জাতীয়
তিন দাবিতে আন্দোলনে যাচ্ছে সহকারী শিক্ষক ঐক্য পরিষদ
ডিজিটাল দর্পণ ডেক্স
Published
2 weeks agoon
সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে উন্নীতকরণ, শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি এবং উচ্চতর গ্রেড প্রদানের জটিলতা নিরসনের দাবিতে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ। সংগঠনটি জানিয়েছে, আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে পরীক্ষা বর্জন ও আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করবেন তারা।
আজ (শনিবার) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা করেন পরিষদের সভাপতি আনিসুর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজের সভাপতি শাহিনুর আল আমীন বলেন, সারাদেশে প্রায় তিন লাখ ৮০ হাজার সহকারী শিক্ষক নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে কাজ করলেও তারা দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক ও মর্যাদাগত বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছেন। বর্তমানে একজন সহকারী শিক্ষক ১৩তম গ্রেডে মাত্র ১১ হাজার টাকা বেতন পান, যা সর্বসাকুল্যে ১৭ হাজার ৬৫০ টাকা। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এই সময়ে এই বেতন অপ্রতুল ও অমানবিক।
তিনি বলেন, সহকারী শিক্ষকদের এন্ট্রি পদে ১১তম গ্রেড প্রদান সরকারের জন্য অতিরিক্ত ব্যয়সাপেক্ষ নয়। এতে সরকারের ব্যয় হবে মাত্র দুই হাজার ২৬৫ টাকা। প্রাথমিক শিক্ষকদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন ছাড়া মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। তাই শিক্ষকদের মর্যাদা রক্ষার পাশাপাশি বৈষম্যহীন বেতন কাঠামো প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
সংগঠনের ৩টি দাবি হচ্ছে— সহকারী শিক্ষকদের এন্ট্রিপদে ১১তম গ্রেড প্রদান করা, ১০ ও ১৬ বছরের উচ্চতর গ্রেড প্রদানের জটিলতা নিরসন করা এবং শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির মাধ্যমে দ্রুত পদোন্নতি বাস্তবায়ন করা।
কর্মসূচি ঘোষণা করে পরিষদের সভাপতি আনিসুর রহমান বলেন, যদি আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে দাবি পূরণ না হয়, তাহলে ২৩ ও ২৪ নভেম্বর অর্ধদিবস কর্মবিরতি, ২৫ ও ২৬ নভেম্বর পূর্ণদিবস কর্মবিরতি এবং ২৭ নভেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। এরপরও দৃশ্যমান অগ্রগতি না হলে ১১ ডিসেম্বর থেকে পরীক্ষা বর্জন ও আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম তোতা, বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজের সভাপতি শাহিনুর আল আমীন প্রমুখ।
S
You may like
-
আজও মন্ত্রণালয়ে বৈঠকে বসছেন প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরা
-
শিক্ষকদের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ ইসলামী আন্দোলনের
-
শাহবাগে প্রাথমিক শিক্ষকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ, আহত প্রায় একশ
-
যমুনা অভিমুখে ইবতেদায়ি শিক্ষকদের লংমার্চের ঘোষণা
-
শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে যা বললেন প্রধান উপদেষ্টা
-
শিক্ষকদের ন্যায্য দাবির সঙ্গে নীতিগতভাবে একমত বিএনপি : মির্জা ফখরুল
দেশের বিদ্যমান জ্বালানি সংকট নিরসনে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানে কাজ করছে পেট্রোবাংলা। এরই ধারাবাহিকতায় ভোলায় গ্যাসের মজুদ খুঁজতে নতুন ১৯টি কূপ খনন করা হয়েছে।
বুধবার (১২ নভেম্বর) এক বার্তায় পেট্রোবাংলা জানায়, দেশের বর্তমান জ্বালানি সংকট নিরসনে দেশীয় উৎস হতে গ্যাস সরবরাহ বৃদ্ধি করে জ্বালানির চাহিদা ও সরবরাহের মাঝে স্থিতিশীল ভারসাম্য বজায় রাখতে পেট্রোবাংলা কর্তৃক ২০২৫-২৬ সালের মধ্যে ৫০টি এবং ২০২৬-২৮ সালের মধ্যে ১০০টি কূপ খনন ও ওয়ার্কওভার কর্মপরিকল্পনাসহ দেশের বিভিন্ন ব্লকে অনুসন্ধান ও নতুন কূপ খনন কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।
