খেলা
পিসিবির এশিয়া কাপ বয়কটের হুমকি নিয়ে চাঞ্চল্যকর মন্তব্য সাবেক সভাপতির
স্পোর্টস ডেস্ক
Published
3 weeks agoon
ক্রিকেটারদের হাত না মেলানোকে কেন্দ্র করে স্নায়ুযুদ্ধ চলছে ভারত ও পাকিস্তানের মাঝে। এশিয়া কাপের গ্রুপপর্বে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দল দুটির ম্যাচের আগে-পরে সৌজন্যতা না দেখানোর অভিযোগ উঠেছে ভারতীয় দলের বিরুদ্ধে। হাত না মেলাতে ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটেরও ভূমিকা ছিল দাবি করে কম তুলকালাম হয়নি। যার রেশ এখনও রয়েছে। এরই মাঝে সুপার ফোরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ফের মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান।
আজ (রোববার) দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় এই হাইভোল্টেজ লড়াই শুরু হবে। কিন্তু ম্যাচের আগে ঘুরে-ফিরে আসছে আগের দেখায় বিতর্ক তৈরি করা ‘নো-হ্যান্ডশেক’ ইস্যু। ম্যাচের আগে পাকিস্তান পূর্বনির্ধারিত সংবাদ সম্মেলন বাতিল করায় তাতে আরও হাওয়া লেগেছে। এসব বিষয়কে কেন্দ্র করে টুর্নামেন্ট বয়কটের হুমকি দিয়েছিলেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) প্রধান মহসিন নাকভি। সে কারণে সমালোচনা করেছেন সাবেক সভাপতি নাজাম শেঠি।
এশিয়া কাপ বয়কট করলে পাকিস্তান অপূরণীয় ক্ষতির মুখোমুখি হতো দাবি করে সাবেক এই পিসিবি প্রধান ‘সামা টিভি’কে বলেন, ‘তারা সিদ্ধান্ত প্রায় নিয়েই ফেলেছিল। তাদের মনোভাব ছিল এমন– “জনগণের চাপের মুখে চলো বয়কট করে ফেলি। এশিয়া কাপ জাহান্নামে যাক, আইসিসি জাহান্নামে যাক।” কিন্তু আমার কথা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আপনাকে সবসময় বৈধ সীমানার মধ্যে থেকে প্রতিক্রিয়া দেখাতে হবে।’ এমন যুক্তি থেকেই পিসিবি সভাপতি মহসিন নাকভিকে সমর্থন দেননি বলে জানান নাজাম শেঠি, ‘যখন এ নিয়ে এক বন্ধুকে কল দিই, সে আমাকে বলেছিল “সেখানে যেও না, সমর্থন দিও না তাকে।” আমিও মহসিন নাকভিকে সমর্থন দিইনি। আমি গিয়েছিলাম পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে বাঁচাতে।’
পিসিবির বর্তমান সভাপতি মহসিন নাকভির সঙ্গে সাবেক দুই প্রধান নাজাম শেঠি ও রমিজ রাজা
তিনি আরও বলেন, ‘যদি তার (নাকভির বয়কট) প্রচেষ্টা সফল হয়ে যেত, পাকিস্তান অপূরণীয় ক্ষতির মুখে পড়ত। আমরা এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলে (এসিসি) নিষিদ্ধ হতাম। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলও (আইসিসি) শাস্তি দিতো। বিদেশি ক্রিকেটাররা পিএসএল বয়কট করার সম্ভাবনা ছিল এবং আমরা এসিসি থেকে ১৫ মিলিয়ন ডলার সম্প্রচার সত্ত্ব হারানোর দ্বারপ্রান্তে চলে যাই। সবমিলিয়ে পিসিবির অস্তিত্বই হুমকির মুখে পড়তো।’
এর আগে টুর্নামেন্ট বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে পিসিবি সভাপতি নাকভি বলেছিলেন, ‘আমি (নাজাম) শেঠি এবং রমিজ রাজা সাহেবকে সমর্থনের অনুরোধ করেছি। যদি আমরা বয়কটের পথে হাঁটি, সেটি হবে অনেক বড় সিদ্ধান্ত। প্রধানমন্ত্রী, সরকারি কর্মকর্তাসহ অসংখ্য মানুষকে তাতে যুক্ত করতে হতো। আমরা তাদের পূর্ণ সমর্থন পেয়েছি। আমরা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি।’ ওই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাবেক দুই পিসিবি প্রধান নাজাম শেঠি ও রমিজ রাজাও।
পিসিবির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, পাকিস্তানের সঙ্গে আরব আমিরাত ম্যাচের দায়িত্ব থেকে পাইক্রফটকে যেন সরিয়ে দেওয়া হয়। নইলে তারা এশিয়া কাপ বয়কট করবে। পরে উভয়পক্ষ আলোচনায় বসে এবং ম্যাচ শুরু হয় এক ঘণ্টা দেরিতে। পরে পিসিবি দাবি করে– ‘সৃষ্ট ভুল বোঝাবুঝির কারণে ক্ষমা চেয়েছেন ম্যাচ রেফারি পাইক্রফট।’ যার প্রমাণ হিসেবে অধিনায়ক সালমান আলি আগা, পিসিবি সভাপতি ও কোচদের সঙ্গে রেফারির একটি কথোপকথনের ভিডিও প্রকাশ করা হয়। যদিও সেটির আওয়াজ বন্ধ ছিল! পরবর্তীতে তাদের ভিডিও প্রকাশ কোড অব কন্ডাক্ট লঙ্ঘন বলে ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি দেয় আইসিসি।
S
You may like
-
ভারতীয় স্কোয়াডে আবারও জায়গা হারিয়ে মুখ খুললেন শামি
-
আগামীকাল মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান, কতটা জমবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বির লড়াই?
