Connect with us

বিনোদন

বাংলা-ফার্সির মেলবন্ধন, হাবিবের ‘মহা জাদু’তে মাতল শ্রোতারা

Digital Darpan

Published

on

ফার্সির ছোঁয়ায় যেন এক অনন্য মাত্রা পেল কোক স্টুডিও বাংলার তৃতীয় সিজনের ষষ্ঠ গান ‘মহা জাদু’। জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী হাবিব ওয়াহিদ এবং তাজিকিস্তানের শিল্পী মেহেরনিগর রুস্তমের কণ্ঠে এই গানে এক মেলবন্ধন ঘটেছে বাংলা ও ফার্সি ভাষার। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কোক স্টুডিওর ইউটিউব চ্যানেলে গানটি মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই শ্রোতাদের মন জয় করে নিয়েছে গানটি।

বাউল শাহ খোয়াজ মিয়ার লেখা ও সুরে তৈরি এই লোকগানটির নতুন সংগীতায়োজন করেছেন হাবিব নিজেই। আর গানে মেহেরনিগরের এন্ট্রি যেন ছিল শ্রোতাদের জন্য বাড়তি আকর্ষণ।

কোক স্টুডিও বাংলা গানটি প্রকাশের সময় এর পেছনের ভাবনা তুলে ধরে। তারা জানায়, ‘মহা জাদু’ বাংলা লোকগান এবং ফারসি কবিতার এক অসাধারণ মিশ্রণ, যেখানে ভালোবাসা একটি অদৃশ্য সুতার মতো হৃদয় ও আত্মাকে টেনে নিয়ে আসে। বাউল সাধক দুরবীন শাহ-এর শিষ্য খোয়াজ মিয়া এই গানটি লিখেছিলেন তার মুর্শিদের প্রতি গভীর ভক্তি থেকে। হাবিব ওয়াহিদের আধুনিক সংগীতায়োজন এবং মেহেরনিগরি রুস্তমের কণ্ঠ এই চিরায়ত গানটিকে এক নতুন গতি ও প্রাণ দিয়েছে।

এই সিজনে এর আগে ‘বাজি’ ও ‘লং ডিসট্যান্স লাভ’ সহ কয়েকটি গান প্রকাশিত হলেও ‘মহা জাদু’র ঘোষণার পর থেকেই শ্রোতারা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন। গানটি প্রকাশের পর থেকেই সামাজিক মাধ্যমে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন দর্শক-শ্রোতারা। তাদের মত, দেশি-বিদেশি শিল্পীর এই যৌথ কাজ বাংলা সংগীতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে বলে অনেকেই মনে করছেন।

গানটি নিয়ে একজন দর্শক লিখেছেন, ‘এই ধরনের মডার্ন গানগুলো আগে কোক স্টুডিও পাকিস্তান বা ইন্ডিয়ায় শুনতাম। এবার কোক স্টুডিও বাংলাও সেই ধারা নিয়ে এল।’

হাবিবের প্রশংসা করে একজন লিখেছেন, “‘দিন গেল’ থেকে কোক স্টুডিও বাংলা পর্যন্ত হাবিব কখনো তার ছন্দ হারাননি! আমাদের প্রজন্মের চিরকালের পছন্দের তালিকায় তিনি থাকবেন।” বিদেশি শিল্পী মেহেরনিগরের কণ্ঠের প্রশংসা করে আরেকজন শ্রোতা মন্তব্য করেছেন, ‘আহ! জাদুকর। এখন মনে হচ্ছে কোক স্টুডিও বাংলা পূর্ণতা পেল। এমন কোলাবোরেশন হাবিব ভাই ছাড়া অসম্ভব।’

S

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিনোদন

তারকারা হঠাৎ হাতে-গালে সংখ্যা লিখছেন কেন?

Published

on

নিয়মিত বিনোদন অঙ্গনের নানা তারকাদের যারা ফলো করেন, তাদের কাছে ব্যাপারটি চমকে যাওয়ার মতো হতে পারে! তারকাদের কারও গালে, আবার কারও হাতে- দেখা যাচ্ছে নানা সংখ্যা। বিষয়টি হঠাৎ করে চোখে পড়ায় অনেকের বোধগম্য নাও হতে পারে। কিন্তু এর রহস্য জানলে মন খারাপ হতে পারে অনেক ভক্তদেরই।

