জাতীয়
কোনো অবস্থাতেই ফসলি জমি নষ্ট নয়, সংরক্ষণে কঠোর অধ্যাদেশ হচ্ছে
নিউজ ডেক্স
Published
2 weeks agoon
কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, কৃষি জমি সংরক্ষণে কঠোর বিধান রেখে ভূমি ব্যবহার ও কৃষি ভূমি সুরক্ষা অধ্যাদেশ প্রণয়ণে কাজ চলছে। কোনো অবস্থাতেই ফসলি জমি নষ্ট করা যাবে না। বাড়তে থাকা জনগণের খাদ্য ও পুষ্টি নিশ্চিতে কৃষি জমি রক্ষায় আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছি।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ মন্ত্রণালয়ের গত এক বছরের সাফল্য, অর্জন ও সার্বিক অগ্রগতি বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।
উপদেষ্টা বলেন, গত এক বছরে ৮৮ লাখ ৫৫ হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে সার, বীজ ও চারা এবং অন্যান্য সহায়তা বাবদ ৮৯৩ কোটি ২০ লাখ কোটি টাকা প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, সারের বকেয়া ২০ হাজার ৬৯১ কোটি টাকাসহ মোট ২৭ হাজার ৬৮৪ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। রাশিয়া থেকে বিনামূল্যে ৩০ হাজার মে. টন সার প্রাপ্তির কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, সার আমদানির সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ায় সরকারের ২৩৩ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। সার ডিলার নিয়োগ ও সার বিতরণ সংক্রান্ত সমন্বিত নীতিমালা-২০০৯ হালনাগাদ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। পাটকলের অব্যবহৃত গুদামকে সার মজুতের জন্য ব্যবহার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জৈব সারের ব্যবহার বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, বালাইনাশক বিধিমালাও সংশোধন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, গত এক বছরে ২ হাজার ৬৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ৯টি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে এবং ৩টি পরিমার্জন ও ২টি প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, শাক-সবজি সংরক্ষণে ১০০ মিনি কোল্ড স্টোরেজ বসানো হচ্ছে। পেঁয়াজ ও আলু সংরক্ষণের জন্য এয়ারফ্লো মেশিন ও বিশেষ ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে। যার সুফল আমরা ইতোমধ্যে পাচ্ছি। আলুর দাম হিমাগার গেটে সর্বনিম্ন ২২ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
S
You may like
জাতীয়
ইসির নীতিমালা স্বাধীন সাংবাদকিতার সঙ্গে সাংঘর্ষিক : কাদের গণি চৌধুরী
Published
21 minutes agoon
অক্টোবর ১১, ২০২৫ভোটের খবর সংগ্রহের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রণীত নীতিমালা স্বাধীন সাংবাদিকতার সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী। তিনি বলেছেন, এটা কোনো অবস্থাতেই মেনে নেওয়ার সুযোগ আছে বলে মনে করি না।
আজ (শনিবার) ‘নির্বাচন কমিশন প্রণীত সাংবাদিকদের জন্য নীতিমালা-২০২৫’ শীর্ষক পর্যালোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের গণি চৌধুরী বলেন, প্রিজাইডিং কর্মকর্তার অনুমতি নিয়ে সাংবাদিকদের ভোটকক্ষে প্রবেশের কথা বলা হয়েছে সাংবাদিক নীতিমালায়। যদি অবহিত করে প্রবেশ করতে হয় তাহলে আমাকে কেন নির্বাচন কার্ড দিচ্ছে ইসি? আবার প্রিজাইডিং কর্মকর্তা নিজেই যদি অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকে, তাহলে কি তিনি অনুমতি দেবেন? আবার শত শত মিডিয়াকে অনুমতির জন্য কথা বলতে গেলে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা তার কাজ কিভাবে করবেন? কাজেই এই নীতিমালা কোনো অবস্থাতেই যুক্তিযুক্ত নয়। আমি মনে করি স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এই আদেশটি একেবারে সাংঘর্ষিক। এটা কোনো অবস্থাতেই মেনে নেওয়ার সুযোগ আছে বলে আমি মনে করি না।
ভোটকক্ষে সাংবাদিকদের নির্দিষ্ট সময়ের উপস্থিতি সংশ্লিষ্ট নীতিমালার বিষয়ে তিনি বলেন, ভোটকক্ষে প্রবেশের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে একজন সাংবাদিক ১০ মিনিটের বেশি কক্ষে অবস্থান করতে পারবেন না। আমার প্রশ্ন হলো ১০ মিনিট কেন? ওখানে যদি কারচুপি হয়, সাংবাদিকরা গেলেন, ১০ মিনিট কারচুপিটা বন্ধ থাকলো। ১০ মিনিট কারচুপিটা হলো না। সাংবাদিকরা চলে আসার পর আবার যে কারচুপি হবে না এর গ্যারান্টিটা কী? তাহলে সঠিক তথ্যটা জাতি কিভাবে জানবে, নির্বাচন কমিশন কিভাবে জানবে?
কাদের গণি চৌধুরী বলেন, যে নীতিমালাটি তৈরি করা হয়েছে এতে মূর্তির মতো সাংবাদিকদের দাঁড়িয়ে থাকা ছাড়া আর কোনো কাজ আছে বলে মনে হয় না। ভোটকক্ষের বাইরের দিকে কিছু দেখবেন, আর ভেতরে কী হচ্ছে, এটার জন্য মূর্তির মতো শুধু আপনি দাঁড়িয়ে থাকবেন!