-
ট্রফি নিয়ে বাদানুবাদে জড়ালেন পিসিবি-বিসিসিআই কর্মকর্তা
-
এশিয়া কাপে হারের পর ক্রিকেটারদের দুঃসংবাদ দিলো পিসিবি
-
ভারতকে এশিয়া কাপ ট্রফি দিতে রাজি এসিসি, শর্ত একটি
-
মূল ট্রফি নেয়নি ভারত, ফটোশপ ‘ট্রফি’ আর চায়ের কাপ নিয়ে উদযাপন
হামজার গোলে প্রথমার্ধে লিড। দ্বিতীয়ার্ধের ইনজুরি সময়ে ৩-৩ গোলে সমতা। এরপরও শেষ কয়েক সেকেন্ড আগে গোল হজম করে ম্যাচ হেরে মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ। এমন হারের পর হামজা চৌধুরী মাঠের মাঝে বিমর্ষভাবে বসে পড়েন। এত লড়াইয়ের পর এক পয়েন্ট না পাওয়ার আক্ষেপ তার চোখেমুখে।
জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক জাহিদ হাসান এমিলি কালকের হারের জন্য সরাসরি কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরাকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, ‘এক বাক্যে বলতে হলে কোচের ভুল কৌশল ও একাদশের জন্য বাংলাদেশ হেরেছে।’ তার এই মন্তব্যের বিশ্লেষণ করে বলেন, ‘আমার একটা মৌলিক প্রশ্ন জায়ান, জামাল, ফাহমিদুল ও সামিত কেন প্রথমার্ধে ছিল না। রক্ষণে সুশৃঙ্খলতা ছিল না এবং চারটি গোলের পেছনেই গোলরক্ষকের দায় রয়েছে। ফলে গোলরক্ষক কোচকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।’
দ্বিতীয়ার্ধে চতুর্থ রেফারি ৯ মিনিট ইনজুরি সময় দেন। অন্তিম মুহূর্তে বাংলাদেশ মোরসালিনের কর্নারে সামিতের হেডে ম্যাচে খেলায় ৩-৩ সমতা আনে। খেলার তখন এক মিনিটের কম সময় বাকি। হংকংয়ের বিপক্ষে ১-৩ গোলে পিছিয়ে থেকে ৩-৩ সমতা। সেই উচ্ছ্বাসে খেলোয়াড়দের সঙ্গে কোচও শামিল হতে কর্নার ফ্ল্যাগের কাছাকাছি যান। এটা এমিলির কাছে প্রশ্নবিদ্ধ,‘আমরা হংকংয়ের বিপক্ষে জিততে নেমেছিলাম। ঐ সময় কোচের সেই সেলিব্রেশনে না গিয়ে নিজে শান্ত থেকে উল্টো আরও এক গোল কিভাবে করা যায় সেটা পরিকল্পনা উচিত ছিল। সেখানে আমরা মনোযোগ হারিয়ে ও ভুল করে গোল খেয়ে ম্যাচ হারলাম।’
সাবেক অধিনায়ক জাহিদ হাসান এমিলি।
সাবেক জাতীয় ফুটবলার ও বিশ্লেষক জুলফিকার মাহমুদ মিন্টু কালকের হারকে বিশ্লেষণ করলেন এভাবে, ‘কোচ-খেলোয়াড় সবারই দায় রয়েছে। সাদ উদ্দিন ক্রমাগত ভুল করেছেন অথচ কোচ তাকে পুরো ম্যাচই খেলালেন। এক পর্যায়ে লেফট ব্যাক থেকে তাকে রাইট ব্যাক করলেন। দ্বিতীয়ার্ধে তিনি যে পরিবর্তনগুলো করেছেন সেগুলো শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যে করলে আরো বেশি কার্যকর হতে পারত। জায়ান অসাধারণ খেলেছেন। তার মতো খেলোয়াড় বাংলাদেশে অত্যন্ত প্রয়োজন। তবে হংকংয়ের চতুর্থ গোলের উৎস জায়ানের ভুল থেকেই। তিনি যদি বলটি প্রতিপক্ষের হাফে লং ক্লিয়ার করতেন তাহলে আর বাংলাদেশ অর্ধে থ্রো ইন হয় না। হংকং তাদের অর্ধ থেকে বল বাংলাদেশ অর্ধে এনে আক্রমণ করতে করতে খেলার শেষ বাশি বেজে যেত।’
আমার একটা মৌলিক প্রশ্ন জায়ান, জামাল, ফাহমিদুল ও সামিত কেন প্রথমার্ধে ছিল না। রক্ষণে সুশৃঙ্খলতা ছিল না এবং চারটি গোলের পেছনেই গোলরক্ষকের দায় রয়েছে। ফলে গোলরক্ষক ও কোচকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।
