Connect with us

আন্তর্জাতিক

বিহার : রেকর্ড গড়ে দশমবারের মতো মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নিলেন নীতিশ কুমার

Digital Darpan

Published

on

ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নিয়েছেন জনতা দল ইউনাইটেড বা (জেডিইউ)-এর প্রেসিডেন্ট নীতিশ কুমার। এই নিয়ে ১০ম বারের মতো মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নিয়েছেন তিনি।

১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে স্বাধীতালাভের পর ভারতের এযাবৎকালের রাজনীতির ইতিহাসে এটি একটি রেকর্ড। কারণ এর আগে ভারতের কোনো রাজ্যের কোনো রাজনীতিবিদ এতবার মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নেননি।

যদি অদূর ভবিষ্যতে বিহারের রাজ্য সরকারের পতন না ঘটে, অর্থাৎ সাংবিধানিকভাবে নীতিশ কুমারের নেৃতত্বাধীন সরকার যদি তার ৫ বছরের মেয়াদ পূরণ করে— তাহলে সবচেয়ে বেশিদিন মুখ্যমন্ত্রীর পদে থাকার রেকর্ডও নীতিশের দখলে যাবে।

আজ বৃহস্পতিবার বিহারের রাজধানী পাটনার ঐতিহাসিক গান্ধী ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিহারের মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন জেডিইউয়ের প্রেসিডেন্ট এবং বিজেপির নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক জোট ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ)-এর অন্যতম শীর্ষ নেতা নীতিশ কুমারসহ মোট ৩০ জন মন্ত্রী।

এই ৩০ জনের মধ্যে ১৬ জন বিজেপির। আর মুখ্যমন্ত্রীর পদসহ বাকি ১৪টি মন্ত্রণালয় পেয়েছে জেডিইউ।

পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম প্রতিবেশী রাজ্য বিহারের বিধানসভায় আসনসংখ্যা মোট ২৪৩টি। গত ৬ এবং ১১ নভেম্বর— দুই দফায় হয়েছে বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুসারে, দুই দফায় মিলেয়ে মোট ৬৭ শতাংশ ভোট পড়েছে এবারের নির্বাচনে। গত ১৪ নভেম্বর নির্বাচনের ফঅলাফল ঘোষণা করেছে ভারতের জাতীয় নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচনে মূলত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে বিজেপি-জনতা দল ইউনাইডেট (জেডিইউ) নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট এবং কংগ্রেস-রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) নেতৃত্বাধীন জোট মহাগাঠবন্ধনের মধ্যে। ফলাফল ঘোষণার পর দেখা যায়, বিধানসভার ২৪২টি আসনের মধ্যে ২০২টিতে জয় পেয়েছেন এনডিএ জোটের প্রার্থীরা। বিরোধী মহাগাঠবন্ধন জোটের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন ৩৫টি আসনে।

এনডিএ জোটের সবচেয়ে বড় শরিক দল বিজেপি জয় পেয়েছে ৮৯টি আসনে। জোটের দ্বিতীয় শরিক এবং বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের নেতৃত্বাধীন জেডিইউ ৮৫টি আসনে জয় পয়েছে। এছাড়া বিহারের রাজনীতিবিদ এবং ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিরাগ পাসওয়ানের লোক জনশক্তি পার্টি ১৯টি এবং আরেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন রাম মাঝির নেতৃত্বাধীন আওয়াম মোর্চা পার্টি জিতেছে ৫টি আসনে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে আজ উপস্থিত ছিলেন গান্ধী ময়দানের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে। এছাড়া ভারতের বিজেপি শাসিত বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা এবং অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুও উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র : এনডিটিভি

S

আন্তর্জাতিক

ভারতের বিরুদ্ধে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধের জন্য সতর্কতায় পাকিস্তান

Published

on

ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ শুরু হতে পারে। যা পাকিস্তান উড়িয়ে দিচ্ছে না। এমন পরিস্থিতির জন্য পাকিস্তান পূর্ণ সতর্ক আছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ।