বিশেষ করে নারী শিল্পীদের মাঝেই- যেমন অভিনেত্রী, গায়িকা কিংবা মডেল, তাদের মাঝেই দেখা গেল এই প্রবণতা। অনেকে হয়তো বুঝতেও পারছেন, ব্যাপারটা কী! কারণ, সংখ্যাগুলো প্রকাশের সঙ্গে তারা স্লোগান লিখছেন ‘মাই নাম্বার, মাই রুলস’। মূলত, ডিজিটাল সহিংসতা ও সাইবার বুলিংয়ের বিরুদ্ধে তারকাদের এক নতুন প্রতিবাদী আন্দোলন এটি। এতে সামাজিক মাধ্যমে অংশ নিয়েছেন দেশের একঝাঁক নারী তারকারা। জানা গেছে, তারকারা তাদের ছবিতে যে সংখ্যাটি প্রকাশ করছেন, তা নির্দেশ করছে তারা প্রতিদিন গড়ে কতবার অনলাইন হয়রানি বা সাইবার বুলিংয়ের শিকার হন।

গত ২৫ নভেম্বর এই আন্দোলনের সূচনা করেন অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা। নিজের ছবির সঙ্গে হাতে ‘৯’ সংখ্যাটি লিখে তিনি জানান, তিনি প্রতিদিন অন্তত ৯টি হয়রানির মুখে পড়েন।

তিশা তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘সংখ্যা থেকে কণ্ঠস্বর, আসুন আমাদের গল্প সবার সামনে তুলে ধরি। তোমার নম্বরের গল্প বলো, আরও জোরে আওয়াজ তোলো। মানুষ হয়তো কেবল একটি সংখ্যা দেখতে পারছেন, কিন্তু আমি যা সহ্য করেছি এবং যা কাটিয়ে উঠেছি, তার সবই দেখতে পাচ্ছি।’

সবশেষে তিনি ‘মাই নাম্বার, মাই রুলস’ হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে সবাইকে ডিজিটাল সহিংসতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।

তিশার আহ্বানে সাড়া দিয়ে চলচ্চিত্র, নাটক, এবং সংগীত জগতের আরও অনেক তারকা এই প্রতিবাদী আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন। তারা তাদের দৈনিক হয়রানির সংখ্যা প্রকাশ করে এই বার্তা দিচ্ছেন যে, অনলাইনে নারীরা প্রতিনিয়ত কতটা সহিংসতা ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন।

যেমন, অভিনেত্রী প্রার্থনা ফারদিন দীঘির সংখ্যা ৩, অভিনেত্রী রুনা খানের সংখ্যা হলো ২৪, অভিনেত্রী মৌসুমী হামিদের সংখ্যা ৭২, অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনার সংখ্যা ৯৯ প্লাস, আর অভিনেত্রী শবনম ফারিয়ার সংখ্যাটি সবচেয়ে বেশি, ১০০০। যার অর্থ, তিনি প্রতিদিন হাজারবার হয়রানির শিকার হন। এছাড়াও গায়িকা সাজিয়া সুলতানা পুতুলের সংখ্যা ৯, মডেল ও অভিনেত্রী মারিয়া নূর লিখেছেন ৭।

এদিকে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে অভিনেত্রী মৌসুমী হামিদ তার পোস্টে তুলে ধরেছেন হয়রানির শিকার হওয়ার যন্ত্রণা। তিনি লিখেছেন, “তারা বলেছিল, ‘এটা তো শুধু একটা কমেন্ট। উপেক্ষা করে যাও।’ আমি উপেক্ষা করেছি ১ বার, ২ বার, ৩ বার নয় বহুবার। কিন্তু এটা থামেনি। এই সংখ্যা আরও বেড়েছে। এটাই আমার গল্প। এবং এটার শুরুটা এবার নম্বর দিয়ে।”

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক মাধ্যমে নারী অভিনয়শিল্পীরা নানাভাবে হয়রানির শিকার হলেও এর কোনো প্রতিকার পাননি। দিনে দিনে এই সহিংসতা আরও বেড়ে যাওয়ায় তারকারা এখন নীরবতা ভেঙে নিজেদের প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে এই ‘সংখ্যা’কে বেছে নিয়েছেন। এই আন্দোলনের মূল লক্ষ্য হলো, ডিজিটাল মাধ্যমে নারী সহিংসতা ও সাইবার বুলিং বন্ধ করা এবং এর বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টি করা।

