Connect with us

সর্বশেষ

সিরিয়ালে অভিনয় করতে আসিনি : শুভশ্রী

Digital Darpan

Published

on

ওপার বাংলার অভিনেত্রী শুভশ্রী গাঙ্গুলী। বর্তমানে টলিউডের প্রযোজকদের আস্থার আরেক নাম এই নায়িকা। শুধু বড় পর্দা নয়, ওটিটিতেও নিজের দাপট ধরে রেখেছেন রাজ ঘরণী। এই বছরও তার ঝুলিতে রয়েছে ‘গৃহপ্রবেশ’, ‘ধূমকেতু’র মতো ব্লকবাস্টার ছবি।

তবে এই অবস্থানে পৌঁছানোর পথটা সহজ ছিল না। কমার্শিয়াল বাংলা ছবিতে যেখানে একসময় নায়িকারা কেবলই ‘প্রপ’ হিসেবে বিবেচিত হতেন, সেখানে নিজের লক্ষ্য স্থির রেখেছিলেন শুভশ্রী।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শুভশ্রী তার ক্যারিয়ারের শুরুর দিকের এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে আনেন। তিনি জানান, প্রথমবার যখন কলকাতায় পা রেখেছিলেন, তখন তার হাতে আসে এক বিরাট অফার পরিচালক অনুরাগ বসুর নায়িকা হওয়ার প্রস্তাব।

তবে এটি কোনো বড়পর্দার অফার ছিল না। হিন্দি সিরিয়ালে অভিনয়ের জন্য শুভশ্রীকে নির্বাচন করেছিলেন এই পরিচালক। কিন্তু শুভশ্রী সেই প্রস্তাব বিনয়ের সঙ্গে ফিরিয়ে দেন। তার কথায়, ‘আমি তো সিরিয়ালে অভিনয় করতে আসিনি দাদা, ছবিতে কাজের সুযোগ থাকলে আমাকে ডেকো।’

শুভশ্রীর এই প্রত্যয়ী মনোভাব সেদিনই হয়তো মুগ্ধ করেছিল অনুরাগ বসুকে। পরিচালক নাকি তখন শুভশ্রীকে বলেছিলেন যে তিনি অনেক দূর এগোবেন নিজের ক্যারিয়ারে।

‘পিতৃভূমি’ ছবিতে সাইড রোল দিয়ে টলিউডে যাত্রা শুরু করা শুভশ্রীর ভাগ্য বদল হয় রাজ চক্রবর্তীর ‘চ্যালেঞ্জ’ ছবিতে দেবের নায়িকা হওয়ার পর। নিজের এই স্পষ্টবাদী অবস্থানই প্রমাণ করে যে শুরু থেকেই তিনি ছিলেন তার লক্ষ্যে অবিচল।

S

জাতীয়

ভুটানকে বুয়েটে বছরে ১০ সিট এবং হোমগ্রাউন্ড ব্যবহারের সুযোগ দিচ্ছে ঢাকা

Published

on

বাংলাদেশ ভুটানের শিক্ষার্থীদের প্রকৌশল অধ্যয়নের জন্য বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি বছর দশটি আসন বরাদ্দ করবে এবং বাংলাদেশ স্পোর্টস এডুকেশন ইনস্টিটিউশনে (বিকেএসপি) স্পোর্টস সায়েন্সে ডিপ্লোমা করার জন্য ভুটানের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ডেডিকেটেড আসন এবং ভুটানের ক্রীড়া দলগুলোর জন্য হোমগ্রাউন্ড হিসেবে ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া হবে।

ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং টোবগের বাংলাদেশ সফর নিয়ে রোববার (২৩ নভেম্বর) এক যৌথ বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের আমন্ত্রণে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং টোবগে শনিবার ঢাকায় এসেছেন। এদিন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী। এর পাশাপাশি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিনের সঙ্গেও তিনি সাক্ষাৎ করেন।

বৈঠকে বাংলাদেশ ভুটানকে জিটুজি ভিত্তিতে ওষুধ সরবরাহের প্রস্তাব দিয়েছে। উভয়পক্ষ স্বীকার করেছে, এই সহযোগিতা ভুটানে সাশ্রয়ী মূল্যের এবং গুণগত মানের স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেবে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, উভয় সরকার প্রধান আন্তরিক উষ্ণতা এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আনুষ্ঠানিক আলোচনা করেছিলেন, যা দুই দেশের মধ্যে কালোত্তীর্ণ বন্ধুত্বের প্রতিফলন ঘটায়। উভয় নেতা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের চমৎকার অবস্থা সম্পর্কে গভীর সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং বাণিজ্য, যোগাযোগ ও মানুষে মানুষে যোগাযোগসহ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সব দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন।