জাহিদ হাসান এমিলি
গতকাল আমেরিকান প্রবাসী জায়ান আহমেদের অভিষেক হয়েছে। মাত্র ২৫ মিনিটের মতো খেলার সুযোগ পেলেও জায়ান তার জাত চিনিয়েছেন। কালকের ম্যাচের প্রাপ্তি হিসেবে জায়ানকে দেখছেন,‘জাতীয় দলের জার্সিতে প্রথম ম্যাচ হলেও সে বাংলাদেশের ফুটবলের ভালো ভবিষ্যৎ। জায়ান নামার পর তার গতি ও স্কিলের কারণে হংকং কোচ খেলোয়াড় পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে।’
গতকাল বাংলাদেশ চার গোল হজম করেছে। চার গোলের পেছনেই গোলরক্ষক মিতুল মারমার ভুল রয়েছে। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও সাবেক গোলরক্ষক আমিনুল হক কালকের ম্যাচের হার নিয়ে বলেন,‘আমার মনে হয়েছে আমাদের ফুটবলাররা দর্শকদের প্রত্যাশার চাপ নিতে পারিনি। এতে তারা স্নায়ুচাপে ভোগে মাঝে মধ্যে ভুল করেছে। সেই ভুলের কারণেই আমরা গোলগুলো হজম করেছি। না হলে অবশ্যই ম্যাচের চিত্র অন্য রকম হতে পারত।’
জাতীয় দলের জার্সিতে প্রথম ম্যাচ হলেও সে বাংলাদেশের ফুটবলের ভালো ভবিষ্যৎ। জায়ান নামার পর তার গতি ও স্কিলের কারণে হংকং কোচ খেলোয়াড় পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে।
জায়ানকে নিয়ে জুলফিকার মিন্টু
কোচ ক্যাবরেরার দূরদৃষ্টি ও পরিকল্পনার অভাব রয়েছে। হংকংয়ের ম্যাচের ভুল-ত্রুটি নিয়ে এখন অনুশীলন হবে। ঢাকায় সেই নিবিড় অনুশীলন না করে উল্টো প্রতিপক্ষ দেশে গিয়ে কাটাছেড়া করবেন কোচ। আজ ২৩ জন ফুটবলার নিয়ে রওনা হয়েছেন তিনি। অথচ ফুটবল ফেডারেশন কোচের চাহিদা অনুযায়ী ৪৫ জনের ভিসা করিয়েছে। এতে ফেডারেশনের দুই লাখ টাকা একেবারে নিরর্থক ব্যয়। দেশের আরেক শীর্ষ কোচ ও বিশ্লেষক মারুফুল হক কোচ ক্যাবরেরাকে ইঙ্গিত করে গতকাল রাতে ও আজ বিকেলে সামাজিক মাধ্যমে দু’টি স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
S
লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব শেষ হয়েছে কদিন আগেই। ২০২৬ বিশ্বকাপ সামনে রেখে প্রস্তুতি ঝালিয়ে নিতে এবার প্রীতি ম্যাচের মিশনে দলগুলো। পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল এশিয়ান সফরের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার মুখোমুখি হয়। ম্যাচটি ঘিরে কোচ কার্লো আনচেলত্তির চাওয়া ছিল দাপুটে ফুটবল। সেলেসাওরা তাতে সাড়া দিলো দারুণভাবেই।
আজ (শুক্রবার) সিউলের ওয়ার্ল্ড কাপ স্টেডিয়ামে প্রীতি ম্যাচটি ৫-০ গোলে জিতেছে ব্রাজিল। দুটি করে গোল করেছেন এস্তেভোঁ ও রদ্রিগো। একবার জালের দেখা পেয়েছেন ভিনিসিউস জুনিয়র।
ম্যাচের ১৩ তম মিনিটেই এগিয়ে যায় ব্রাজিল। ব্রুনো গুইমারেসের রক্ষণছেড়া পাস ডি বক্সের ভেতর গিয়ে ধরেন এস্তেভাও। তখন তার সামনে কোরিয়া গোলরক্ষক বাদে আর কেউ ছিল না। আলতো ছোঁয়ায় বল জালে পাঠিয়ে দলকে এগিয়ে দেন।
