Connect with us

রাজনীতি

বাংলাদেশে নির্বাচনের অপেক্ষায় তুরস্ক, প্রতিরক্ষা শিল্প স্থাপনে আগ্রহ

Digital Darpan

Published

on

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বেরিস একিনচি।

সোমবার (৬ অক্টোবর) গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আসেন তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তার সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেনও ছিলেন।

বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমদ, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।

এক ঘণ্টারও অধিক সময়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্কের উন্নয়ন, ব্যবসা-বাণিজ্য-বিনিয়োগ, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

বৈঠকের পর আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দুই দেশের মধ্যে আমাদের যে দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্ব, তা জিয়াউর রহমানের সময় থেকে গড়ে উঠেছে। ওআইসিতে জিয়াউর রহমানসহ তুরস্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল—সেই বিষয়গুলো আলোচনায় এসেছে। আগামী দিনে ওআইসিকে শক্তিশালী করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।

তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক সুদৃঢ় করা, সবক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে কথা হয়েছে। তুর্কি বিনিয়োগ বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে করার বিষয়টিও আলোচনায় এসেছে। তুরস্কের সঙ্গে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বন্ধন আরও কিভাবে বাড়ানো যায়, সে বিষয়ে কথা হয়েছে। আপনারা জানেন, কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ— নাম দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।

তিনি আরও বলেন, তুরস্ক আগ্রহ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশে অধিক বিনিয়োগের জন্য। দুই দেশের চেম্বারগুলোকে আরও শক্তিশালী করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে আমির খসরু বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আলাপ হয়েছে। তুরস্কও সেই নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে। তারাও নির্বাচন পরবর্তী ‘আগামীর বাংলাদেশ’ দেখতে চায়, সেই সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক শক্তিশালী কীভাবে করা যায়, তা নিয়েও আলোচনা করেছি। সবার মতো তুর্কিরাও নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সরকার আসলে সেই সরকারের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, তুরস্ক সরকার বাংলাদেশের সাথে প্রতিরক্ষা (ডিফেন্স) খাতে বিদ্যমান সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। তারা একটি যৌথ প্রতিরক্ষা শিল্প (জয়েন্ট ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রি) স্থাপনের জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। আগামীকাল সরকারের সঙ্গে তাদের এ বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। এ বিষয়ে আমাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আমরা তাদেরকে জানিয়েছি।

আগামীকাল ঢাকায় বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে চতুর্থ পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক হবে। এতে তুরস্কের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বেরিস একিনচি।

এর আগে দুইদিনের সফরে সকালে তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায় আসেন। তিনি প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।

S

রাজনীতি

দ্রুতই দেশে ফিরে আসব : তারেক রহমান

Published

on

দীর্ঘ দুই দশক পর গণমাধ্যমে মুখোমুখি হয়ে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এ সাক্ষাৎকারে তিনি দেশে ফেরাসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন। সোমবার (৬ অক্টোবর) সকালে সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করা হয়েছে।

বিবিসি বাংলার সম্পাদক মীর সাব্বির ও বিবিসি বাংলার সিনিয়র সাংবাদিক কাদির কল্লোলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তারেক রহমান দ্রতই দেশে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন।

কেন আপনি এখনো দেশে ফেরেননি– সাক্ষাৎকারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কিছু সংগত কারণে হয়ত ফেরাটা হয়ে উঠেনি এখনো। তবে সময় তো চলে এসেছে মনে হয়। ইনশআল্লাহ দ্রুতই ফিরে আসব।’

সেটা কবে জানতে চাইলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘দ্রুতই মনে হয়। দ্রুতই ইনশাআল্লাহ।’

নির্বাচনের আগে আপনি দেশে আসবেন এমন সম্ভাবনা বলা যায়? জবাবে তারেক রহমান বলেন, ‘রাজনীতি যখন করি, আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে স্বাভাবিক, নির্বাচনের সাথে রাজনৈতিক দল রাজনৈতিক কর্মীর একটি ওতপ্রোত সম্পর্ক। কাজেই যেখানে একটি প্রত্যাশিত, জনগণের প্রত্যাশিত নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনের সময় কেমন করে দূরে থাকব? আমি তো আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে, ইচ্ছা থাকবে, আগ্রহ থাকবে সেই প্রত্যাশিত যে প্রত্যাশিত নির্বাচন জনগণ চাইছে। সেই প্রত্যাশিত নির্বাচন যখন অনুষ্ঠিত হবে জনগণের সাথে জনগণের মাঝেই থাকব ইনশাআল্লাহ।’

দেশে আসার বিষয়ে নিরাপত্তার শঙ্কার কথা বলছেন কেউ কেউ। আপনি কি কোনো ধরনের শঙ্কা বোধ করেছেন এর মধ্যে– এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন রকম শঙ্কার কথা তো আমরা অনেক সময় বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে তো শুনেছি। সরকারেরও বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকেও তো অনেক সময় অনেক শঙ্কার কথা বিভিন্ন মাধ্যমে, বিভিন্ন মিডিয়াতে প্রকাশিত হয়েছে।’

