জাতীয়
ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
ডিজিটাল দর্পণ ডেক্স
Published
2 weeks agoon
ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ (শুক্রবার) জুমার নামাজের পর আহলে হাদিস আন্দোলন বাংলাদেশের ব্যানারে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশ থেকে ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষায় সংগঠনটিকে দ্রুত নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবি জানানো হয়েছে।
এতে অংশ নেওয়া বক্তারা বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ বাংলাদেশে কোনো ধরনের উগ্র হিন্দুত্ববাদী বা ধর্মবিদ্বেষী কার্যক্রম বরদাশত করা হবে না।
তারা অভিযোগ করেন, ইসকন সংগঠনটি ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের আড়ালে ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়াচ্ছে এবং দেশের শান্তি–শৃঙ্খলা বিনষ্টের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তাই দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারের উচিত সংগঠনটির কার্যক্রম তদন্ত করে অবিলম্বে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা। অন্যথায় দেশের বিভিন্ন স্থানে শান্তিপূর্ণ গণআন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তারা।
সমাবেশে আহলে হাদিস আন্দোলন বাংলাদেশের প্রকাশনা সম্পাদক অধ্যাপক মুহাম্মাদ আব্দুল লতীফ বলেন, ইসকন নামের সংগঠনটি ধর্মীয় ছদ্মাবরণে দেশে সাম্প্রদায়িক বিভাজন সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তব্য ও কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। সরকারের উচিত দ্রুত এ সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া।
ঢাকা দক্ষিণের সহসভাপতি কাজী হারুনূর রশীদ বলেন, বাংলাদেশ একটি ধর্মনিরপেক্ষ ও শান্তিপ্রিয় দেশ। এখানে সব ধর্মের মানুষ মিলেমিশে বসবাস করে। কিন্তু ইসকন বারবার উসকানিমূলক আচরণের মাধ্যমে সেই সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা করছে। আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই, যেন এ ধরনের সংগঠনগুলোকে কঠোরভাবে দমন করা হয়।
S
You may like
-
কাল বিভাগীয় শহরে, বৃহস্পতিবার ঢাকায় বিক্ষোভ শিবিরের
-
রাষ্ট্রদূতদের প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তে নেপালের সুপ্রিম কোর্টের বাগড়া
-
শনিবার ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরে বিক্ষোভ করবে জামায়াত
-
এবার দাবি আদায়ে শহীদ মিনারে অনশনে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা
-
জুলাই সনদ: জুলাই যোদ্ধাদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, গাড়ি ভাঙচুর
-
জেন-জি বিক্ষোভে উত্তাল দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরু
অধ্যাপক আলী রীয়াজকে উপদেষ্টা পদমর্যাদায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
তাকে এ নিয়োগ দিয়ে বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বৃহস্পতিবার অধ্যাপক আলী রীয়াজকে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগদান করেছেন।
বিশেষ সহকারী পদে অধিষ্ঠিত থাকাকালীন তিনি উপদেষ্টার পদমর্যাদা, বেতন-ভাতাদি ও আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা পাবেন বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও লেখক আলী রীয়াজ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ছয়টি সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বিবেচনা ও গ্রহণের জন্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কমিশন প্রতিবেদন দাখিল করার মাধ্যমে সম্প্রতি তাদের কাজ শেষ করেছে।
S
জাতীয়
সরকারের আনুষ্ঠানিক নির্দেশনার পর গণভোট নিয়ে সিদ্ধান্ত : সিইসি
Published
3 hours agoon
নভেম্বর ১৩, ২০২৫
সরকারের আনুষ্ঠানিক নির্দেশনার পর গণভোট নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে একইদিন জুলাই সনদ বাস্তবায়নের গণভোট নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। ইসির মতামত কী, চ্যালেঞ্জ হবে কিনা, সংসদ নির্বাচনের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে কিনা— এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, এখানে আমি সংলাপে ছিলাম। বক্তব্য শুনিনি। কী বলেছেন, না বলেছেন আমি জানি না। যেহেতু আমি শুনিনি, বিস্তারিত না জেনে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। আমরা ফরমালি বিষয়গুলো জানলে, সবাই বসে কমিশনে আলাপ-আলোচনা করে আমাদের মতামত দিতে পারব। এখন মতামত দেওয়া যথার্থতা হবে না। আমি বক্তৃতাই শুনিনি আসলে। আমি মতামত দিতে চাই না।
