জাতীয়
নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে পুলিশের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ
ডিজিটাল দর্পণ ডেস্ক
Published
2 weeks agoon
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে পুলিশের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। এদেশের জনগণ, রাজনৈতিক দলসহ সবমহলের প্রত্যাশা পূরণের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব পুলিশের কাঁধে। সবার প্রত্যাশা- পুলিশ সামনের জাতীয় নির্বাচনে এমন এক মানদণ্ড স্থাপন করবে, যা শুধু দেশেই নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও প্রশংসিত হবে। এ লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকালে রাজধানী ঢাকায় পুলিশ হেডকোয়ার্টারে ‘হল অব প্রাইড’ সম্মেলন কক্ষে বিশেষ অপরাধ পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আইনের প্রয়োগ শুধু শক্তি দিয়ে নয়, ন্যায়, নিষ্ঠা ও মানবিকতা দিয়েও প্রতিষ্ঠিত হয়।
পুলিশকে উদ্দেশ করে উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনী মাঠে আপনারা শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী নন; জনগণের নিরাপত্তা, আস্থা ও গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার প্রতীক।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, সামনে নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক আলাপ-আলোচনা ও সংলাপ শুরু হয়েছে। এক্ষেত্রে পুলিশ সদস্যদের কেউ কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষাবলম্বন, বিশেষ সুবিধা প্রদান ও গ্রহণ এবং নিজেকে রাজনৈতিক কর্মী ভাবা যাবে না।
উপদেষ্টা বলেন, ফ্যাসিস্টদের তালিকা পুলিশের কাছে রয়েছে। তারা সমাজ ও রাষ্ট্রে অস্থিরতা সৃষ্টিতে সরাসরি জড়িত। তাছাড়া অনেক অপরাধী জামিনে ছাড়া পেয়ে পুনরায় অপরাধ করছে। ফ্যাসিস্টদের অপকর্ম, অপপ্রচার, অপরাজনীতি, অপরাধ ও ঝটিকা মিছিল ঠেকাতে গ্রেপ্তার বাড়াতে হবে। তবে নিরীহ মানুষকে হয়রানি করা যাবে না।
ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, অধীনস্থ পুলিশ অফিসার ও ট্রুপসদের পেশাদারিত্ব, টিম স্পিরিট, শৃঙ্খলা ও মনোবল বৃদ্ধিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। যাদের পেশাদারিত্ব নেই, শৃঙ্খলা নেই, কমান্ড মানতে চায় না, যারা সরকার ও রাষ্ট্রের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করে- তাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ও আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।
উপদেষ্টা বলেন, জেলা পর্যায়ে ঘনঘন কোর কমিটির সভা আহ্বান করতে হবে। রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলাগুলো দ্রুত প্রত্যাহার করতে হবে এবং মিথ্যা মামলা দ্রুততম সময়ে নিষ্পত্তি করতে হবে। পুলিশের স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চকে আরও সক্রিয় করতে হবে এবং জেলার সব বিষয় নখদর্পণে রাখতে হবে।
তিনি বলেন, থানা থেকে লুট হওয়া, হারানো বা অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান ত্বরান্বিত করতে হবে। জেলার কেপিআইগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে। অগ্নিকাণ্ডের মতো দুর্ঘটনা বেড়ে যাচ্ছে- এ বিষয়ে পুলিশসহ সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, পুলিশের ওপর আক্রমণ কোনো অবস্থাতেই সহ্য করা হবে না। এ ব্যাপারে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তিনি নির্দেশনা প্রদান করেন। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে সাইবার অপরাধ বেড়ে গেছে। এ ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে তরুণ পুলিশ অফিসারদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমের সভাপতিত্বে সভায় সিসকো ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পুলিশের বিভিন্ন রেঞ্জের ডিআইজি, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার এবং জেলার পুলিশ সুপাররা অংশগ্রহণ করেন।