গতকাল মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সংবাদমাধ্যম সামা টিভিকে পাক মন্ত্রী বলেছেন, “আমরা ভারতকে কোনোভাবেই উপেক্ষা করছি না, কোনো পরিস্থিতিতেই তাদের বিশ্বাস করছি না। আমার বিশ্লেষণ অনুযায়ী, আমি ভারতের পক্ষ থেকে পূর্ণমাত্রার কোনো যুদ্ধ বা নাশকতার শঙ্কা উড়িয়ে দিতে পারি না। এরমধ্যে সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ থাকতে পারে। আমাদের সবসময় প্রস্তুত থাকতে হবে।”

ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী সম্প্রতি ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব নিয়ে কথা বলেন। তিনি জানান গত জুনে ভারত যে অপারেশন সিঁদুর শুরু করেছিল এটি ছিল ’৮৮ মিনিটের ট্রেলার’। তিনি বলেন, প্রতিবেশীর সঙ্গে কেমন আচরণ করতে হয় সেই শিক্ষা দিতে ভারত সম্পূর্ণ প্রস্তুত ছিল।

তার ’৮৮ মিনিটের ট্রেলার’ মন্তব্যের পর পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী যুদ্ধ প্রস্তুতির কথা বললেন।

এরআগে আরও কঠোর ভাষায় ভারতকে হুমকি দিয়েছিলেন খাজা আসিফ। তিনি বলেছিলেন, “আমরা প্রস্তুত। আমরা পূর্ব সীমান্ত (ভারত) এবং পশ্চিম সীমান্ত (পাকিস্তান) দুই জায়গায় শত্রুর মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত। আল্লাহ আমাদের প্রথম রাউন্ডে সহায়তা করেছেন। তিনি আমাদের দ্বিতীয় রাউন্ডেও সহায়তা করবেন। যদি তারা চূড়ান্ত রাউন্ড চায় তাহলে আমাদের যুদ্ধ ছাড়া অন্য কোনো উপায় থাকবে না।”

এদিকে এরআগে গত মাসে সীমান্তে ব্যাপক সংঘাতে জড়িয়েছিল আফগানিস্তান ও পাকিস্তান। ওই সময় আফগানিস্তানের ভেতরে বিমান হামলা চালিয়েছিল তারা। তবে কাতার ও তুরস্কের মতো মধ্যস্থাকারী দেশগুলোর মধ্যস্থতায় সংঘর্ষ থেমেছিল।

সূত্র: সামা টিভি

S

Continue Reading

আন্তর্জাতিক

পশ্চিম তীরে নির্যাতনকারী ইসরায়েলিদের বিচারের ঘোষণা নেতানিয়াহুর

Published

on

পশ্চিম তীর অঞ্চলের ফিলিস্তিনিদের নির্যাতন-নিপীড়নকারী ইসরায়েলি নাগরিকদের বিচারের আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। এ বিষয়ে গ্রহনীয় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করতে শিগগিরই মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

গত সোমবার এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহু বলেন, “আমি গভীরভাবে লক্ষ্য করছি যে পশ্চিম তীরে (ইসরায়েলিদের) একটি ছোটো, চরমপন্থি গ্রুপ দীর্ঘদিন ধরে সহিংসতা, বিশৃঙ্খলা ছড়ানো এবং আইন নিজেদের হাতে নেওয়ার চেষ্টা করছে। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়।”

“পশ্চিম তীরের দাঙ্গাকারীদের গ্রেপ্তার এবং তাদের বিরুদ্ধে পরিপূর্ণভাবে আইনের প্রয়োগ করতে আমি ইতোমধ্যে সেখানাকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে বিষয়টি দেখব এবং মন্ত্রিসভার সদস্যরা এক্ষেত্রে আমাকে সহযোগিতা করবেন। শিগগিরই এ বিষয়ে মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডাকা হবে।”

পৃথক এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ বলেছেন, পশ্চিম তীরে সহিংসতা বন্ধে আলাদাভাবে রসদ বরাদ্দ এবং অর্থায়নের সিদ্ধান্ত নিতে পারে ইসরায়েরের সরকার।