তিনি বলেন, আমরা মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে থাকার জন্য সাংবাদিকতা করতে আসিনি। আশা করছি নির্বাচন কমিশন একটা সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে সাংবাদিকদের নিরপেক্ষভাবে কাজ করার, সত্য তুলে ধরার জন্য সর্বদা সহযোগিতা করবেন।
এ সময় তিনি ইসির প্রতি কিছু প্রস্তাব তুলে ধরে বলেন, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে প্রদত্ত বৈধ কার্ডধারী বা পাসধারী সাংবাদিক, তারা সরাসরি ভোটকক্ষে কারোরই কোনো প্রকার অনুমতি না নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন, কারো অনুমতি নিতে হবে না এই বিধান করতে হবে। এক্ষেত্রে গোপন কক্ষের ভেতরের ছবি ধারণ করতে পারবেন না। তবে গোপন কক্ষে কোনো অনিয়মের ঘটনা ঘটলে সে ছবি এবং ভিডিও ধারণ করতে পারবেন। এ ছাড়া বিশিষ্ট ব্যক্তির ভোটদানের ফটো তোলা, ভিডিও ধারণ করার জন্য একসঙ্গে একাধিক সাংবাদিক প্রবেশের বিধান থাকতে হবে। তবে ভোট গণনার ফটো ও ভিডিও নিতে পারলেও সরাসরি সম্প্রচার করতে পারবেন না। কেবল অনিয়ম হলে সম্প্রচার করতে পারবেন এমন বিধান করতে হবে। একই সঙ্গে তিনি প্রকৃত সাংবাদিকদেরই কেবল সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে সাংবাদিক কার্ড দিতে হবে।
বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশনের সহযোগিতায় দ্য ডেইলি স্টার ভবনের সভাকক্ষে সভাটি আয়োজন করে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি) ও রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি)। বিজেসির চেয়ারম্যান রেজোয়ানুল হক রাজার সভাপতিত্বে ও বিজেসির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সচিব ও আরটিভির হেড অব নিউজ ইলিয়াস হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে সাবেক নির্বাচন কমিশনার ও অন্তর্বর্তী সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, আরএফইডি সভাপতি কাজী এমাদ উদ্দীন (জেবেল), সাধারণ সম্পাদক গোলামী রাব্বানীসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
S
জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান দুই দিন পেছানো হয়েছে। ১৫ অক্টোবর বুধবারের পরিবর্তে ১৭ অক্টোবর শুক্রবার জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হবে। জনসাধারণের অংশগ্রহণের সুবিধার্থে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে এ অনুষ্ঠান আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শনিবার (১১ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বৈঠক শেষে কমিশনের সহ সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ জানান, জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। আগ্রহী জনগণের অংশগ্রহণের সুবিধার্থে অনুষ্ঠানটি ১৭ অক্টোবর, শুক্রবার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে। যদিও এর আগে কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল যে, ১৫ অক্টোবর বুধবার বিকেলে জুলাই সনদ স্বাক্ষরিত হবে।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোটের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। এ ছাড়া বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হবে।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
S
ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্ত হওয়ার পর বাংলাদেশি আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলম তুরস্কে পৌঁছেছেন। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।
ওই পোস্টে কিছু ছবি প্রকাশ করে লেখা হয়, শুক্রবার টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ইসরায়েল থেকে ফিরে আসার পর বাংলাদেশি আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলমকে স্বাগত জানিয়েছেন বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
এর আগে বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় জানানো হয়, বাংলাদেশি আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলম ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন। তিনি মুক্তি পাওয়ায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শহিদুল আলম দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের নৃশংসতা বন্ধ এবং গাজায় ইসরায়েলি নৌ অবরোধ ভাঙার প্রত্যয় নিয়ে ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন নৌযাত্রা শুরু করেছিল গাজা অভিমুখে। ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে আত্মপ্রকাশ করা আরেক উদ্যোগ থাউজেন্ড ম্যাডলিনস টু গাজার আটটি নৌযানও এ যাত্রায় অংশ নিয়েছিল। মোট ৯টি নৌযানের এ বহরে বিভিন্ন দেশের রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, চিকিৎসক ও অধিকার কর্মীরা যোগ দিয়েছিলেন। সেই দলে ছিলেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। গত বুধবার এই নৌবহরে আক্রমণ করে সব অধিকারকর্মী ও নাবিককে ধরে নিয়ে যায় ইসরায়েলি সেনারা।
আটকের পর থেকে শহিদুল আলমকে মুক্ত করতে তৎপর হয় বাংলাদেশ। শুক্রবার সকালে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে জানানো হয়, ইসরায়েলিদের হাতে শহিদুল আলমের অবৈধ আটকের ঘটনার পর বাংলাদেশ সরকার দ্রুত কূটনৈতিক উদ্যোগ নেয়। জর্ডান, মিশর ও তুরস্কে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাসকে সংশ্লিষ্ট দেশের পররাষ্ট্র দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে শহিদুল আলমের দ্রুত মুক্তির বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
S