S
You may like
-
ভারতীয় গণমাধ্যমের দাবি প্রত্যাখ্যান বাংলাদেশের
-
যতটা পারি ব্যক্তি পর্যায়ের সিম নিবন্ধন কমিয়ে আনব : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
-
বিমানবন্দরে আগুনের ঘটনা তদন্তে আসছে ৪ দেশের বিশেষজ্ঞ টিম
-
‘অসুরের মুখে দাড়ি’ চক্রান্তের পেছনে ফ্যাসিস্ট দোসরদের মদদ রয়েছে
-
বর্তমানে পাহাড়ের অবস্থা শান্ত : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
-
একটি মহল খাগড়াছড়িকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
অধ্যাপক আলী রীয়াজকে উপদেষ্টা পদমর্যাদায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
তাকে এ নিয়োগ দিয়ে বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বৃহস্পতিবার অধ্যাপক আলী রীয়াজকে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগদান করেছেন।
বিশেষ সহকারী পদে অধিষ্ঠিত থাকাকালীন তিনি উপদেষ্টার পদমর্যাদা, বেতন-ভাতাদি ও আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা পাবেন বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও লেখক আলী রীয়াজ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ছয়টি সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বিবেচনা ও গ্রহণের জন্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কমিশন প্রতিবেদন দাখিল করার মাধ্যমে সম্প্রতি তাদের কাজ শেষ করেছে।
S
জাতীয়
সরকারের আনুষ্ঠানিক নির্দেশনার পর গণভোট নিয়ে সিদ্ধান্ত : সিইসি
Published
8 hours agoon
নভেম্বর ১৩, ২০২৫
সরকারের আনুষ্ঠানিক নির্দেশনার পর গণভোট নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে একইদিন জুলাই সনদ বাস্তবায়নের গণভোট নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। ইসির মতামত কী, চ্যালেঞ্জ হবে কিনা, সংসদ নির্বাচনের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে কিনা— এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, এখানে আমি সংলাপে ছিলাম। বক্তব্য শুনিনি। কী বলেছেন, না বলেছেন আমি জানি না। যেহেতু আমি শুনিনি, বিস্তারিত না জেনে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। আমরা ফরমালি বিষয়গুলো জানলে, সবাই বসে কমিশনে আলাপ-আলোচনা করে আমাদের মতামত দিতে পারব। এখন মতামত দেওয়া যথার্থতা হবে না। আমি বক্তৃতাই শুনিনি আসলে। আমি মতামত দিতে চাই না।
তবে ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, একসঙ্গে দুটি নির্বাচনে কিছু সুফল রয়েছে। এতে নতুন করে কোনো আয়োজন করতে হবে না। ফলে, আলাদা করার চেয়ে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ ব্যয় কম হবে। কেননা, একই ভোটকেন্দ্রে কেবল কক্ষ বাড়িয়ে, একটি ব্যালট বাড়িয়ে ভোট নেওয়া যাবে। এতে ভোট কর্মকর্তার সংখ্যা কিছুটা বাড়বে। আর ব্যালট বক্স কিছুটা বাড়াতে হবে। তবে একসঙ্গে ভোট করলে গণনায় অনেক সময় লেগে যাবে। এতে কোনো-কোনো ক্ষেত্রে রাত ফুরিয়ে যেতে পারে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুই হাজার ৮শ কোটি টাকার মতো ব্যয় ধরা হয়েছে। এর সঙ্গে গণভোটের জন্য আরো তিনশ থেকে চারশো কোটি টাকা লাগতে পারে। আর আলাদা করে গণভোট করতে গেলে প্রায় একই রকম অর্থ ব্যয় হতে পারে।
S
