আন্তর্জাতিক
ফিলিস্তিনিকে স্বীকৃতি দিচ্ছে পশ্চিমারা, বাস্তবে এটির কোনো প্রভাব থাকবে?
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
Published
3 weeks agoon
অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, যুক্তরাজ্য, কানাডাসহ প্রায় ১০টি দেশ আগামী সোমবার ফিলিস্তিনিকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের বৈঠকে মিলিত হওয়ার আগে তারা এ উদ্যোগ নিচ্ছে।
স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের কী অবস্থা এখন
ফিলিস্তিন লিবারেশন অর্গানাইজেশন ১৯৮৮ সালে ফিলিস্তিনিকে স্বাধীন দেশ হিসেবে ঘোষণা করে। এরমধ্যে বিশ্বের দক্ষিণাঞ্চলের দেশগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে এ স্বাধীনতার স্বীকৃতি দেয়। বর্তমানে জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য দেশের মধ্যে ১৪৭টি দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। গত জানুয়ারিতে এ তালিকায় সর্বশেষ যোগ হয়েছে মেক্সিকোর নাম।
ইসরায়েলের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তারা ফিলিস্তিনিকে তখনই স্বাধীন দেশের স্বীকৃতি দেবে যখন ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলের সঙ্গে দ্বিরাষ্ট্র সমাধানে সম্মত হবে। যুক্তরাষ্ট্রের মতো ইউরোপের দেশগুলোর অবস্থানও এটি ছিল। তবে তারা তাদের অবস্থান পরিবর্তন করছে।
তবে দ্বিরাষ্ট্র নিয়ে ২০১৪ সালের পর ফিলিস্তিন-ইসরায়েলের মধ্যে কোনো আলোচনা হয়নি। আর সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, পৃথিবীতে ফিলিস্তিন নামে কোনো রাষ্ট্রই গঠন হতে দেবেন না তারা।
বর্তমানে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনের একটি প্রতিনিধি দল রয়েছে। যারা সেখানে শুধুমাত্র পর্যবেক্ষক হিসেবে থাকেন। তাদের জাতিসংঘের কোনো কিছুতে ভোট দেওয়ার অধিকার নেই।
ফিলিস্তিনকে বিশ্বের যত দেশই স্বীকৃতি দিক না কেন। তাদের জাতিসংঘের সদস্য হতে নিরাপত্তা পরিষদের ভোটাভুটির মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। এই পরিষদে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যারা ফিলিস্তিনের সদস্য পদের প্রক্রিয়া এক ভেটোর মাধ্যমেই শেষ করে দিতে পারবে।
বিশ্বজুড়ে এখন ফিলিস্তিনের যত কূটনৈতিক মিশন রয়েছে সেগুলো পরিচালনা করে ফিলিস্তিন অথরিটি (পিএ)। আন্তর্জাতিকভাবে পিএ-কে ফিলিস্তিনিদের প্রতিনিধি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
পিএ-এর নেতৃত্বে রয়েছেন প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। তার ক্ষমতা রয়েছে ইসরায়েলের অধিকৃত পশ্চিমতীরে। তাও সেখানে তার ক্ষমতা সীমিত। এছাড়া ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তি করেই সেখানে নিজের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হয়েছে তাকে। পিএ ফিলিস্তিনিদের পাসপোর্ট দেওয়া এবং ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতটি দেখে।
অপরদিকে গাজা উপত্যকা ২০০৭ সাল থেকে হামাসের নিয়ন্ত্রণে চলছিল। এরআগের বছর এক ছোট গৃহযুদ্ধের পর সেখান থেকে আব্বাসের ফাতাহ মুভমেন্টকে বিতাড়িত করে হামাস। তা সত্ত্বেও গাজার অনেক সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীর বেতন দিয়ে থাকে পিএ।
দখলদার ইসরায়েল দাবি করে থাকে জেরুজালেম তাদের রাজধানী। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র বাদে অন্য কোনো শক্তিধর দেশের দূতাবাস জেরুজালেমে নেই।
অপরদিকে পশ্চিমতীরের রামাল্লাহ অথবা পূর্ব জেরুজালেমে ৪০টি দেশের ফিলিস্তিনি কনস্যুলার অফিস রয়েছে। ফিলিস্তিনিরা জেরুজালেমকে তাদের ভবিষ্যত স্বাধীন সার্বভৌম দেশের রাজধানী হিসেবে দেখে। যারমধ্যে রয়েছে চীন, রাশিয়া, জাপান, জার্মানি, কানাডা, ডেনমার্ক, মিসর, জর্ডান, তিউনিশিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকা।
কেন পশ্চিমারা স্বীকৃতি দিচ্ছে
গাজায় ইসরায়েলের বর্বরতা বন্ধের চাপ হিসেবে পশ্চিমা দেশগুলো প্রায় একসঙ্গে ফিলিস্তিনিকে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে। সবার আগে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এ ঘোষণা দেন। এরপর অন্যান্য দেশগুলো তার দেখানো পথে আসে।
পশ্চিমা দেশগুলো ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিলে বাস্তবে এর কোনো প্রভাব পড়বে?