উভয় পক্ষই দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং বেসরকারি ক্ষেত্রের সহযোগিতা জোরদার করার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেরিং টোবগে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতার নতুন পথ খুঁজে বের করতে বাংলাদেশের ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন। বাংলাদেশ ভুটানের রাজার গেলেফু মাইন্ডফুলনেস সিটি (জিএমসি) গড়ে তোলার আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রশংসা করেছে এবং ভুটানে জিএমসি-এর উন্নয়নে সহযোগিতা প্রসারে তার আগ্রহের কথা জানিয়েছে।

এ ছাড়া, কুড়িগ্রামে ভুটানের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের (এসইজেড) উন্নয়নে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ (জেডব্লিউজি) গঠনের বিষয়ে উভয়পক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছে এবং চলমান সহযোগিতামূলক প্রয়াসকে স্বাগত জানিয়েছে। বৈঠকে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে বুড়িমারী স্থলবন্দর পর্যন্ত পণ্য পরিবহনের পরীক্ষামূলকভাবে কাজ শেষ হওয়ায় উভয় নেতা সন্তোষ প্রকাশ করেন।

বৈঠকে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে ভুটানের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বার্ষিক এমবিবিএস বা বিডিএস আসন সংখ্যা ৩০-এ উন্নীত করার জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান।

বৈঠকের পর দুই নেতার উপস্থিতিতে দুটি সমঝোতা স্মারক সই করা হয়। এ ছাড়া, দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতাকে আরও জোরদার করতে বাংলাদেশ ভুটানের শিক্ষার্থীদের প্রকৌশল অধ্যয়নের জন্য বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি বছর দশটি আসন বরাদ্দ করবে এবং বাংলাদেশ স্পোর্টস এডুকেশন ইনস্টিটিউশনে (বিকেএসপি) স্পোর্টস সায়েন্সে ডিপ্লোমা করার জন্য ভুটানের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ডেডিকেটেড আসন এবং ভুটানের ক্রীড়া দলগুলোর জন্য হোম গ্রাউন্ড হিসেবে ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া হবে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে ভুটানের বিশেষজ্ঞদের জন্য বিশেষ পেশাদার প্রশিক্ষণ কর্মসূচির প্রস্তাবও বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া অভিন্ন মূল্যবোধ, পারস্পরিক শ্রদ্ধা, বোঝাপড়া, সহযোগিতা এবং শান্তি ও সমৃদ্ধির অভিন্ন আকাঙ্ক্ষার ওপর ভিত্তি করে সার্ক এবং বিমসটেকের মতো আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক মঞ্চে সহযোগিতার পাশাপাশি দীর্ঘস্থায়ী দ্বিপাক্ষিক যোগাযোগ ও সহযোগিতার বিষয়ে উভয় নেতা তাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

S

Continue Reading

আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানের সিন্ধ অঞ্চল একদিন ভারতের অংশ হবে : রাজনাথ সিং

Published

on

পাকিস্তানের সিন্ধ অঞ্চল আজ ভারতের ভূখণ্ডের অন্তর্ভুক্ত না হলেও সীমান্ত যেকোনও সময় পরিবর্তন হতে পারে। এমনকি একদিন ওই অঞ্চল ভারতের কাছে ফিরে আসতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। শনিবার মরক্কোতে ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রবাসীদের এক অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেছেন তিনি।

ইন্দুস নদীর তীরবর্তী সিন্ধ প্রদেশ ১৯৪৭ সালের দেশভাগের সময় পাকিস্তানের অংশ হয়ে যায় এবং সেখানে বসবাসরত সিন্ধি জনগোষ্ঠীর অনেকেই ভারতে চলে আসেন।দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, সিন্ধি হিন্দুরা, বিশেষ করে এলকে আদভানির প্রজন্মের মানুষ, ভারত থেকে সিন্ধ অঞ্চলের বিচ্ছিন্ন হওয়াকে কখনোই মেনে নেননি।

তিনি বলেন, ‘‘আমি এটাও বলতে চাই যে, লালকৃষ্ণ আদভানি তার এক বইয়ে লিখেছেন, সিন্ধি হিন্দুরা, বিশেষ করে তার প্রজন্মের লোকজন, এখনো সিন্ধ বিচ্ছিন্ন হওয়ার বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি।’’

রাজনাথ সিং বলেন, ‘‘শুধু সিন্ধই নয়, সমগ্র ভারতে হিন্দুরা ইন্দুস নদীকে পবিত্র মনে করেন। সিন্ধের বহু মুসলমানও বিশ্বাস করতেন, ইন্দুসের পানি মক্কার আব-ই-জমজমের মতোই পবিত্র। এটি আদভানি জির উক্তি।’’