বিরতির আগে ব্যবধান বাড়ান রদ্রিগো। অবশ্য এ যাত্রায় তার একার কৃতিত্বের চেয়ে দলগত নৈপুণ্যের প্রদর্শনীই বলা ভালো। ৪০তম মিনিটে ডানপ্রান্ত দিয়ে আক্রমণে উঠলেও মাঝমাঠ হয়ে বল যায় বাঁপ্রান্তে ভিনিসিউস জুনিয়রের কাছে।
ডি বক্সের বাইরে থেকে রদ্রিগোর দিকে পাস দেন তিনি। কিন্তু রিয়াল ফরোয়ার্ড পাস না ধরে সুযোগ করে দেন ক্যাসেমিরোকে, নিজে উঠে যান একটু ওপরে। ক্যাসেমিরো প্রথম স্পর্শেই তাকে বল বাড়িয়ে দেন। রদ্রিগো বল নিয়ে আর ভুল করলেন না। পাঠিয়ে দেন জাল বরাবর।
S
গেল সপ্তাহখানেক ধরে আলোচনায় ছিলেন সৌম্য সরকার। আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি দলে ডাক পেয়েও ভিসা জটিলতায় যেতে পারেননি আরব আমিরাতে। এরপর ওয়ানডে দলে থাকা নাঈম শেখেরও শঙ্কা জেগেছিল সিরিজ খেলা নিয়ে।
প্রথম ওয়ানডের আগে এই ওপেনারও যেতে পারেননি আরব আমিরাতে। তবে দ্বিতীয় ম্যাচের আগে দলের সঙ্গে যোগ দিতে যাচ্ছেন তিনি। আজ শুক্রবার রাতের ফ্লাইটে আমিরাত যাচ্ছেন নাঈম, আগামীকাল ভোরে যোগ দেবেন দলের সঙ্গে। দলের জন্য আপাতত স্বস্তির খবর। পাশাপাশি ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদিন ফাহিমের জন্যও স্বস্তির। এর আগে সৌম্যকে পাঠাতে ব্যর্থ হয়েছিলেন তিনি।
বাংলাদেশ-আফগানিস্তানের তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ হচ্ছে আবুধাবিতে। আগামীকাল দ্বিতীয় ম্যাচ এবং ১৪ অক্টোবর শেষ ম্যাচ মাঠে গড়াবে শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে। বিসিবি ঘোষিত ১৬ সদস্যের এই স্কোয়াডে জায়গা হয়নি টি-টোয়েন্টি দলে থাকা পারভেজ ইমনের, জানা গেছে কাঁধের ইনজুরিতে ভুগছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ওয়ানডে সিরিজ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৫ উইকেটে হেরে যায় টাইগাররা। আগে ব্যাট করতে নেমে টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় ৫৩ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর চতুর্থ উইকেটে ১০১ রানের জুটি গড়েন তাওহীদ হৃদয় ও মিরাজ।
হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নিয়ে হৃদয়-মিরাজ আউট হলে ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপ। ৪৬ রানে শেষ ৬ উইকেট পতনে ৪৮.৫ ওভারে ২২১ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। মিরাজ সর্বোচ্চ ৬০ ও হৃদয় ৫৬ রানে আউট হন। ২২২ রানের টার্গেট স্পর্শ করতে অসুবিধা হয়নি আফগানিস্তানের। ১৭ বল বাকী থাকতে জয়ের স্বাদ নেয় আফগানরা।
বাংলাদেশ স্কোয়াড
মেহেদী হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান তামিম, মোহাম্মদ নাঈম শেখ, মোহাম্মদ সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহীদ হৃদয়, জাকের আলী অনিক, শামিম হোসেন পাটোয়ারী, কাজী নুরুল হাসান সোহান, রিশাদ হোসেন, তানভির ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান সাকিব, হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানা।
S