অনেকেই ফিলিস্তিনিকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টিকে শুধুমাত্র একটি প্রতীকি বিষয় হিসেবে দেখেন। তারা যুক্তি দেন চীন, ভারত, রাশিয়া ও আরবের দেশগুলো অনেক আগেই ফিলিস্তিনিকে স্বীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু ফিলিস্তিন বিষয়ক দ্বন্দ্বে দেশগুলো বড় কোনো প্রভাব রাখতে পারে না।
ফিলিস্তিনের যেহেতু জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ নেই তাই অন্য দেশগুলোর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক চালানোর ক্ষেত্রেও তাদের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডেও বাইরের দেশগুলো স্বাধীনভাবে তাদের কূটনীতিকদের পাঠাতে পারে না।
ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের জন্য পণ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা বা সাংস্কৃতিক বিনিময়ের সুযোগ সীমিত করে রেখেছে। ফিলিস্তিনিদের কোনো বিমানবন্দর নেই। স্থলবেষ্টিত পশ্চিম তীরে কেবল ইসরায়েল অথবা ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে থাকা জর্ডান সীমান্ত দিয়ে পৌঁছানো যায়। একইভাবে, গাজা উপত্যকায় প্রবেশের সমস্ত পথ ইসরায়েল নিয়ন্ত্রণ করে।
তবে, যে দেশগুলো ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ নিজেরাই বলছে, এটি শুধু একটি প্রতীকী পদক্ষেপের চেয়েও বেশি কিছু।
যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত হুসাম জমলত বলেন, এই স্বীকৃতি সমতার ভিত্তিতে বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে অংশীদারত্বের জন্ম দিতে পারে।
জেরুজালেমে সাবেক ব্রিটিশ কনসাল-জেনারেল ভিনসেন্ট ফিন বলেন, এটি দেশগুলোকে ইসরায়েলের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করতে বাধ্য করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাজ্যের ক্ষেত্রে এর ফলে ইসরায়েলের দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের বসতিগুলো থেকে আসা পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হতে পারে, যদিও ইসরায়েলি অর্থনীতির ওপর এর ব্যবহারিক প্রভাব খুবই নগণ্য হবে।
সূত্র: রয়টার্স
S
You may like
-
তুরস্কে পৌঁছালেন শহিদুল আলম
-
শহিদুল আলমসহ নৌবহর থেকে আটক ব্যক্তিদের কারাগারে নিয়েছে ইসরায়েল
-
ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর অস্ত্র কী করা হবে, যে তথ্য শোনা যাচ্ছে
-
যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার পরও গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল
-
ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী চুক্তি স্বাক্ষরের পর গাজায় উচ্ছ্বাস
-
যুদ্ধবিরতির জন্য প্রধান যেসব শর্ত দিলো ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী
প্রোস্টেট ক্যানসারের চিকিৎসার অংশ হিসেবে বর্তমানে রেডিয়েশন থেরাপি নিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। শনিবার মার্কিন সাবেক এই প্রেসিডেন্টের একজন মুখপাত্র এই তথ্য জানিয়েছেন বলে খবর দিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
তিনি বলেছেন, ‘‘প্রোস্টেট ক্যানসারের চিকিৎসা পরিকল্পনার অংশ হিসেবে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বর্তমানে রেডিয়েশন থেরাপি ও হরমোন চিকিৎসা নিচ্ছেন।’’
আগামী নভেম্বরে ৮৩ বছর বয়সে পা দিতে যাচ্ছেন জো বাইডেন। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ত্বকের ক্যানসার কোষ অপসারণের জন্য ‘মোহস সার্জারি’ নামের এক অস্ত্রোপচার করান তিনি। ত্বক থেকে ক্যানসারযুক্ত কোষকে অপসারণের প্রক্রিয়াটি মোহস সার্জারি নামে পরিচিত। ত্বকের সবচেয়ে প্রচলিত ধরনের ক্যানসারের চিকিৎসায় এই পদ্ধতির ব্যবহার করেন চিকিৎসকরা।