পেট্রোবাংলা জানায়, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স) কর্তৃক জামালপুর-১ অনুসন্ধান কূপ খননের মাধ্যমে দেশে প্রথমবারের মতো ব্লক-৮-এ বাণিজ্যিক গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। জামালপুর স্ট্রাকচারে গ্যাসের রিজার্ভের পরিমাণ ও বিস্তৃতি মূল্যায়নের লক্ষ্যে আরও ২টি (১টি উন্নয়ন ও ১টি অনুসন্ধান) কূপ খননের পরিকল্পনা গ্রহণ করে ডিপিপি প্রণয়নের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এছাড়াও সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড (এসজিএফএল)-এর অন্তর্ভুক্ত হরিপুর গ্যাস ফিল্ডে সিলেট-১০ কূপ খননের সময় উক্ত এলাকায় জ্বালানি তেলের উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। হরিপুর স্ট্রাকচারে মজুদকৃত জ্বালানি তেলের বাণিজ্যিকভাবে উত্তোলন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সিলেট-১২ তেল কূপ খননের কার্যক্রম চলমান রয়েছে
ভোলা এলাকায় পাওয়া গ্যাসের মজুদ ও বিস্তৃতি নির্ণয়ের লক্ষ্যে ওই এলাকায় আরও ১৯টি নতুন কূপ খননের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ভোলার গ্যাস ভোলায় প্রতিষ্ঠিতব্য ইন্ডাস্ট্রিয়াল হাবে সরবরাহ করা হবে, যা দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করবে।
এছাড়াও আবিষ্কৃত ভূতাত্ত্বিক স্ট্রাকচারের গভীর স্তরে প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদ মূল্যায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের (বিজিএফসিএল) আওতায় তিতাস ও বাখরাবাদ গ্যাস ফিল্ডে ২টি এবং বাপেক্সের আওতায় শ্রীকাইল গ্যাস ফিল্ড ও মোবারকপুর স্ট্রাকচারে ২টি- মোট ৪টি গভীর কূপ খননের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
S
জাতীয়
লকডাউনে আতঙ্কের কিছু নেই, ৫০০ টাকায় স্লোগান দিচ্ছে নিরীহ রিকশাওয়ালা
Published
10 hours agoon
নভেম্বর ১২, ২০২৫
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঘোষিত ১৩ নভেম্বরের লকডাউন নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই জানিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান মো. শফিকুল ইসলাম বলেছেন, যারা ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি বা অপতৎপরতা চালানোর চেষ্টা করছে, তাদের আইনের সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগ করে দমন করা হবে।
বুধবার (১২ নভেম্বর) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিবিপ্রধান বলেন, রাজধানীতে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনাকারীদের পাশাপাশি তাদের নেপথ্যে যারা রয়েছে, তাদেরও গ্রেপ্তার করছি। আজকেও ৪৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় যারা বিভিন্ন উসকানি ও নির্দেশনা দিচ্ছে, তাদের বিষয়ে ডিবি সতর্ক রয়েছে। আমরা দেখছি, সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন উসকানি ও নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে, তবে রাজপথে তাদের দেখা যায় না। এমনকি একজন নিরীহ রিকশাওয়ালাকে ৫০০ টাকা দিয়ে স্লোগান দিতে বলা হয়েছে, পরে সেই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ওই রিকশাচালকের কোনো অপরাধমূলক রেকর্ড নেই। এভাবে সাধারণ মানুষকে ব্যবহার করে বিভ্রান্তি তৈরি করার চেষ্টা চলছে, যা ডিবি কঠোরভাবে দমন করছে।
তিনি আরও বলেন, আইনের সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগ করে এই ধরনের অপতৎপরতা দমন করা হবে। নাগরিকদের অনুরোধ করছি, কেউ যেন গুজবে কান না দেন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সহযোগিতা করেন।
S
জাতীয়
বছরের কম সময়ে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৬৪০ রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ
Published
12 hours agoon
নভেম্বর ১২, ২০২৫
গত বছরের ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রেবেশ করা ১ লাখ ৩৬ হাজার ৬৪০ রোহিঙ্গার নিবন্ধন করেছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর।
বুধবার (১২ নভেম্বর) ইউএনএইচসিআরের প্রকাশ করা মাসিক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের অক্টোবর পর্যন্ত নতুন নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা ১ লাখ ৩৬ হাজার ৬৪০ জন। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৩৩ হাজার ৬৫১ জন। অর্থাৎ গত এক মাসে নতুন করে আরও নিবন্ধন করা হয় ২ হাজার ৯৮৯ জনকে।
এ বছরের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ইউএনএইচসিআর ১১ লাখ ৬৮ হাজার ৩৯৮ জন রোহিঙ্গার নিবন্ধন করেছে, যারা ১৯৯০ এবং ২০১৭ সাল থেকে মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
S
৩ হাজার কোটি গচ্ছা দিয়ে গণভোটের চেয়ে আলুর ন্যায্যমূল্য গুরুত্বপূর্ণ
‘দুই মাস ফোন ব্যবহার করিনি, মানুষের মন্তব্য পড়ি না’
