Connect with us

জাতীয়

জুলাই গণহত্যায় জাপা ও ১৪ দলকে অভিযুক্ত করার দাবি শহীদ স্বজনদের

Digital Darpan

Published

on

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায়কে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণার পাশাপাশি জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের রাজনৈতিক ভূমিকা তদন্ত করে জুলাই গণহত্যায় অভিযুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবার ও আহতরা। তাদের অভিযোগ, সহিংসতা শুধু ব্যক্তি বা প্রশাসনিক পর্যায়ে সীমাবদ্ধ ছিল না, এটি ছিল সংগঠিত রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ফল, যার দায় আরও বিস্তৃত।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে রায় পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় তারা এসব কথা বলেন।

শহীদ মীর মুগ্ধের বাবা মীর মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শেখ হাসিনার যে দানবতা আমরা দেখেছি, তার জন্য শুধু ব্যক্তি নয়, তার দল আওয়ামী লীগকেও নিষিদ্ধ করা উচিত। এজন্য ফ্যাসিস্ট বলা হলেও কম বলা হয়। এই দল জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান করেছে। রাষ্ট্রকে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলীয় জোটের ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ বলে উল্লেখ করেন মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টের দমনে যারা রাজনৈতিকভাবে সহযোগিতা করেছে, জাতীয় পার্টি হোক বা ১৪ দল, তাদের ভূমিকা তদন্ত হওয়া উচিত। রাজনৈতিকভাবে যারা এই ঘটনার পেছনে ছিল, আগামী সরকার তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক।

তিনি আরও বলেন, আমরা শুধু রায় চাই না, রাজনৈতিক দায়ও নির্ধারণ চাই। যারা হত্যার পরিবেশ তৈরি করেছে, তাদের আইনি ও রাজনৈতিক জবাবদিহি হওয়া দরকার।

মীর মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ফাঁসি যেন দ্রুত কার্যকর করা হয়, এটাই আমাদের দাবি। আর মামুনের যে মাত্র পাঁচ বছরের সাজা হয়েছে, আমরা তা মেনে নেইনি। কমপক্ষে যাবজ্জীবন আশা করেছিলাম। আদালত যেন এটি পুনর্বিবেচনা করেন, আপিলের মাধ্যমে হলেও।

রায়ের পর প্রতিক্রিয়ায় শহীদ মিরাজের বাবা আব্দুর রব বলেন, আমরা কোনো ব্যক্তি নয়, পুরো ঘটনার বিচার চাই। আওয়ামী লীগ যেভাবে রাষ্ট্রীয় যন্ত্র ব্যবহার করে হত্যার নির্দেশ দিয়েছে, সেটা শুধু একজন নেতার সিদ্ধান্ত হতে পারে না। জাপা ও ১৪ দল সে সময় যেভাবে সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছে, সেই রাজনৈতিক সমর্থন ছাড়া এত বড় গণহত্যা সম্ভব ছিল না। আমরা চাই তাদের ভূমিকারও বিচার হোক।

তিনি আরও বলেন, আজকে তিনজনের সাজা হলো, ঠিক আছে। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো যে পরিবেশ তৈরি করেছে, সেই দায়ও সমান। যারা জোটবদ্ধ হয়ে সরকারকে রক্ষা করতে মাঠে নেমেছিল, তাদের বিচারের আওতায় না আনা হলে এই বিচার অসম্পূর্ণ থাকবে।

রায়ের পর আদালতপাড়ায় জড়ো হওয়া শহীদ পরিবার ও জুলাই আহতরা জানান, ব্যক্তিগত শাস্তি ঘোষণায় তারা স্বস্তি পেলেও রাজনৈতিক বিচার ও সংগঠিত দায় নির্ধারণের দাবি এখনো পূর্ণ হয়নি।

S

জাতীয়

জরুরি বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা

Published

on

ভূমিকম্প সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।

সোমবার (২৪ নভেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে তেজগাঁওয়ে সরকারপ্রধানের দপ্তরে এ বৈঠক শুরু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর।

দপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত শুক্র ও শনিবার দুই দিনে চার দফা ভূমিকম্পে দেশে আতঙ্কজনক পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পর প্রধান উপদেষ্টা এ বৈঠকে বসেছেন।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে তিনবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর আগে শুক্রবার সকালে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্প আঘাত হানে বাংলাদেশে। ওই ভূমিকম্পে তিন জেলায় অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয় এবং ছয় শতাধিক মানুষ আহত হন। ঢাকার বহু ভবনে ফাটল দেখা দেয়, কোথাও কোথাও ভবন হেলে পড়ার ঘটনা ঘটে।

রিখটার স্কেলে ৫.৭ মাত্রার এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকা থেকে মাত্র ১৩ কিলোমিটার দূরে নরসিংদীর মাধবদীতে এবং এর কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে।

