এক ব্যক্তিকে নিজের হাতে নরমাংস ভক্ষণ করানোর মতো চাঞ্চল্যকর সত্যি স্বীকার করে নিয়েছেন বলিউড পরিচালক মহেশ ভাট। জানান, তান্ত্রিকের নির্দেশে তিনি ও তার বন্ধু অরুণ দেশাইয়ের ক্যারিয়ারে উন্নতির লক্ষ্যে এই কাজ করেছিলেন মহেশ; আর এ নিয়ে ব্যাপক ট্রোল ও সমালোচনার শিকার এই পরিচালক।
সম্প্রতি তার বড় মেয়ে পূজা ভাটের পডকাস্টে উঠে এসেছে এ ঘটনা। পুরোনো দিনের একটি ঘটনা বর্ণনা দিয়ে মহেশ জানান, তার বয়স তখন বিশ। আর্থিকভাবে স্বচ্ছল হতে ও ক্যারিয়ার উন্নতির আশায় একজন তান্ত্রিকের পরামর্শ মেনে এমন কাজ করেন। তবে সেই তান্ত্রিক অনুভব করেছিলেন মহেশ ভাট তন্ত্র-মন্ত্রে বিশ্বাস করেন না।
মহেশ বলেন, ‘পরদিন তিনি একটি পুরিয়া বের করে আমাদের হাতে দিয়ে বলেছিলেন এতে ঘাট (শশ্মান) থেকে আনা (মরা) মানুষের মাংস রয়েছে। এটা নিয়ে যাও এবং তোমাদের বিনিয়োগকারীকে খাইয়ে দাও, তিনি অবশ্যই টাকা দেবেন’।
মহেশ ভাটের সেইসময় মনে হয়েছিল তারা গুপ্তধনের চাবি খুঁজে পেয়েছেন। দুজন যখন গয়ায় পৌঁছেছিলেন, তখন তারা দেখতে পান যে ওই বিনিয়োগকারী গয়ার একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসকারী একজন বাড়িওয়ালা। তিনি মশারি টাঙিয়ে বসে থাকতেন এবং বন্দুকধারী একজন নিরাপত্তারক্ষী থাকত সঙ্গে। কীভাবে কাউকে নরমাংস খাওয়ানো যায়? অবশেষে ওই পুরিয়া থেকে বের করা নরমাংস পানের মধ্যে মিশিয়ে বিনিয়োগকারীকে খাইয়ে দেন পরিচালক।
মহেশ ভাট বলেন, ‘আস্তে আস্তে পান মুখের কাছে নিয়ে চিবিয়ে খেতে শুরু করেন তিনি। আমরা ভেবেছিলাম তীরটি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে। মহেশ ভাট ভাবতে শুরু করেছিলেন যে এখন তার অর্থের সমস্যার সমাধান হবে। মাসখানেক পর অবশ্যই হতাশা হাতে আসে, টাকা দেয়নি ওই ব্যক্তি।’
রেডিটে মহেশ ভাটের বক্তব্য নিয়ে সমালোচনার ঝড়। মহেশ ভাটের এই বক্তব্য শুনে তাজ্জব সকলেই। একজন লিখেছেন, ‘ভাই, এ কেমন মানুষ। শীঘ্রই ওর থেরাপি বা মানসিক চিকিৎসা প্রয়োজন’। আরেকজন লেখেন, ‘আর নীতুজি এই পরিবারকে পছন্দ করেন। ক্যাটের পরিবারে এমন কোনো দানব ছিল না’। একজন লেখেন, ‘আলিয়া যে নাম অর্জন করেছে তা ডুবিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন বাবা।’
S