যিশুখ্রিস্টের জন্মস্থান বেথলেহেম বর্তমান ফিলিস্তিনে অবস্থিত। সেই বেথলেহেমের নিকটবর্তী গ্রাম জাবায় সোমবার বেশ কয়েকটি বাড়িঘর এবং যানবাহনে আগুন দিয়েছে ইসরায়েলি দাঙ্গাকারীরা। এর আগে পশ্চিম তীরের সা’র গ্রামেও একই কাজ করেছে তারা।

সোমবার জাবায় দাঙ্গার পর জরুরি বৈঠকে বসে ফিলিস্তিনের মন্ত্রিসভা। সেই বৈঠক শেষে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলিদের হামলা ঠেকাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করে বিবৃতি দেয় ফিলিস্তিনের মন্ত্রিসভা। সেই বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েলি দাঙ্গাকারীরা অহরহ আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন করছে এবং তাদেরকে পূর্ণমাত্রায় সমর্থন ও সুরক্ষা দিচ্ছে ইসরায়েলের সরকার।

ফিলিস্তিনের মন্ত্রিসভার এই বিবৃতি প্রদানের কিছুক্ষণ পরেই ইসরায়েলি দুষ্কৃতিকারীদের আইনের আওতায় আনার ঘোষণা দিয়ে বিবৃতি দেন নেতানিয়াহু।

৫ হাজার ৬৫৫ বর্গকিলোমিটার আয়তনবিশিষ্ট পশ্চিমতীরে বসবাস করেন প্রায় ২৭ লাখ ফিলিস্তিনি। প্রস্তাবিত ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ড হিসেবে বিবেচনা করা হয় পশ্চিম তীরকে। গাজায় যুদ্ধবিরতির পর থেকে সম্প্রতি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবি দিন দিন শক্তিশালী হয়ে উঠছে।

সূত্র : রয়টার্স

S

Continue Reading

আন্তর্জাতিক

সাংবাদিক খাসোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘ঘটনা ঘটেই যায়’

Published

on

সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান তার দেশের সাংবাদিক জামাল খাসোগির হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে “কিছুই জানতেন না” বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসে মোহাম্মদ বিন সালমানকে স্বাগত জানানোর সময় ট্রাম্প এই কথা বলেন।

২০১৮ সালে ইস্তানবুলে সৌদি কনস্যুলেটে সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যার জন্য সৌদি এই যুবরাজ অভিযানের অনুমোদন করেছিলেন- ২০২১ সালে এমন একটি মূল্যায়ন করেছিলো যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা।

তবে ট্রাম্পের মন্তব্য ওই মূল্যায়নের বিপরীত তথ্য দিচ্ছে।

কোনো ধরনের অন্যায় কাজ করার কথা অস্বীকার করে যুবরাজ সালমান হোয়াইট হাউসে বলেছেন, “খাসোগির মৃত্যুর তদন্তের জন্য সৌদি আরব যথাযথ সব কাজ করেছে।” হত্যাকাণ্ডটিকে ‘বেদনাদায়ক’ বলেও অভিহিত করেছেন তিনি।

জামাল খাসোগির হত্যাকাণ্ড যুক্তরাষ্ট্র-সৌদির সম্পর্ককে নাড়িয়ে দিয়েছিল। এর ফলাফল এত গভীর ও সুদূর প্রসারি ছিল যে ২০১৮ সালের পর এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়েছেন সৌদি ক্রাউন প্রিন্স।

মঙ্গলবার ওভাল অফিসে ওই হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে প্রশ্ন করেছিলেন এমন একজন সাংবাদিককে ট্রাম্প পাল্টা আক্রমণ করেন।

তিনি বলেন, “আপনি এমন একজনের কথা বলছেন যিনি খুবই বিতর্কিত ছিলেন। আপনি যে ভদ্রলোকের কথা বলছেন তাকে অনেকেই পছন্দ করতেন না। আপনি তাকে পছন্দ করুন বা না করুন, ঘটনা ঘটেই যায়।”

তিনি আরো বলেন, “কিন্তু ক্রাউন প্রিন্স এই সম্পর্কে কিছুই জনতেন না। আমাদের অতিথিদের বিব্রত করার দরকার নেই আপনাদের।”

সূত্র : বিবিসি বাংলা

S

Continue Reading