S

Continue Reading

জাতীয়

ভুটানকে বুয়েটে বছরে ১০ সিট এবং হোমগ্রাউন্ড ব্যবহারের সুযোগ দিচ্ছে ঢাকা

Published

on

বাংলাদেশ ভুটানের শিক্ষার্থীদের প্রকৌশল অধ্যয়নের জন্য বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি বছর দশটি আসন বরাদ্দ করবে এবং বাংলাদেশ স্পোর্টস এডুকেশন ইনস্টিটিউশনে (বিকেএসপি) স্পোর্টস সায়েন্সে ডিপ্লোমা করার জন্য ভুটানের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ডেডিকেটেড আসন এবং ভুটানের ক্রীড়া দলগুলোর জন্য হোমগ্রাউন্ড হিসেবে ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া হবে।

ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং টোবগের বাংলাদেশ সফর নিয়ে রোববার (২৩ নভেম্বর) এক যৌথ বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের আমন্ত্রণে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং টোবগে শনিবার ঢাকায় এসেছেন। এদিন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী। এর পাশাপাশি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিনের সঙ্গেও তিনি সাক্ষাৎ করেন।

বৈঠকে বাংলাদেশ ভুটানকে জিটুজি ভিত্তিতে ওষুধ সরবরাহের প্রস্তাব দিয়েছে। উভয়পক্ষ স্বীকার করেছে, এই সহযোগিতা ভুটানে সাশ্রয়ী মূল্যের এবং গুণগত মানের স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেবে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, উভয় সরকার প্রধান আন্তরিক উষ্ণতা এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আনুষ্ঠানিক আলোচনা করেছিলেন, যা দুই দেশের মধ্যে কালোত্তীর্ণ বন্ধুত্বের প্রতিফলন ঘটায়। উভয় নেতা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের চমৎকার অবস্থা সম্পর্কে গভীর সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং বাণিজ্য, যোগাযোগ ও মানুষে মানুষে যোগাযোগসহ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সব দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন।

উভয় পক্ষই দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং বেসরকারি ক্ষেত্রের সহযোগিতা জোরদার করার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেরিং টোবগে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতার নতুন পথ খুঁজে বের করতে বাংলাদেশের ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন। বাংলাদেশ ভুটানের রাজার গেলেফু মাইন্ডফুলনেস সিটি (জিএমসি) গড়ে তোলার আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রশংসা করেছে এবং ভুটানে জিএমসি-এর উন্নয়নে সহযোগিতা প্রসারে তার আগ্রহের কথা জানিয়েছে।

এ ছাড়া, কুড়িগ্রামে ভুটানের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের (এসইজেড) উন্নয়নে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ (জেডব্লিউজি) গঠনের বিষয়ে উভয়পক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছে এবং চলমান সহযোগিতামূলক প্রয়াসকে স্বাগত জানিয়েছে। বৈঠকে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে বুড়িমারী স্থলবন্দর পর্যন্ত পণ্য পরিবহনের পরীক্ষামূলকভাবে কাজ শেষ হওয়ায় উভয় নেতা সন্তোষ প্রকাশ করেন।

বৈঠকে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে ভুটানের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বার্ষিক এমবিবিএস বা বিডিএস আসন সংখ্যা ৩০-এ উন্নীত করার জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান।

বৈঠকের পর দুই নেতার উপস্থিতিতে দুটি সমঝোতা স্মারক সই করা হয়। এ ছাড়া, দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতাকে আরও জোরদার করতে বাংলাদেশ ভুটানের শিক্ষার্থীদের প্রকৌশল অধ্যয়নের জন্য বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি বছর দশটি আসন বরাদ্দ করবে এবং বাংলাদেশ স্পোর্টস এডুকেশন ইনস্টিটিউশনে (বিকেএসপি) স্পোর্টস সায়েন্সে ডিপ্লোমা করার জন্য ভুটানের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ডেডিকেটেড আসন এবং ভুটানের ক্রীড়া দলগুলোর জন্য হোম গ্রাউন্ড হিসেবে ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া হবে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে ভুটানের বিশেষজ্ঞদের জন্য বিশেষ পেশাদার প্রশিক্ষণ কর্মসূচির প্রস্তাবও বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া অভিন্ন মূল্যবোধ, পারস্পরিক শ্রদ্ধা, বোঝাপড়া, সহযোগিতা এবং শান্তি ও সমৃদ্ধির অভিন্ন আকাঙ্ক্ষার ওপর ভিত্তি করে সার্ক এবং বিমসটেকের মতো আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক মঞ্চে সহযোগিতার পাশাপাশি দীর্ঘস্থায়ী দ্বিপাক্ষিক যোগাযোগ ও সহযোগিতার বিষয়ে উভয় নেতা তাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

S

Continue Reading

জাতীয়

শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ

Published

on

শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে ফেরাতে ভারতের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

রোববার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

তৌহিদ হোসেন জানান, শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে ফেরত চেয়ে ভারতের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। গত পরশু দিন (শুক্রবার) দিল্লির বাংলাদেশ মিশন থেকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ চিঠি পাঠানো হয়েছে।

জুলাই আন্দোলনের সময়ে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে গত ১৭ নভেম্বর ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। ওই সময়ে শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেন। ভারতে থাকা বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় ফেরত চেয়ে চিঠি দেয় অন্তর্বর্তী সরকার। সেই চিঠির জবাব আসেনি। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পর শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে ফেরাতে গত শুক্রবার চিঠি পাঠিয়েছে সরকার।

S

Continue Reading