ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়ে ২০১০ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন ভারতের টেনিস তারকা সানিয়া মির্জা ও পাকিস্তানের ক্রিকেটার শোয়েব মালিক। দুই বৈরি সম্পর্কের দেশে এমন বিয়ের আয়োজন স্বাভাবিকভাবেই নজর কেড়েছিল। যদিও ঝড় তোলা সেই বিয়ে এক যুগের বেশি স্থায়ী হয়নি।
২০২৩ সালেই সানিয়া মির্জা শোয়েব মালিককে ডিভোর্স দেন। তবে তা আলোচনায় আসেনি লম্বা সময় পর্যন্ত। এরমাঝে শোয়েব মালিক নিজের জীবনে সঙ্গী করে নেন পাকিস্তানের অভিনেত্রী সানা জাভেদকে। শোয়েব তার তৃতীয় বিয়ের কথা প্রকাশ্যে আনতেই পাল্টা সানিয়ার পরিবারও জানিয়ে দেয় টেনিস তারকার সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গেছে।
নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সাধারণত খুব একটা মুখ খোলেন না সানিয়া মির্জা। কিন্তু নতুন ইউটিউব টক শো ‘সার্ভিং ইট আপ উইথ সানিয়া’ এর প্রথম এপিসোডেই যেন ঝেরে ফেললেন যাবতীয় দ্বিধা। অতিথির চেয়ারে ঘনিষ্ঠ বন্ধু, বলিউড পরিচালক কোরিওগ্রাফার ফারাহ খানের সঙ্গে আলাপচারিতায় সানিয়া তুলে ধরলেন নিজের ভেঙে পড়ার মুহূর্ত, ডিভোর্স পরবর্তী মানসিক চাপে ডুবে যাওয়ার দিন, এমনকি এক ভয়ানক প্যানিক অ্যাটাকের অভিজ্ঞতাও।
সানিয়ার কথায়, ‘একটা দিন ছিল, আমার জীবনের সবচেয়ে অবসাদের মুহূর্তগুলোর একটা। সেটা ক্যামেরার সামনে বলতে চাই না। কিন্তু ওই সময় তুমি (ফারাহ) সেটে এসে দাঁড়ালে। আমাকে লাইভ শো-তে যেতে হত। আমি কাঁপছিলাম। তুমি যদি না থাকতে, ওই শো করতে পারতাম না। তুমি বলেছিলে—‘নো ম্যাটার হোয়াট, ইউ আর ডুইং দিস শো।’ সেই কথাটাই আমাকে দাঁড় করিয়েছিল!’
ফারাহও একমত। জানালেন, সানিয়ার অবস্থা দেখে তিনিও ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। ‘আমার সেদিন শুট ছিল। কিন্তু সব ফেলে পায়জামা-চপ্পলে ছুটে যাই ওর কাছে। শুধু ওর পাশে থাকতে চেয়েছিলাম!’ বললেন তিনি।
আলোচনার টেবিলে বসে সহমর্মিতার সুরে ফারাহ আরও জানান, একা হাতে মা হয়ে ওঠার লড়াইটা সানিয়া যেভাবে সামলাচ্ছেন, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। বলেন, ‘কাজ করতে হবে, ছেলেকে সময় দিতে হবে—দুটোই তোমাকে করতে হয়। এটা ডাবল এফর্ট, আর তুমি সেটা দারুণভাবে ম্যানেজ করছো!’
S