S

Continue Reading

বিনোদন

রেট্রো লুকে আলিয়া, নতুন অবতারে রণবীর

Published

on

বলিউডের অন্যতম নির্মাতা সঞ্জয় লীলা বনশালি মানেই পর্দায় রাজকীয় কারবার। তার আসন্ন সিনেমা ‘লভ অ্যান্ড ওয়ার’ নিয়ে দর্শকদের আগ্রহের পারদ তাই আগে থেকেই উঁচুতে। আলিয়া ভাট, রণবীর কাপুর ও ভিকি কৌশল এই ত্রয়ীকে এক ফ্রেমে দেখার অপেক্ষায় দিন গুনছেন সিনেমাপ্রেমীরা।

সেই অপেক্ষার মাঝে শুটিংয়ের কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে আলিয়ার রেট্রো লুক আর রণবীরের নতুন অবতার নিয়ে নেটিজেনদের মাঝে চলছে আলোচনা।

সম্প্রতি আইফার ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেল থেকে শেয়ার করা বেশ কিছু ছবিতে দেখা যায়, শুটিংয়ের ফাঁকে দৃশ্যের মহড়া দিচ্ছেন রণবীর ও আলিয়া। পাশেই দাঁড়িয়ে কড়া নির্দেশনায় ব্যস্ত পরিচালক বনশালি।

ছবিতে আলিয়ার সাজপোশাকে ফুটে উঠেছে আশির দশকের ধ্রুপদী নায়িকাদের ছায়া। তার এই লুক দেখে মুগ্ধ নেটিজেনরা। অনেকেই আলিয়ার মাঝে খুঁজে পাচ্ছেন কিংবদন্তি অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুরের প্রতিচ্ছবি।

এক অনুরাগী মন্তব্য করেছেন, ‘দুজনকে দেখে যেন রাজ কাপুর আর শর্মিলা ঠাকুর মনে হচ্ছে।’ অন্য একজন লিখেছেন, ‘বনশালির ম্যাজিক দেখার জন্য আর তর সইছে না।’

রণবীর কাপুর এই ছবিকে নিজের ‘ড্রিম প্রজেক্ট’ হিসেবেই দেখছেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, বনশালির সেটে কাজ করা শারীরিকভাবে ক্লান্তিকর হলেও, শিল্পী হিসেবে তা পরম তৃপ্তির।

S

Continue Reading

বিনোদন

আদালতের দ্বারস্থ হলেন শিল্পা শেঠি

Published

on

অভিনেত্রী শিল্পা শেঠি বর্তমানে নানা সমস্যায় জর্জরিত। এর মধ্যেই এবার নিজের ‘প্রোটেকশন অফ পার্সোনালিটি রাইটস’ চেয়ে বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন তিনি। বিষয়টি তিনি তুলে ধরেছেন ‘বিগ বস’ খ্যাত আইনজীবী সানা রইস খানের কাছে।

বিগত দিনে বলিউডের অনেক তারকাদের ব্যক্তিগত ছবি ও তথ্য ভুলভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে। সেই ধারাবাহিকতায় শিল্পাও আদালতের শরণাপন্ন হলেন। শিল্পা শেঠির মূল অভিযোগ হলো, বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইট তার নাম ও ছবি অনুমতি ছাড়াই ভুলভাবে ব্যবহার করছে।

কিছু অসাধু লোক প্রচারের স্বার্থে ভুয়ো ছবি ব্যবহার করছে। শুধু তাই নয়, অভিনেত্রীর ছবি ও ভিডিওগুলো বিকৃত করে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই কার্যকলাপ কেবল শিল্পার আর্থিক ক্ষতিই করছে না, বরং তার ভাবমূর্তির উপরও মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।

অভিনেত্রীর আইনজীবী সানা রইস খান বলেন, ‘শিল্পা শেঠির কষ্টার্জিত খ্যাতি কেউ তার অনুমতি ছাড়া নিজের স্বার্থে কাজে লাগাতে পারে না। বছরের পর বছর ধরে অর্জন করা এই খ্যাতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে এসব ছবির ব্যবহার। তার ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। ব্যক্তিগত লাভের জন্য কোনোভাবেই অভিনেত্রীর ছবি এভাবে ব্যবহার করা যায় না।’

প্রসঙ্গত, শিল্পা শেঠির আগে বলিউডের আরও অনেক জনপ্রিয় তারকা এই একই ইস্যুতে বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। অমিতাভ বচ্চন, অভিষেক বচ্চন, ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন এবং হৃতিক রোশানের মতো প্রবীণ অভিনেতারাও নিজেদের ‘প্রোটেকশন অফ পার্সোনালিটি রাইটস’ রক্ষায় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।

S

Continue Reading