সাক্ষাৎকারের শুরুতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘সময় তো স্বাভাবিকভাবে ব্যস্তই যাচ্ছে। ফিজিক্যালি হয়ত আমি এই দেশে আছি, বাট মন-মানসিকতা সবকিছু মিলিয়ে তো আমি গত ১৭ বছর ধরে বাংলাদেশেই রয়ে গিয়েছি।’

গণমাধ্যমের সঙ্গে দীর্ঘদিন কথা না বলার বিষয়ে জানতে চাইলে তারেক রহমান বলেন, ‘ব্যাপারটা বোধ হয় এরকম না, ব্যাপারটা বোধ হয় একটু ভিন্ন। আসলে আমি কথা ঠিকই বলেছি। আমি দীর্ঘ ১৭ বছর এখানে আছি এই দেশে, প্রবাস জীবনে, তবে আমার উপরে যখন দলের দায়িত্ব এসে পড়েছে তারপর থেকে আমি গ্রামে-গঞ্জে আমার নেতাকর্মীসহ তাদের সাথে বিভিন্ন পর্যায়ে সাধারণ মানুষ যখন যেভাবে অংশগ্রহণ করেছে, আমি সকলের সাথে কথা বলেছি।’

‘আপনারা নিশ্চয়ই জানেন বিগত স্বৈরাচার সরকারের সময় কোর্ট থেকে রীতিমতো একটা আদেশ দিয়ে আমার কথা বলার অধিকারকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। আমি যদি গণমাধ্যমে কিছু বলতে চাইতাম, হয়ত গণমাধ্যমের ইচ্ছা ছিল ছাপানোর, গণমাধ্যম সেটি ছাপাতে পারত না।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি একবার প্রেস ক্লাবে কথা বলেছিলাম। পরের দিন দেখলাম যে তখনকার প্রেস ক্লাবের যারা সদস্য ছিলেন বা কমিটি ছিল, তারা একটি মিটিং ডেকে একটি সভা করে সিদ্ধান্ত নেয় যে, তারা তখন আমাকে আইনের দৃষ্টিতে ফেরারি বলা হয়েছিল যে, সেরকম কোনো ব্যক্তিকে তারা প্রেস ক্লাবে কথা বলতে দেবে না। এভাবে তারা চেষ্টা করেছিল আমার কথা বন্ধ করে রাখতে।’

তিনি বলেন, ‘আমি কথা বলেছি, সামাজিক মাধ্যমসহ বিভিন্ন পন্থায় আমি পৌঁছানোর চেষ্টা করেছি, আমি ইনশাআল্লাহ পৌঁছেছি মানুষের কাছে। কাজেই গণমাধ্যমে যে কথা বলিনি তা না। আমি কথা বলেছি হয়ত আপনারা তখন কথা নিতে পারেননি অথবা শুনতে পারেননি। ইচ্ছা থাকলেও ছাপাতে পারেননি, হয়ত প্রচার করতে পারেননি। কিন্তু আমি বলেছি, আমি থেমে থাকিনি।’

S

Continue Reading

রাজনীতি

জামায়াত আমিরের সঙ্গে সুইস রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ

Published

on

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেতো রেংগলি।

রোববার (৫ অক্টোবর) সকাল ৯টায় রাজধানীর বসুন্ধরায় জামায়াতের আমিরের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

রাষ্ট্রদূত বৈঠকের শুরুতেই জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমানের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন এবং তার পরিপূর্ণ সুস্থতা কামনা করেন।

বৈঠকে তারা বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি, বাংলাদেশ-সুইজারল্যান্ডের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, বিশেষ করে ব্যবসা-বাণিজ্য ও কূটনৈতিক বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন। ভবিষ্যতে উভয় দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা আরও জোরদার হবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।

আলোচনাকালে মান্যবর রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন– সুইস দূতাবাসের কাউন্সিলর, হেড অব পলিটিক্যাল, ইকোনমিক ও কমিউনিকেশন অ্যাফেয়ার্স মি. আলবের্তো জিওভানেত্তি এবং সিনিয়র পলিটিক্যাল, ইকোনমিক এবং প্রেস অফিসার খালেদ চৌধুরী।

জামায়াত আমিরের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন– সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন এবং জামায়াত আমিরের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মাহমুদুল হাসান।

S

Continue Reading

রাজনীতি

সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরলেন নুরুল হক নুর

Published

on

সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। আজ (শনিবার) সন্ধ্যায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে তাকে বহনকারী বিমানটি।

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান জানান, নুরুল হক নুর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পিটুনিতে আহত হওয়ার পর দেশে চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যান। চিকিৎসা শেষে আজ দেশে ফেরেন তিনি। বিমানবন্দরে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতারা তাকে স্বাগত জানান।

গত ২৯ আগস্ট রাতে রাজধানীর বিজয়নগরে জাতীয় পার্টি (জাপা) ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লাঠিপেটায় নুরুল হক নুর গুরুতর আহত হন। এই ঘটনায় তার মাথায় আঘাত লাগার পাশাপাশি নাকের হাড় ভেঙে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) স্থানান্তর করা হয়। ঢামেকে তিনি প্রায় ১৮ দিন চিকিৎসা নেন।

দেশে চিকিৎসা নেওয়ার পরও কিছু শারীরিক জটিলতা থাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে তিনি ২২ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন। সিঙ্গাপুরে তিনি মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করেন এবং সেখানে মোট ১২ দিন অবস্থান করেন।

S

Continue Reading