের সহযোগিতা জোরদার করার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেরিং টোবগে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতার নতুন পথ খুঁজে বের করতে বাংলাদেশের ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন। বাংলাদেশ ভুটানের রাজার গেলেফু মাইন্ডফুলনেস সিটি (জিএমসি) গড়ে তোলার আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রশংসা করেছে এবং ভুটানে জিএমসি-এর উন্নয়নে সহযোগিতা প্রসারে তার আগ্রহের কথা জানিয়েছে।

এ ছাড়া, কুড়িগ্রামে ভুটানের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের (এসইজেড) উন্নয়নে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ (জেডব্লিউজি) গঠনের বিষয়ে উভয়পক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছে এবং চলমান সহযোগিতামূলক প্রয়াসকে স্বাগত জানিয়েছে। বৈঠকে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে বুড়িমারী স্থলবন্দর পর্যন্ত পণ্য পরিবহনের পরীক্ষামূলকভাবে কাজ শেষ হওয়ায় উভয় নেতা সন্তোষ প্রকাশ করেন।

বৈঠকে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে ভুটানের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বার্ষিক এমবিবিএস বা বিডিএস আসন সংখ্যা ৩০-এ উন্নীত করার জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান।

বৈঠকের পর দুই নেতার উপস্থিতিতে দুটি সমঝোতা স্মারক সই করা হয়। এ ছাড়া, দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতাকে আরও জোরদার করতে বাংলাদেশ ভুটানের শিক্ষার্থীদের প্রকৌশল অধ্যয়নের জন্য বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি বছর দশটি আসন বরাদ্দ করবে এবং বাংলাদেশ স্পোর্টস এডুকেশন ইনস্টিটিউশনে (বিকেএসপি) স্পোর্টস সায়েন্সে ডিপ্লোমা করার জন্য ভুটানের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ডেডিকেটেড আসন এবং ভুটানের ক্রীড়া দলগুলোর জন্য হোম গ্রাউন্ড হিসেবে ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া হবে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে ভুটানের বিশেষজ্ঞদের জন্য বিশেষ পেশাদার প্রশিক্ষণ কর্মসূচির প্রস্তাবও বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া অভিন্ন মূল্যবোধ, পারস্পরিক শ্রদ্ধা, বোঝাপড়া, সহযোগিতা এবং শান্তি ও সমৃদ্ধির অভিন্ন আকাঙ্ক্ষার ওপর ভিত্তি করে সার্ক এবং বিমসটেকের মতো আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক মঞ্চে সহযোগিতার পাশাপাশি দীর্ঘস্থায়ী দ্বিপাক্ষিক যোগাযোগ ও সহযোগিতার বিষয়ে উভয় নেতা তাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

S

Continue Reading

জাতীয়

শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ

Published

on

শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে ফেরাতে ভারতের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

রোববার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

তৌহিদ হোসেন জানান, শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে ফেরত চেয়ে ভারতের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। গত পরশু দিন (শুক্রবার) দিল্লির বাংলাদেশ মিশন থেকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ চিঠি পাঠানো হয়েছে।

জুলাই আন্দোলনের সময়ে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে গত ১৭ নভেম্বর ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। ওই সময়ে শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেন। ভারতে থাকা বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় ফেরত চেয়ে চিঠি দেয় অন্তর্বর্তী সরকার। সেই চিঠির জবাব আসেনি। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পর শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে ফেরাতে গত শুক্রবার চিঠি পাঠিয়েছে সরকার।

S

Continue Reading

জাতীয়

ওবায়দুল কাদেরের ‘কথিত পালকপুত্র’ হিরুর বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু

Published

on

আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ‘কথিত পালকপুত্র’ হিসেবে পরিচিত মো. আসাদুজ্জামান হিরুর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার (২৩ নভেম্বর) সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে দুই সদস্যের একটি টিম গঠন করেছে দুদক। দুদকের সহকারী পরিচালক মো. নাসরুল্লাহ হোসাইনের নেতৃত্বে টিমের অপর সদস্য উপ-সহকারী পরিচালক মো. আবু তালহা।

দুদক জানায়, ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের পরিচালক ও গুলশান-১ ডিএনসিসি মার্কেটের সভাপতি হিরু রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে চোরাচালান, হুন্ডি ব্যবসা, শুল্ক ফাঁকি, ট্যাক্স জালিয়াতি এবং বিদেশে অর্থ পাচারের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ছাড়া হিরু ও তার স্ত্রী ইসরাত জাহান টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে ‘হাজার কোটি টাকার মালিক’ হয়েছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ আছে। হিরুর গ্রামের বাড়ি ঢাকার দোহার উপজেলার উত্তর শিমুলিয়ায়। তিনি আক্তারুজ্জামানের ছেলে। তিনি প্যারাগন, লন্ডন টাচ, প্যারিস গ্রুপ, ওয়েস্ট ফিল্ড নামের প্রতিষ্ঠানেরও মালিক।

S

Continue Reading