তবে ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, একসঙ্গে দুটি নির্বাচনে কিছু সুফল রয়েছে। এতে নতুন করে কোনো আয়োজন করতে হবে না। ফলে, আলাদা করার চেয়ে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ ব্যয় কম হবে। কেননা, একই ভোটকেন্দ্রে কেবল কক্ষ বাড়িয়ে, একটি ব্যালট বাড়িয়ে ভোট নেওয়া যাবে। এতে ভোট কর্মকর্তার সংখ্যা কিছুটা বাড়বে। আর ব্যালট বক্স কিছুটা বাড়াতে হবে। তবে একসঙ্গে ভোট করলে গণনায় অনেক সময় লেগে যাবে। এতে কোনো-কোনো ক্ষেত্রে রাত ফুরিয়ে যেতে পারে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুই হাজার ৮শ কোটি টাকার মতো ব্যয় ধরা হয়েছে। এর সঙ্গে গণভোটের জন্য আরো তিনশ থেকে চারশো কোটি টাকা লাগতে পারে। আর আলাদা করে গণভোট করতে গেলে প্রায় একই রকম অর্থ ব্যয় হতে পারে।
S
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘পোস্টাল ব্যালট’ -এর মাধ্যমে ভোটগ্রহণের সার্বিক প্রস্তুতিতে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি এনেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আউট অব কান্ট্রি ভোটিং সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ইমপ্লিমেন্টেশন (ওসিভি-এসডিআই) প্রকল্পের আওতায় এই ভোট প্রক্রিয়া পরিচালনা সভায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহর সভাপতিত্বে গত ১০ নভেম্বর নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত সভায় পোস্টাল ভোটের কার্যক্রম দ্রুত ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য সময়ভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়।
পোস্টাল ব্যালটের কার্যক্রম সফল করতে গৃহীত প্রধান সিদ্ধান্তগুলো হচ্ছে-
বিধি ও পরিপত্র প্রণয়ন: ‘পোস্টাল ভোট (আইটি সাপোর্টেড)’ বিষয়ক বিধি ও পরিপত্র আগামী ১৩ নভেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই কাজ বাস্তবায়ন করবেন উপসচিব (নির্বাচন পরিচালনা-২) এবং সিনিয়র সহকারী সচিব (নির্বাচন সহায়তা-১)।
প্রচারণা : বাংলাদেশ ডাক বিভাগের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ প্রচারণার কাজে ব্যবহার করা হবে।
ঝুঁকি নিরসন: ‘পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপ’ -এর জন্য রিস্ক অ্যাসেসমেন্ট ম্যাট্রিক্স প্রস্তুত করে ঝুঁকি নিরসনের ব্যবস্থা করতে হবে ওসিবি-এসডিআইপিকে।
লাইভ ডিসপ্লে : আগামী ১৮ নভেম্বর থেকে নির্বাচন ভবনের ৩য় তলায় এবং নির্বাচন ভবনের বাইরে পোস্টাল ভোটিং কার্যক্রমের লাইভ ডিসপ্লে নিশ্চিত করতে হবে।
নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা : আর্মি প্রিন্টিং প্রেস ও বাংলাদেশ ডাক বিভাগের তেজগাঁও মেইল প্রসেসিং সেন্টারে (এমপিসি) দায়িত্ব পালনকারী ব্যক্তিরা কোনো মোবাইল ফোন বা ডিভাইস বহন করতে পারবেন না। এই স্থাপনাগুলোতে নিরাপত্তা বিধান, সিসিটিভি কাভারেজ ও রেকর্ডিংয়ের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।
পরিদর্শন : আগামী ২০ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন কর্তৃক আর্মি প্রিন্টিং প্রেস ও তেজগাঁও মেইল প্রসেসিং সেন্টারের (এমপিসি) সব কার্যক্রম পরিদর্শন করা হবে।
প্রবাসী ভোটাররা : নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণার পর দিন থেকে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ স্ব-স্ব ভোটারের কাছে পোস্টাল প্যাকেজ প্রেরণ করবে।
অভ্যন্তরীণ পোস্টাল ভোটাররা : প্রতীক বরাদ্দের পর দিন থেকে ডাক বিভাগ পোস্টাল প্যাকেজ প্রেরণ করবে।
প্রশিক্ষণ ও লোকবল: আউট অব কান্ট্রি ভোটিং সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ইমপ্লিমেন্টেশন নির্বাচন কর্মকর্তাদের জন্য প্রশিক্ষণ ভিডিও প্রস্তুত করবে, যার টেকনিক্যাল সুবিধা দেবে IDEA-2 প্রকল্প। এছাড়া, OCV-SDIP নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের ৮০ জন কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দিয়ে OCV ও ICPV সংক্রান্ত সব কার্যক্রমে নিয়োজিত করবে।
মুদ্রণ কার্যক্রম: প্রাথমিকভাবে ২০ লাখ ভোটারের (১০ লাখ প্রবাসী এবং ১০ লাখ অভ্যন্তরীণ বিবেচনায়) জন্য অতিশিগগিরই মুদ্রণ কার্যক্রম হাতে নিতে হবে আর্মি প্রিন্টিং প্রেস ও বাংলাদেশ ডাক বিভাগকে।
সরঞ্জাম সংগ্রহ : নির্বাচন ব্যবস্থাপনা-২ অনুবিভাগ কর্তৃক ২০০টি কিউআর কোড রিডার ক্রয় করে ০৭ ডিসেম্বর মধ্যে OCV-SDIP-কে হস্তান্তর করা হবে।
সমন্বয় সভা: OCV-SDIP, বাংলাদেশ ডাক বিভাগ এবং আর্মি প্রিন্টিং প্রেস ১৩ নভেম্বর থেকে প্রতিদিন দুপুর ১২টায় অনলাইন প্ল্যাটফর্মে সভার মাধ্যমে সমন্বয় সাধন করবে।
S
দেশে গণতন্ত্র ফেরাতে হলে নির্বাচনই একমাত্র বিকল্প : মির্জা ফখরুল
পূর্ব-পশ্চিম দুই ফ্রন্টেই যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত পাকিস্তান