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘পোস্টাল ব্যালট’ -এর মাধ্যমে ভোটগ্রহণের সার্বিক প্রস্তুতিতে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি এনেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আউট অব কান্ট্রি ভোটিং সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ইমপ্লিমেন্টেশন (ওসিভি-এসডিআই) প্রকল্পের আওতায় এই ভোট প্রক্রিয়া পরিচালনা সভায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহর সভাপতিত্বে গত ১০ নভেম্বর নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত সভায় পোস্টাল ভোটের কার্যক্রম দ্রুত ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য সময়ভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়।
পোস্টাল ব্যালটের কার্যক্রম সফল করতে গৃহীত প্রধান সিদ্ধান্তগুলো হচ্ছে-
বিধি ও পরিপত্র প্রণয়ন: ‘পোস্টাল ভোট (আইটি সাপোর্টেড)’ বিষয়ক বিধি ও পরিপত্র আগামী ১৩ নভেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই কাজ বাস্তবায়ন করবেন উপসচিব (নির্বাচন পরিচালনা-২) এবং সিনিয়র সহকারী সচিব (নির্বাচন সহায়তা-১)।
প্রচারণা : বাংলাদেশ ডাক বিভাগের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ প্রচারণার কাজে ব্যবহার করা হবে।
ঝুঁকি নিরসন: ‘পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপ’ -এর জন্য রিস্ক অ্যাসেসমেন্ট ম্যাট্রিক্স প্রস্তুত করে ঝুঁকি নিরসনের ব্যবস্থা করতে হবে ওসিবি-এসডিআইপিকে।
লাইভ ডিসপ্লে : আগামী ১৮ নভেম্বর থেকে নির্বাচন ভবনের ৩য় তলায় এবং নির্বাচন ভবনের বাইরে পোস্টাল ভোটিং কার্যক্রমের লাইভ ডিসপ্লে নিশ্চিত করতে হবে।
নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা : আর্মি প্রিন্টিং প্রেস ও বাংলাদেশ ডাক বিভাগের তেজগাঁও মেইল প্রসেসিং সেন্টারে (এমপিসি) দায়িত্ব পালনকারী ব্যক্তিরা কোনো মোবাইল ফোন বা ডিভাইস বহন করতে পারবেন না। এই স্থাপনাগুলোতে নিরাপত্তা বিধান, সিসিটিভি কাভারেজ ও রেকর্ডিংয়ের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।
পরিদর্শন : আগামী ২০ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন কর্তৃক আর্মি প্রিন্টিং প্রেস ও তেজগাঁও মেইল প্রসেসিং সেন্টারের (এমপিসি) সব কার্যক্রম পরিদর্শন করা হবে।
প্রবাসী ভোটাররা : নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণার পর দিন থেকে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ স্ব-স্ব ভোটারের কাছে পোস্টাল প্যাকেজ প্রেরণ করবে।
অভ্যন্তরীণ পোস্টাল ভোটাররা : প্রতীক বরাদ্দের পর দিন থেকে ডাক বিভাগ পোস্টাল প্যাকেজ প্রেরণ করবে।
প্রশিক্ষণ ও লোকবল: আউট অব কান্ট্রি ভোটিং সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ইমপ্লিমেন্টেশন নির্বাচন কর্মকর্তাদের জন্য প্রশিক্ষণ ভিডিও প্রস্তুত করবে, যার টেকনিক্যাল সুবিধা দেবে IDEA-2 প্রকল্প। এছাড়া, OCV-SDIP নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের ৮০ জন কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দিয়ে OCV ও ICPV সংক্রান্ত সব কার্যক্রমে নিয়োজিত করবে।
মুদ্রণ কার্যক্রম: প্রাথমিকভাবে ২০ লাখ ভোটারের (১০ লাখ প্রবাসী এবং ১০ লাখ অভ্যন্তরীণ বিবেচনায়) জন্য অতিশিগগিরই মুদ্রণ কার্যক্রম হাতে নিতে হবে আর্মি প্রিন্টিং প্রেস ও বাংলাদেশ ডাক বিভাগকে।
সরঞ্জাম সংগ্রহ : নির্বাচন ব্যবস্থাপনা-২ অনুবিভাগ কর্তৃক ২০০টি কিউআর কোড রিডার ক্রয় করে ০৭ ডিসেম্বর মধ্যে OCV-SDIP-কে হস্তান্তর করা হবে।
সমন্বয় সভা: OCV-SDIP, বাংলাদেশ ডাক বিভাগ এবং আর্মি প্রিন্টিং প্রেস ১৩ নভেম্বর থেকে প্রতিদিন দুপুর ১২টায় অনলাইন প্ল্যাটফর্মে সভার মাধ্যমে সমন্বয় সাধন করবে।
S
দেশে গণতন্ত্র ফেরাতে হলে নির্বাচনই একমাত্র বিকল্প : মির্জা ফখরুল
পূর্ব-পশ্চিম দুই ফ্রন্টেই যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত পাকিস্তান