গত মে মাসে ডেমোক্র্যাট দলীয় সাবেক এই প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, তার মেটাস্ট্যাটিক প্রোস্টেট ক্যানসার ধরা পড়েছে। বাইডেনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক দল বলেছে, সাবেক প্রেসিডেন্টের ক্যানসার আক্রমণাত্মক স্তরে থাকলে হরমোন-সংবেদনশীল। অর্থাৎ এই ক্যানসারের চিকিৎসায় সাড়া দেওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
গত মাসে ত্বকের ক্যানসারের চিকিৎসার সময় বাইডেনের কপালে বড় ধরনের ব্যান্ডেজ দেখা গিয়েছিল। অস্ত্রোপচারের পর চিকিৎসকরা বলেছিলেন, ক্যানসারযুক্ত সব টিস্যু সফলভাবে অপসারণ করা হয়েছে এবং অতিরিক্ত কোনও চিকিৎসার প্রয়োজন নেই।
বাইডেনের শরীরে শনাক্ত হওয়া প্রোস্টেট ক্যানসার ইতোমধ্যে তার হাড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। সেই সময় তার কার্যালয় বলেছিল, জো বাইডেন কয়েকটি চিকিৎসা পদ্ধতি বিবেচনা করছেন; যাতে রোগটি কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
নিজের রোগ নির্ণয়ের খবর প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বাইডেন লিখেছিলেন, ‘‘ক্যানসার আমাদের সবার জীবনেই কোনো না কোনোভাবে ছুঁয়ে যায়। আমি আর জিল শিখেছি, ভাঙনের মধ্যেই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি লুকিয়ে আছে। আমাদের ভালোবাসা ও সমর্থনে জড়িয়ে রাখার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।
সেই সময় দেশটির সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজকে কয়েকজন ক্যানসার বিশেষজ্ঞ বলেছিলেন, বাইডেনের ক্যানসার যেহেতু ছড়িয়ে পড়েছে। এর মানে হলো এটি কয়েক বছর আগেই তার শরীরে সংক্রমণ শুরু করেছিল; কিন্তু ধরা পড়েনি।
তাদের মতে, বাইডেনের বয়সের পুরুষদের সাধারণত প্রোস্টেট ক্যানসারের নিয়মিত পরীক্ষা করা হয় না। আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটি ৫০ থেকে ৬০ বছর বয়সী পুরুষদের প্রতি দুই বছর অন্তর এই পরীক্ষা করার পরামর্শ দেয়।
বাইডেন প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন সর্বশেষ স্বাস্থ্য পরীক্ষায় প্রোস্টেট স্ক্রিনিং করিয়েছিলেন কি না, তা স্পষ্ট নয়। তবে বর্তমানে তিনি ভালো আছেন বলে তার চিকিৎসক দল জানিয়েছে।
সূত্র: রয়টার্স, এনবিসি নিউজ।
S
আন্তর্জাতিক
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের অভিযোগ আফগানিস্তানের
Published
1 day agoon
অক্টোবর ১০, ২০২৫পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে দেশটির অন্তর্বর্তী সরকার। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) আফগান প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, পাকিস্তান তাদের রাজধানী কাবুলের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে। এছাড়া মার্ঘা অঞ্চলের পাকতিকাতে একটি মার্কেটে বোমাবর্ষণ করেছে।
এটিকে ‘আফগানিস্তান-পাকিস্তানের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন, সহিংস ও নিন্দনীয়’ কাজ হিসেবে অভিহিত করেছে আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তারা বলেছে, “আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্বের ওপর এই আগ্রাসনের আমরা তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। নিজ ভূখণ্ডের সুরক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অবিচ্ছেদ্য ও বৈধ অধিকার। মনে রাখা উচিত, এই ধরনের ঔদ্ধত্যপূর্ণ কর্মকাণ্ডের ফলে সৃষ্ট যেকোনো পরিস্থিতির কঠোর পরিণতির জন্য পাকিস্তান সেনাবাহিনী এককভাবে দায়ী থাকবে।”
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। ওই সময় গোলাগুলির শব্দও ভেসে আসে।
পরবর্তীতে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের বিভিন্ন মাধ্যম থেকে খবর আসতে থাকে সন্ত্রাসী সংগঠন পাকিস্তান তেহরিক-ই-তালেবানের (টিটিপি) প্রধান নেতা নূর ওয়ালী মেসুদকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়েছে।