দেশটির এই প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘আজ সিন্ধ ভূখণ্ড ভারতের না হলেও সাংস্কৃতিকভাবে সবসময় ভারতেরই অংশ হয়ে থাকবে। আর ভূখণ্ডের ব্যাপারে বলতে গেলে, সীমান্ত পরিবর্তন হতে পারে। কে জানে, আগামী দিনে সিন্ধ আবার ভারতেই ফিরে আসতে পারে। আমাদের সিন্ধি জনগণ, যারা ইন্দুস নদীকে পবিত্র মনে করেন, যেখানেই থাকুন না কেন; তারা সর্বদাই আমাদেরই মানুষ, আমাদেরই অংশ।’’

রাজনাথ সিং বলেন, আগ্রাসী কোনো পদক্ষেপ ছাড়াই ভারত পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মির (পিওকে) ফিরে পাবে বলে তিনি মনে করেন। কারণ কাশ্মিরের মানুষ নিজেরাই দখলদারদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার দাবি তুলছেন।

তিনি বলেন, ‘‘পাক-অধিকৃত কাশ্মির নিজ থেকেই আমাদের অংশ হবে। সেখানে ইতোমধ্যে এই দাবি তোলা শুরু হয়েছে, স্লোগান আপনারা নিশ্চয় শুনেছেন।’’

সূত্র: এনডিটিভি।

S

Continue Reading

রাজনীতি

যেদিন নামাজের ইমাম সমাজের ইমাম হবেন সেইদিন সত্যিকারের মুক্তি মিলবে

Published

on

যেদিন নামাজের ইমাম সমাজের ইমাম হবেন সেইদিন সত্যিকারের মুক্তি মিলবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

সমাজের ফায়সালা মসজিদের মিম্বর থেকে হবে— এমন স্বপ্নের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের ইমাম এবং খতিব সাহেবেরা কারও করুণার পাত্র হবেন এটা আমরা দেখতে চাই না। খতিব-ইমামদের আসল মর্যাদা তাদের হাতে তুলে দিতে হবে।

রোববার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে সম্মিলিত ইমাম-খতিব জাতীয় সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

জামায়াত আমির বলেন, আমরা যখন জীবিত আপনারা (ইমাম-খতিব) ইমামতি করেন আমরা পেছনে দাঁড়িয়ে যাই। আমরা যখন দুনিয়া থেকে বিদায় নিই, তখনও আপনারা (ইমাম-খতিব) আমাদের ইমাম। শুধু ব্যতিক্রম এতোটুকু। জীবিত অবস্থায় আপনাদের পেছনে দাঁড়াই। আর দুনিয়া থেকে চলে গেলে আমাদের লাশটা সামনে রেখে আপনারা দাঁড়ান। আপনারা হায়াতেও ইমাম মউতেও ইমাম। আমরা এদিক থেকে কলিজার ভেতর থেকে আপনাদের প্রতি আজীবন সম্মান দেখাতে চাই।

রাসূলে কারীম (সা.) মহান রাব্বুল আলামীনের পক্ষ থেকে দায়িত্ব পেয়েই মসজিদ গড়েছিলেন এবং মসজিদকে আল্লাহ তাআালার পছন্দ অনুযায়ী মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন উল্লেখ করে জামায়াত আমির বলেন, তখন আলাদা কোনো ক্যাবিনেট হাউজ ছিল না এবং আলাদা কোনো রাষ্ট্রপতি অথবা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ছিল না। সমস্ত আঞ্জাম দেওয়া হতো মসজিদে নববী থেকে। বিভিন্ন ধর্মের, মতের মানুষ, সারা বিশ্ব থেকে প্রতিনিধি নিয়ে তার কাছে এসেছেন। তিনি তাদের সবার সঙ্গে মিলিত হয়েছেন মসজিদে নববীতে। রাষ্ট্রের সব কর্মকাণ্ডের পরামর্শ আহলে রায়েদের সঙ্গে করেছেন মসজিদে নববীতে। যুগের যতটুকু সময় মসজিদে নববী এবং মসজিদগুলোকে মর্যাদা দিয়ে চলেছে। আর এই মসজিদকেন্দ্রিক যে সমাজটা দুনিয়ার যে অঞ্চলে ছিল সেই সমাজই ছিল বিশ্বের ভালো সমাজ। আর রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু সাল্লাম যে সমাজ মসজিদে নববীকে কেন্দ্র করে গড়ে তুলেছিলেন সেই সমাজ সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে তিনি সার্টিফাই করে গিয়েছেন, ‘বিশ্ববাসী তোমরা জেনে রাখ আজ আমি যে সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলেছি আল্লাহর কিতাবের ভিত্তিতে এই সমাজটাই হচ্ছে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ সমাজ।’ এর আগে এই ধরনের কোনো সমাজ জন্ম নেয়নি। ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনো সমাজ জন্ম নেবে না।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, সুতরাং ওই সমাজকে অনুসরণ করে যেই সমাজ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে সেই সমাজ ব্যবস্থায় দুনিয়ায় শ্রেষ্ঠত্বের আসনে বসবে। নবীজির সমাজকে বাদ দিয়ে মন গড়া কোন মতবাদ তন্ত্র মন্ত্র দিয়ে যে সমাজ গড়া হবে সেই সমাজ আল্লাহর কসম দুনিয়াকে শান্তি এবং সম্মান দুটার কোনোটাই দিতে পারবে না। এটি প্রমাণিত সত্য। দুনিয়ার যে কোন মহাদেশে হোক, দেশে হোক, অঞ্চলে হোক এটি প্রমাণিত সত্য।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশ। এদেশের ৯০ ভাগ মুসলমান আল্লাহর ওপর ঈমান রাখে। আল্লাহর কোরআনকে মানে, নবী করীম (সা.) কে শেষ পয়গম্বর স্বীকার করে। এই দেশে আইন চলবে কোরআনের মতবাদেই ইনশাআল্লাহ। এই জায়গায় যতদিন পর্যন্ত আমাদের দেশ না আসবে, এদেশে আমরা কোনো সত্যিকারের মানবিক সমাজ কায়েম করতে পারবো না।

এদেশে অন্য ধর্মের মানুষ যারা আছে তাদের কী হবে? এমন প্রশ্নের তুলে নিজেই উত্তর দেন জামায়াত আমির। বলেন, কোরআন শুধু মানুষের সম্মানের গ্যারান্টি দেয় নাই। অধিকারের ওয়ারেন্টি দেয় নাই। কোরআন সমস্ত মাখলুকাতের অধিকারের ওয়ারেন্টি দিয়েছে। মানুষ তো অবশ্যই, মদীনায় যেমন সব ধর্মের মানুষ পূর্ণ ধর্মীয় স্বাধীনতা নাগরিক নিরাপত্তা এবং অধিকার ভোগ করেছেন, আল্লাহর দেওয়া আইনের এবং বিধানের ভিত্তিতে আমাদের প্রিয় দেশেও যদি সেই সমাজ ব্যবস্থা কায়েম হয় ইনশাআল্লাহ তাআলা আজিম সেই অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে।

ইমাম-খতিবদের জন্য উত্থাপিত সাত দাবির মধ্যে একটা দাবি-মসজিদ কমিটি ইমাম এবং খতিব সাহেবদের সম্মানের সঙ্গে একমোডেট করতে হবে। এর বিপক্ষে মত দিয়ে তিনি বলেন, আমি এই দাবির সঙ্গে একমত না। মসজিদ কমিটি হবে ইমাম এবং খতিব সাহেবের পরামর্শের ভিত্তিতে। এই কমিটির প্রাণপুরুষ হবেন খতিব কিংবা ইমাম। তাকে বাদ দিয়ে নয়। তাকে সহযোগিতা করার জন্য এই কমিটি হবে।

তিনি বলেন, খতিব এবং ইমাম সাহেবরাও মানুষ। তারাও ভুলের ঊর্ধ্বে নন। ভুল তো হতেই পারে। ভুল যদি হয় এর সমাধান করতে হবে সম্মানজনকভাবে। এই সমাধান এইভাবে নয়। আমার পছন্দ হয়নি, আমি দুপুরবেলা জোহরের নামাজের সময় বলে দিলাম যে উনি কিভাবে ইমাম থাকেন আমি দেখে নেবো। আসরের নামাজের সময় দেখা গেল উনি আর মেহরাবে নাই, আমাদের ইমাম এবং খতিব সাহেবদের জন্য আমরা এমন ফায়সালা চাই না। এমন ফায়সালা বরদাস্ত করবো না। তাদের পূর্ণ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করতে হবে।

জামায়াত আমির বলেন, আপনাদের (ইমাম-খতিব) দাবিগুলা খুব ছোট। কিন্তু এত ছোট জায়গায় পড়ে থাকলে হবে না। আপনাদের এই সমাজের দায়িত্ব নিতে হবে। নামাজের ইমাম যেদিন সমাজের ইমাম হবেন সেইদিন ইনশাআল্লাহ আমরা সত্যিকারের মুক্তি পাব।

বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র ইমাম মাওলান মুহিব্বুল্লাহিল বাকি আন নদভীর সভাপতিত্বে রোববার দুপুর ২টায় রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সম্মেলনে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা, মুসলিম জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় অধিকার সংরক্ষণ, ইমাম-খতিবদের সামাজিক নিরাপত্তা, সম্মানজনক ভাতা এবং মসজিদ পরিচালনার আধুনিক নীতিমালা প্রণয়নসহ গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় বিষয়ে একটি সুস্পষ্ট রোডম্যাপ উপস্থাপিত হয়।

S

Continue Reading