তবে তালেবান সরকারের প্রধান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ এ তথ্য অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, টিটিপির প্রধান কাবুলে উপস্থিত ছিলেন না।
এদিকে আজ শুক্রবার পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মুখপাত্র লেফটেনেন্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী পেশোয়ারে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন। তবে আফগানিস্তানে হামলার বিষয়ে তিনি সরাসরি কিছু বলেননি। আবার হামলার অভিযোগ প্রত্যাখ্যানও করেননি। তিনি শুধু বলেছেন, “আমাদের নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য যা করার প্রয়োজন আমরা তা করছি এবং সেটি অব্যাহত থাকবে।”
তিনি অভিযোগ করেন, “পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদের জন্য আফগানিস্তানকে ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে ভারত।” তার এ দাবির পর এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি নয়াদিল্লি।
পাকিস্তানের এ সেনা কর্মকর্তা বলেছেন, এ বছর খাইবার পাখতুনখাওয়ায় তারা ৯১৭ সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছেন। এ সময় নিহত হয়েছে তাদের আরও ৩১১ সেনা। ওই ৯১৭ সন্ত্রাসীর মধ্যে ১৩৫ জন আফগান নাগরিক দাবি করে তিনি বলেন, এরমাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে আফগানিস্তান পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদে মদদ দিচ্ছে।
সূত্র: আনাদোলু
S
আন্তর্জাতিক
ইসরায়েলি সেনারা সরার পর গাজা সিটিতে মিলল অনেক মরদেহ, আরও থাকার শঙ্কা
Published
1 day agoon
অক্টোবর ১০, ২০২৫ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পর গাজা সিটি থেকে শুধুমাত্র আজই ৩৩টি মরদেহ পাওয়া গেছে। দখলদার ইসরায়েলের সেনারা সরে যাওয়ার পর এসব মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। যেগুলোর কয়েকটি বিকৃত হয়ে গেছে। পরিচয় শনাক্ত করতে সেগুলো আল-শিফা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গাজার মধ্যে যত হাসপাতাল আছে সেগুলোর মধ্যে আল-শিফায় শুধুমাত্র ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ আছে। যেখানে মরদেহগুলোর পরিচয় শনাক্ত করা যাবে।
আল-শিফা হাসপাতালের পরিচালক ডাক্তার মোহাম্মেদ আবু সালমিয়া সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে নিশ্চিত করেছেন, গাজা সিটি থেকে ৩৩টি মরদেহ আনা হয়েছে।
সেখানে আরও মরদেহ থাকার শঙ্কা করা হচ্ছে। দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মরদেহগুলো পাওয়া যেতে পারে। দখলদারদের হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৬৫ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন।
দলে দলে বাড়ি ফিরছেন গাজার মানুষ
দখলদার ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর আজ বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫টার দিকে ইসরায়েলি সেনারা চুক্তি অনুযায়ী গাজার জনবহুল এলাকা থেকে সরে যায়। এরপর দলে দলে মানুষ নিজ বাড়িতে ফেরা শুরু করেন।
একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, হাজার হাজার মানুষ সমুদ্র ঘেঁষা আল-রশিদ সড়কে অপেক্ষা করছেন। গতকাল রাত থেকেই তারা এখানে ছিলেন। এরপর ইসরায়েলি সেনারা যখন সরে গেছে তখন তারা গাজার উত্তরাঞ্চলে নিজেদের বাড়ির দিকে যাওয়া শুরু করে।
গাজায় আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) একটি নির্দেশনা জারি করেছে। গাজার মানুষকে সতর্কতা দিয়ে আইডিএফ বলেছে, তাদের সেনারা যেখানে আছেন সেখানে যেন কোনো বেসামরিক মানুষ না যান।
সূত্র: সিএনএন
S